কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়
আপনার-আমার সকলের মূল্যবান একটি অঙ্গ হচ্ছে দাঁত। দাঁত ভালো রাখার জন্য আমরা সবসময় এটি পরিষ্কার রাখি। তারপরও অনেকের দাঁতের সমস্যা হয়ে থাকে দাঁতের যে সকল সমস্যাগুলো দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া। দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। আজকের আলোচনায় কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এটি নিয়ে আলোচনা করব।আজকের এই আলোচনা যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আরো যেসব বিষয় সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন সেগুলো হলো- দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে করণীয় কি? দাঁতের মাড়ির ক্ষয় রোধ করার উপায়, দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় কেন? এই চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে পর্যায়ক্রমে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।
কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়।
কিছু ব্যতিক্রম ব্যতীত মানুষসহ পৃথিবীর প্রায় প্রত্যেকটি প্রাণী দাঁত দিয়ে চিবিয়ে তারপর খাবার গ্রহণ করে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যার দাঁত নেই সে চিবিয়ে কোন কিছু খেতে পারে না। এ কথা থেকে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন দাঁত আমাদের জন্য কতটা অপরিহার্য একটি অঙ্গ।
অনলাইনে সবচেয়ে বেশি জিজ্ঞাসিত একটি প্রশ্ন হচ্ছে কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়। দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ভিটামিন দায়ী এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভিটামিন হচ্ছে। ভিটামিন- সি, ভিটামিন- বি, ভিটামিন- এ, ভিটামিন -কে, ভিটামিন- ডি এর অভাবে।
আরো পড়ুনঃবুকের কফ বের করার সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়
ভিটামিন- সিঃ ভিটামিন সি সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি অবগত আছি সাধারণত টক জাতীয় খাবারগুলোতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি থাকে। শরীরের ভিটামিন সি এর অভাব হলে দাঁতের গোড়ায় ক্যালসিয়াম জমতে পারে না। ক্যালসিয়াম দাঁতকে শক্তিশালী ও মজবুত করে এবং দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়ার জন্য ভিটামিন সি এর অভাবজনিত কারণ কে দায়ী করা হয়।
কমলা, মালটা, কমলালেবু, আমড়া, আমলকি এই জাতীয় ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। তাই দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া ও দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া রোধ করতে এ জাতীয় ফল বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত।
ভিটামিন- এঃ ভিটামিন এ এর অভাবে দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ে যেতে পারে এবং দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দাঁতের মাড়ি যাতে ক্ষয়ে যেতে না পারে এই জন্য ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যেসব খাবার রয়েছে এগুলো বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। বিশেষ করে শাকসবজি, গাজর, আম, মিষ্টি আলু, মাছের তেল ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ
ভিটামিন- ডিঃ ভিটামিন ডি আমাদের দাঁতকে শক্তিশালী করে তোলে। আমরা সকলেই জানি দাঁত ভালো রাখতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব দেখা দিলে দাঁতেরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় বিশেষ করে দাঁত দুর্বল হয়ে পড়ে, দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়, অনেক সময় দাঁত থেকে রক্ত পড়ে।
আরো পড়ুনঃ নাকে পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয়
ভিটামিন- কেঃ আমাদের দাঁত ও দাঁতের মাড়ি ভালো রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। ভিটামিন কে আমাদের শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে কাজেই ভিটামিন কে এর অভাবে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত হতে পারে। সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এছাড়া মাছ মাংস ভিটামিন কে এর উন্নত উৎস।
ভিটামিন- বিঃ দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার জন্য সর্বশেষ যে ভিটামিনের কথা আমি বলব সেটি হচ্ছে ভিটামিন বি । এ ছাড়া ভিটামিন বি অভাবে মুখে ও জিহ্বায় ঘা হয়। মটরশুঁটি, মাংস, শিম, সবুজ শাকসবজি যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি রয়েছে। আপনার মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় এই বিষয়টি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো। সংক্ষিপ্ত এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন কোন ভিটামিনের অভাবে বা কোন কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতের মাড়ি ফুলে যায়।
দাতের মাড়ি ফুলে গেলে করনীয়।
যখন দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় সাধারণত সেখানে পুজ জমা হয় এটি কে বাংলা ভাষায় ফোড়া বলে। দাঁতের মাড়ির নিচের অংশে এই ফোড়া বের হলে তা পেকে গিয়ে সাদা রং ধারণ করে। দাঁতের গোড়ায় এই অ্যাবসেস বা ফোড়া বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে।খাবার খাওয়ার পর ঠিকমতো দাঁত পরিষ্কার না করলে দাঁতের ফাঁকে খাবারের কোনা লেগে থাকে এগুলো পরবর্তীতে পচে গিয়ে ইনফেকশন তৈরি হয় এবং সেখান থেকে দাঁতের মাড়ি বা দাঁতের নিচের অংশ ফুলে যায়। ফুলে যাওয়া স্থানে ব্রাশ করার সময় আঘাত লাগলে খুব ব্যথা অনুভূত হয় খাবার খেতে সমস্যা হয়।
আরো পড়ুনঃক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা জন্য আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেডিসিন গ্রহণ করা উচিত। এর পাশাপাশি ঘরোয়া বেশ কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো যথাযথভাবে পালনের ফলে সহজে ফুলে যাওয়া স্থান থেকে রক্তপাত বন্ধ ও ব্যথা কমানোর যেতে পারে। চলুন এবার সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করি।
আদাঃ সেই প্রাচীনকাল থেকে আদা বিভিন্ন সংক্রমণের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে মুখের সংক্রমণ রোধে ও আদার কার্যকারিতা অপরিহার্য। এটা শুধু সংক্রমণে রোধ করে না মুখের ভিতর ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ থেকেও মুখে মুখকে রক্ষা করে।
লবন পানিঃ হালকা কুসুম গরম লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া বা ফুলকুচি করলে মুখে জীবাণু সংক্রমণ অনেকটাই কমে যায় এর ফলে দাঁতের মাড়ির ফোলা ভাব দূর হয়ে যায় এবং কিছুটা আরাম লাগে।
আরো পড়ুনঃক্রিয়েটিনিন কমানোর ঘরোয়া ১০টি উপায়
লবঙ্গঃ দাঁতের যে কোন সমস্যায় লবঙ্গ সবচেয়ে উপকারী এক ধরনের ঘরোয়া টোটকা দাঁতের মাড়ি ফোলা ব্যথা যেটাই হোক না কেন লবঙ্গ দিয়ে তা দ্রুত নিরাময় করা সম্ভব। লবঙ্গ লবণ পানি দিয়ে কুলিকুচি করলে দাঁত ব্যথা মাড়ি ফোলা ভালো হয়ে যায়।
সরিষার তেলঃ দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে বা ফোলা স্থান থেকে রক্ত বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সরিষার তেলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতোভাবে ঘষে দিলে দাঁতের ফোলা ভাব দূর হয়ে যায়।
লেবু পানিঃ লেবুতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন সি। ভিটামিন সি মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। দাঁতের মাড়ি ফুলে গেলে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের মাড়ির ফোলা ভাব কমে আসে। এছাড়া দাঁতের ভিতরে যদি কোন ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে থাকে সেটা দূর করতে লেবু ও গরম পানির খুবই কার্যকরী।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়।
দাঁত যাতে ভালো থাকে এজন্য আমরা প্রতিদিন সকালে এবং রাতে দাঁত পরিষ্কার রাখতে সব সময় চেষ্টা করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে প্রথমেই আয়নাতে দাঁত দেখি। এটি অনেকের প্রতিদিনের একটি অভ্যাস। যে যাই বলুক এই অভ্যাসটি খুবই ভালো কেননা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা যদি না বোঝা যায় তাহলে পরবর্তীতে পস্তাতে হয়।
নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করার পরেও অনেকের দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ে যায় বা দাঁত ক্ষয়ে যায়। দাঁতের মাড়ি যাতে না ক্ষয়ে যায় এজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন করি। দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার প্রথম যে উপায় এর কথা বলব সেটি কসকসে সবজি খাওয়া। কচকসে সবজিগুলোর মধ্যে রয়েছে গাজর, আমড়া, পেয়ারা, শসা, ব্রকলি, মরিচ এ জাতীয় সবজি। এই সবজিগুলো চিবিয়ে খেলে দাঁতের গোড়া শক্ত ও মজবুত হয় এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় রোধ করার দ্বিতীয় যে খাবারের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটি হল দুধের তৈরি খাবার। এই জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে দুধ, দই, পনির ও দুধের তৈরি অন্যান্য জাতীয় খাবার। এ জাতীয় খাবার দাঁত মজবুত রাখতে যথেষ্ট সাহায্য করে কেননা এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন রয়েছে।
প্রিয় পাঠক আপনি যদি আপনার দাঁত সুস্থ মজবুত রাখতে চান তাহলে নিয়মিত বাদাম খান কেননা বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। দাঁত মজবুত রাখতে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অনস্বীকার্য এটি আমরা সবাই জানি তাই দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আপনার আমার সকলের উচিত নিয়ম করে বাদাম খাওয়া।
দাঁত সুস্থ রাখার জন্য এবার যে খাবারের কথা আমি বলব সেটি হল প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। এসব শাকসবজির মধ্যে রয়েছে পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক ও অন্যান্য শাক। আমাদের দেশে এই সকল শাক প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।এই জাতীয় শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে আর আয়রন আমাদের দাঁত মজবুত রাখে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
পেয়াজ ও রসুন নিয়মিত খেলে আপনার দাঁত মজবুত ও সুস্থ থাকবে। পেঁয়াজ ও রসুন একটি মসলা জাতীয় খাবার এই দুটি খাবারের বিশেষ এক ধরনের গন্ধ রয়েছে যা দাঁতের রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। আপনার দাঁত যদি সুস্থ রাখতে চান তাহলে নিয়ম করে কাঁচা রসুন ও পেঁয়াজ চিবিয়ে খেতে পারেন এটি আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য জন্য খুবই উপকারী।
আপনারা যারা মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করেন এটি আপনার দাঁতের ক্ষতির কারণ হতে পারে ।মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে দাঁতের রোগ জীবাণুর আক্রমণ করার সুযোগ পায় তাই দাঁত ভালো রাখতে অবশ্যই মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।
তবে একেবারে যে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না এমনটাও বলা যাবে না। সামান্য পরিমাণে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে তবে এই খাবার খাওয়ার সাথে সাথে দাঁত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে যাতে মিষ্টির জাতীয় খাবারের কণাগুলো দাঁতের মধ্যে না থাকে।
দাঁতের ক্ষয় রোধ করার জন্য বিশেষ ধরনের টুথপেস্ট এর ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ মহল। বাজারে বিশেষ এক ধরনের আয়ুর্বেদিক টুথপেস্ট পাওয়া যায় যা ব্যবহারের ফলে দাঁতের ক্ষয় রোধ সম্ভব হয়। অনেক ডাক্তার এই জাতীয় টুথপেস্ট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
দাঁতের ক্ষয় রোধ করার জন্য মিনারেল ও ভিটামিন জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে এর পাশাপাশি নিয়ম করে দুই বেলা দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। কোন কিছু খাওয়ার পর ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে যাতে খাবারের কোনা গুলো দাঁতের সঙ্গে লেগে না থাকে।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় কেন।
দাঁতের মাড়ি ক্ষয় দাঁতের এক ধরনের অসুখ যা অনেক মানুষেরই হয়ে থাকে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা যা দাঁতের মাড়ি ও হাড়কে প্রভাবিত করে। দাঁতের মাড়ির অসুখ সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দ্বারা হয়ে থাকে যা দাঁতের মাড়ির টিস্যুগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
দাঁতের চারপাশে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমনের কারণে নমনীয় হাড়টি ক্ষয়ে যায় এবং দাঁতকে দুর্বল করে ফেলে ফলে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়ে যায় বা মাড়ি উপরে উঠে যায়। আলোচনা একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে এবার আমি দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয় কেন এই বিষয়টি আপনাদের জানাবো।
ত্রুটিপূর্ণ ব্রাশিং টেকনিকঃ আমরা অনেক সময় ভালো মানের ব্রাশ দ্বারা নিয়মিতভাবে দাঁত ব্রাশ করি না আবার করলেও জোরে জোরে, বেশি টাইম নিয়ে, চেপে চেপে দাঁত ব্রাশ করে থাকি যার কারণে দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়াঃ আমরা সাধারণত কার্বোহাইড্রেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে থাকি। আমাদের মুখের ভিতরে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে এই ব্যাকটেরিয়া গুলো কিন্তু এই মিষ্টি জাতীয় খাবার পছন্দ করে তাই আমরা খাওয়ার পর যদি ঠিকমতো ব্রাশ না করি বা ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার না করি।
তাহলে এই খাবারগুলো দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন জায়গায় লেগে থাকে যার উপরে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে এবং এসিড নিঃসরণ করে যার কারণে ও দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়ে যেতে পারে বা সরে যেতে পারে।
শক্ত খাবার চিবিয়ে খাওয়াঃ বেশি বেশি শক্ত জাতীয় খাবার চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়ে যেতে পারে বা মাড়ি সরে যেতে পারে
এছাড়া আমাদের মুখের আশেপাশে বিভিন্ন ধরনের লালা গ্রন্থি থাকে যা থেকে লালা নিঃসরণ হয় এবং যা মুখের ভিতরের চারপাশ সিক্ত রাখতে সাহায্য করে কিন্তু কেউ যদি ক্যাফেইন জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খায়, ধূমপানের অভ্যাস থাকে বা অনেকের শ্বাসকষ্ট থাকে অভ্যাসের কারণে মুখ দিয়ে হা করে নিঃশ্বাস নেয় তাহলে মুখের ভেতরে শুকিয়ে যায় এবং এই লালা গ্রন্থিগুলো লালা নিঃসরণ করতে পারে না যার কারণে মুখে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এবং দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়ে যেতে পারে।
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠক আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি যে বিষয়ে গুলো সম্পর্কে জানতে পারলেন তা শুধুমাত্র সচেতনতার জন্য লেখা হয়েছে। আপনার দাঁতের যেকোনো ধরনের সমস্যার জন্য অবশ্যই আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এর কোন বিকল্প নেই। তবে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো আপনি চাইলে বাড়িতে বসে করতে পারেন তাতে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url