বুকের কফ বের করার সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়
ঋতু পরিবর্তনের সময় বা অন্যান্য কারণে আপনার শরীরে ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমে যাচ্ছে। ডাক্তারের ঔষধ খাওয়ার পর ভালো হয়ে যাচ্ছে আবার কিছুদিন পরে ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমছে। আপনার যদি এরকম সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন বুকের কফ বের করার ঘরোয়া উপায় এবং বুকের কফ বের করার মেশিন এর নাম ও এর মূল্য কত এই সম্পর্কে। পাশাপাশি আপনারা আরো জানতে পারবেন ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি? বুকে কফ জমলে কি ওষুধ খাবেন? বুকের কফ দূর করার হোমিও ওষুধের নাম।
ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি?
ঘনঘন ঠান্ডা লাগার বেশ কয়েকটি কারণ নির্ণয় করা যেতে পারে। আবহাওয়ার পরিবর্তন জনিত কারণে ঠান্ডা লেগে এর সঙ্গে সর্দি হতে পারে এটি মানবদেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু প্রতি মাসে অন্তত ২ বারের বেশি যদি ঠান্ডা জর্ড়িত সর্দিতে আপনি আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং এর স্থায়িত্ব কমপক্ষে ১৫ দিন হয়ে থাকে তাহলে তা দুশ্চিন্তা কারণ হতে পারে। ঘনঘন ঠান্ডা লাগার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন-
ঋতু পরিবর্তন
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আবহাওয়ার বেশ কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে মানবদেহের অ্যাডজাস্ট নিতে কিছুটা সময় নাই। যেমন- শীতকালীন আবহাওয়া থেকে গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া শুরু হলে শরীরের সাথে তা এডজাস্ট করতে কিছুটা সময় নেই আর এই সময়ে অনেকেই ঠান্ডা জড়িত সর্দিতে আক্রান্ত হয়। সাধারণত শিশু এবং বয়স্করা আবহাওয়া জর্নিত পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা সর্দিতে আক্রান্ত বেশি হয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তুলনামূলক কম থাকলে ঠান্ডা লাগার মত ছোটখাটো রোগ বালাই সহজে শরীরে আক্রমণ করে। শিশু এবং বয়স্কদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাই এই বয়সে ঠান্ডা সর্দি জ্বর বেশি আক্রমণ করে।
আরো পড়ুনঃএলার্জি কি? নাকের এলার্জি কেন হয়?
পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন এর সাথে পর্যাপ্ত ঘুম এবং শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে।
শীতকাল
শীতকালে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের শরীরের ঠান্ডা লেগে সর্দি জ্বর ও কাশি হয়ে থাকে। এছাড়া শীতকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভিটামিন ডি এর অভাব। সূর্য থেকে আমরা যে ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি তা শীতকালে কম পাওয়া যায়।
এই কারণে শীতকালে মানুষের শরীরে রোগবালাই বেশি হয়। শীতকালে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের জন্য প্রয়োজন।
এলার্জি
কোন কোন ঠান্ডা লাগার অন্যতম একটি প্রধান কারণ হচ্ছে এলার্জির জনিত সমস্যা। কারো যদি বংশানুক্রমিক এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সামান্য ধুলাবালি লেগে শরীরে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। শরীরে যাতে ধুলাবালি প্রবেশ করতে না পারে এই জন্য সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে মাক্স পরিধান করা উচিত।
আপনার যদি ধুলাবালি জর্নিত অ্যালার্জির সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সাবধান বাহিরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করবেন। এছাড়া অন্য কোন ভাবে যাতে আপনার শ্বাসনালী দিয়ে কোন ধুলাবালি শরীরে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
হাঁপানি
শরীরে এলার্জির পরিমাণ বেড়ে গেলে এবং তার দীর্ঘদিন ধরে শরীরে বাসা বেধে থাকলে তা হাঁপানিতে রূপ নিতে পারে এজন্য সঠিক সময়ে অ্যালার্জির চিকিৎসা করানো উচিত। যাদের হাঁপানির সমস্যা রয়েছে সামান্য পরিমাণের ধুলাবালির কারণে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে এবং এর ফলে বুকে কফ হয়ে থাকে।
শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ
শ্বাসযন্ত্রের কোন ধরনের সংক্রমণ দেখা দিলে এর প্রভাবে ঘন ঘন ঠান্ডা জড়িত সর্দি হয়ে থাকে। সংক্রমণের কারণে কাশি সর্দি জ্বরের মতো সমস্যা সব সময় লেগেই থাকে। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
বুকের কফ বের করার ঘরোয়া উপায়।
ঠান্ডা ও সর্দি লাগলে বুকে কফ জমে এর ফলে শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, বুক ভারি হওয়া, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমনের মত লক্ষণ দেখা যায়। সময় মতো চিকিৎসা না করলে আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এরকম সমস্যা দেখা দিল প্রথম অবস্থায় ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ঘরোয়া কিছু উপায় মেনে চললে খুব দ্রুত কফ দূর করা যায়।
ইউক্যালিপটাস তেল ব্যবহার
আপনারা যারা ইউক্যালিপটাস তেলের নাম শুনেছেন এবং ব্যবহার করছেন তারা এর কার্যকারিতা সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। আর যারা এই তেলের গুনাগুন সম্পর্কে জানেন না তারা জেনে রাখুন। ইউক্যালিপটাস তেল এর ব্যবহার কাশি কমাতে ও কফ দূর করতে খুবই উপকারী।
আরো পড়ুনঃ নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয়
এই তেল বুকে মালিশ করতে পারেন। ইউক্যালিপটাসের তেলের ব্যবহার বুকে জমে থাকা কফ দূর করে। হালকা গরম পানিতে এই তেল মিশিয়ে গোসল করলে খুব উপকার পাওয়া যায়।
মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া
বেশি বেশি মসলা জাতীয় খাবার খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এর ফলে সামান্য ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমা শ্বাসকষ্ট ও এলার্জির সমস্যা সহজে শরীরে আক্রমণ করতে পারে না। মসলা জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে হলুদ, রসুন, শুকনো মরিচ, কাঁচা মরিচ, কালোজিরা ইত্যাদি।
- হলুদ একটি মসলা জাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ এটি আমরা সবাই জানি রান্নার কাজে হলুদের ব্যবহার না করলেই নয়। এই হলুদের রয়েছে ব্যাপক ওষুধি গুণ। ঠান্ডা জড়িত কারণে জমে থাকা কফ দূর করতে কাঁচা হলুদ খুবই উপকারী। কাঁচা হলুদের রস কয়েক ফোঁটা গলায় দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে উপকার পাওয়া যায়।
- রসুন ও সরিষার তেল সামান্য গরম করে বুকে মালিশ করলে কফ দূর হয়ে যায়। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারের ফলে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়।
- প্রতিদিন অন্তত ২ বেলা নিয়ম করে সামান্য পরিমাণের কালোজিরা খেতে পারেন এতে করে সর্দি কাশি ও বুকের কফ ভালো হয়ে যাবে। কালোজিরা সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে এর কার্যকারিতা আরো বেড়ে যায়। নিয়মিত কালোজিরা খেলে সর্দি কাশির পাশাপাশি এলার্জি ও হাঁপানির সমস্যা সমাধানে ভালো কাজ করে।
ঠান্ডা খাবার না খাওয়া
বুকে কফ জমে থাকলে ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন। এই সময় গরম খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। বিশেষ করে গরম তরল খাবার খেলে খুব সহজেই বুকের কফ গলে যাবে। হালকা গরম পানি, সাথে চা পান করতে পারেন, এছাড়া সুপ খাওয়া যেতে পারে।
গরম পানির ভাব নেওয়া
বুকে জমে থাকা কফ দূর করার একটি সহজ তম ঘরোয়া পদ্ধতি হলো গরম পানির ভাব নেওয়া এজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো পানি গরম করে একটি বোতলে ঢেলে নিন এরপর মুখের চারপাশের বাষ্প আটকাতে একটি কাপড় ব্যবহার করুন এরপর বোতলের মুখে ভাব নিন মনে রাখবেন পানির তাপমাত্রা যাতে বেশি না হয়।
মধু খাওয়া
কাশি দূর করার জন্য উপরের যেসব পদ্ধতির কথা বললাম এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী একটি পদ্ধতি হল গরম পানি ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পান করা। গরম পানি ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পান করলে ফুসফুসের জমিয়ে থাকা কফ দূর হয়ে যায়।
মধুতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার মত ক্ষমতা রয়েছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ বুকের কফ দূর করার জন্য প্রতিদিন ২-৩ বার এক টেবিল চামচ মধুর সেবন করতে পারেন।
লেবুর শরবত
বুকের কফ দূর করার জন্য লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে লেবুর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে ঠান্ডা পানির শরবত পান করা যাবে না। লেবু ও গরম পানির শরবত পান করতে হবে। পানি যাতে বেশি গরম না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
জিংক সমৃদ্ধ বিভিন্ন ফল যেমন- পেয়ারা, ডালিম, যষ্টিমধু খেলে বুকের কফ তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যায়।
বুকে কফ জমলে কি ঔষধ খাবো।
বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় বিশেষ করে শীতকালে ঠান্ডা জর্ড়িত সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। অন্যান্য সময়ে অনেকেও ঠান্ডা জনিত সর্দি ধরে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সর্দি জ্বরের আক্রান্ত হলে অনেক সময় বুকে কফ জমে যায়।
এর সঙ্গে যদি কাশি থাকে তাহলে কাশির সঙ্গে কফ বেরিয়ে আসে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কাশি সঙ্গে কফ বের হয় না যা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ অবস্থায় অনেকেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। আলোচনার এই অংশ আমি আপনাদের জানাবো বুকে কফ জমলে কি ওষুধ খাওয়া যায় এই সম্পর্কে।
কাশি দেওয়ার সময় বুকের কফ যদি বের হয়ে আসে তাহলে তা আরামদায়ক এর বিপরীত ঘটলে এটি কষ্টদায়ক ও দুশ্চিন্তার কারন। কেননা বুকে কফ জমে থাকলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেবে। যেমন- শ্বাসকষ্ট, ঠিকমতো ঘুম হবে না, মাথাব্যথা শুরু হবে, বারবার নাক দিয়ে পানি বের হবে যা খুবই বিরক্তকর।
এ অবস্থায় কি ওষুধ খাওয়া যায় এটি আপনার মনে প্রশ্ন জাগে। বুকের কফ দূর করার জন্য ট্যাবলেট ও সিরাপ দুই ধরনের ঔষধ সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
- Syp. Adovas ( স্কয়ার ) বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদের সংমিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে এই সিরাপ। অনেকদিনের পুরাতন এবং শুকনো কাশির নিরাময়ে প্রতিষেধক হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুরা ১ থেকে ২ চা চামচ দিনে ২ থেকে ৩ বার এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা ৩ চা চামচ করে দিনে ২ থেকে ৩ বার সেবন করতে পারবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- Syp. Brofex ( স্কয়ার ) এটি একটি শুকনো এবং তীব্র কাশী নিরাময়কারী ঔষধ। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ চা চামচ দিনে ৩ বার এবং ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে ১ থেকে ১.৫ চামচ দিনে ৪ বার দেওয়া যেতে পারে। গর্ভকালীন প্রথম ৩ মাস এই ওষুধ না খাওয়ায় ভালো এবং স্তন্যদান কারী মায়েদের ক্ষেত্রে এ ওষুধ ব্যবহার করার ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।
- Syp. Alkof ( ইবনে সিনা ) এটি একটি সম্পূর্ণ নন সিডেটিভ হারবাল কফ নিরাময়কারী সিরাপ যা শুষ্ক কাশি দীর্ঘস্থায়ী এবং এলার্জিজনিত কাশিতে ব্যবহার করা হয়। ৫ থেকে ১০ বছর বয়সের শিশুদের ১ চা চামচ করে দিনে ২ থেকে ৩ বার দেওয়া যেতে পারে ১২ বছরের বেশি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ২ চা চামচ করে দিনে ২থেকে ৩ বার দেওয়া যেতে পারে ।
- Tab. Tofen 1mg (বেক্সিমকো) কাশি নিরাময়ে খুবই ভালো কাজ করে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা টোফেন ট্যাবলেট দিনে ২ টি করে সেবুন করতে পারবে। তবে এটি অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করা উচিত।
- Tab. Ambrox S R 75mg ( স্কয়ার ) ১২ বছর বয়সের শিশুরা এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা দিনে ১ টি করে সেবন করতে পারবেন।
- Tab. Dexotix যাদের বয়স ১২ বছরের বেশি তারা এই ট্যাবলেট ১২ ঘন্টা পর পর ১ টি বা ২ টি করে সেবন করতে পারবে। তবে মনে রাখতে হবে প্রতিদিন ৪ টি ট্যাবলেট এর বেশি সেবন করা যাবে না। এটা পানি দিয়ে গিলে খেতে হবে চুষে কিংবা গুঁড়ো করে খাওয়া যাবে না। গর্ভকালীন ও স্তন্যদান কালীন সময় এই ক্যাপসুল সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- Tab. Monas 10mg ( একমি ) জেনেরিক নাম হচ্ছে মন্টিন যা এলার্জি ও শ্বাসকষ্ট সমস্যার ওষুধ হিসেবে কাজ করে। ১৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা এই ট্যাবলেট প্রতিদিন রাত্রে খাওয়ার পর একটি করে খেতে পারবেন। এটি ভরা পেটে সেবন করতে হবে।
- ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের এই ট্যাবলেট খাওয়ানো যাবে না। অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই ট্যাবলেট সেবন করবেন। ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এটা প্রতিদিন অর্ধেক করে খাওয়াতে পারেন।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনারা নিম্নোক্ত কাশির সিরাপ ও ট্যাবলেট গুলি সেবন করতে পারবেন।
- Syp. Tuspel বেক্সিমকো Syp. Mirakof স্কয়ার
- Syp. Dextrim বেক্সিমকো
- Syp. Tomephen ইনসেপ্টা
- Syp. Ambrox স্কয়ার
- Syp. Sudocof ইনসেপ্টা
- Syp. Mucolyt স্কয়ার
- Syp. Tuska Plus স্কয়ার
- Tab. Mucolyt 8mg ইনসেপ্টা
- Tab. Bukof 50mg বিকোন
- Tab. Askorel SR 50mg ইনসেপ্টা
- Tab. Mirakof SR 50mg স্কয়ার
বুকের কফ দূর করা ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
প্রতিটি ওষুধ সেবনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বুকের কফ দূর করার ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিক কি তার নিচে তুলে ধরা হলো-
- দুর্বলতা অনুভব করা;
- মাথা ঘোরা;
- বমি বমি ভাব;
- অতিরিক্ত ঘুম আসা;
- সামান্য মাথাব্যথা;
- হজমের সমস্যা;
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া;
- মুখমন্ডল ফুলে যাওয়া;
বুকের কফ বের করার মেশিন।
যাদের সারা বছর কম বেশি ঠান্ডা লেগে থাকে এ থেকে বুকে কফ জমা হয় তাদের জন্য বাজারে এক ধরনের বুকের কফ বের করার মেশিন পাওয়া যায়। বুকের কফ দূর করার জন্য সারা বছর ট্যাবলেট এবং সিরাপ খেতে খেতে আপনার যদি বিরক্তিকর অবস্থা হয়ে থাকে এবং ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আপনার শরীরের অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে তাহলে আপনার জন্য বাজারে চলে এসেছে কফ দূর করার উন্নত মানের সাকার মেশিন (Sucker Machine).
এটি আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার অন্যতম একটি প্রযুক্তি। এই মেশিনটির নাম হচ্ছে সাকার মেশিন (Sucker Machine) এর মডেল নম্বর ২৩ এ, এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩০০ টাকা।
বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হোমিওপ্যাথি ঔষধ।
ঠান্ডা জড়িত ও অন্যান্য কারণে বুকে কফ জমে গেলে আমরা হর হামেশাই বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য ট্যাবলেট সিরাপ খেয়ে থাকি যা আমাদের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হীন হোমিও ঔষধ ব্যাপক কার্যকরী। এ পর্যায়ে আমি আপনাদের জানাবো বুকে কজনের শ্বাসকষ্ট হোমিও ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে।
বুকে কফ জমে শ্বাসকষ্ট হলে এটি নিরাময় করার জন্য বেশ কয়েকটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনটি ওষুধের নাম ও ব্যবহারবিধি নিচে তুলে ধরা হলো-
Hepar Sulphur 30/200
ব্যবহারবিধি
বাচ্চাদের
দিনে ১ বার ১ চামচ পানিতে ১- ২ ফোটা করে Hepar Sulphur 30/200 মিশিয়ে খেতে হবে এবং ৪-৫ দিন খেতে হবে।
বয়স্কদের
দিনে ১ বার ১ চামচ পানিতে ১- ২ ফোটা করে Hepar Sulphur 30/200 মিশিয়ে খেতে হবে এবং ৪-৫ দিন খেতে হবে।
Antimtart 30
ব্যবহারবিধি
বাচ্চাদের
দিনে ১ বার ১ চামচ পানিতে ১- ২ ফোটা করে Antimtart 30 মিশিয়ে খেতে হবে এবং ৩-৪ দিন খেতে হবে।
বয়স্কদের
দিনে ২ বার ১ চামচ পানিতে ১- ২ ফোটা করে Antimtart 30 মিশিয়ে খেতে হবে এবং ৩-৪ দিন খেতে হবে।
Baryta Carb 200
ব্যবহারবিধি
বাচ্চাদের
দিনে ১ বার ১ চামচ পানিতে ১- ২ ফোটা করে Baryta Carb 200 মিশিয়ে খেতে হবে এবং ৩-৪ দিন খেতে হবে।
বয়স্কদের
দিনে ২ বার ১ চামচ পানিতে ১- ২ ফোটা করে Baryta Carb 200 মিশিয়ে খেতে হবে এবং ৩-৪ দিন খেতে হবে।
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠর আজকের এই আর্টিকেলে আমি যেসব বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে আলোকপাত করেছি এগুলো শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। এটি কোন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নয়। যেকোনো প্রকারের ঔষধ গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ আবশ্যক। এই আর্টিকেল উল্লেখিত নিয়ম পদ্ধতি অনুসরণ করে কারো কোন দৈহিক ও মানসিক ক্ষতি হলে লেখক দায়বদ্ধ থাকবে না।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url