ক্রিয়েটিনিন কি? ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঘরোয়া ১০টি উপায়
ক্রিয়েটিনিন কোন রোগ নয় এটি কিডনি রোগ নির্ণয়ের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয়। কিডনি ভালো থাকলে রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে গেলে নির্দিষ্ট কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে তা আবার কমিয়ে আনা সম্ভব আজকের আর্টিকেলে আমি এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা আরো জানতে পারবেন ক্রিয়েটিনিন কমানোর ওষুধ, ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষার খরচ, ক্রিয়েটিনিন কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে। তাই দেরি না করে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেলুন।
ক্রিয়েটিনিন কি?
ক্রিয়েটিনিন হচ্ছে মানব দেহের রক্তের একটি বজ্র পদার্থ যা প্রোটিন জাতীয় খাবার ও মাংসপেশীর ভাঙ্গনের মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়। রক্তের এই বজ্র পদার্থ কিডনির মাধ্যমে ফিল্টারিং হয়ে প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে বের হয়ে আসে যা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হলে বা সঠিকভাবে কাজ না করতে পারলে রক্তের ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। শুধুমাত্র কিডনির সমস্যা কারণে ক্রিয়েটিনিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এটি ঠিক নয়।
আরো পড়ুনঃনাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয়
ডায়াবেটিস, খাদ্যে ভেজাল, প্রস্রাবে ইনফেকশন, প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণ, উচ্চ রক্তচাপ, কঠোর পরিশ্রম, ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। যে সকল রোগী কিডনি রোগে আক্রান্ত হন তাদের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস প্রয়োগ করা বেশি হয়।
রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রার উপর নির্ভর করে কিডনির স্বাস্থ্যগত একটি চিত্র অনুমান করা সম্ভব। কিডনি ঠিকমতো তার কাজ করতে পারছে কিনা এটা নির্ণয় করা যায় রক্তের ক্রিয়েটিনের মাত্রা পরিমাপ করে। যদি আপনার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে।
কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছে এটা ভেবে বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই কেননা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে কিডনির স্বাস্থ্যগত উন্নতির জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি বের হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল মেনে চললে কিডনির সমস্যা কিছুটা কমানো সম্ভব।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঘরোয়া ১০টি উপায়।
আপনার ক্রিয়েটিনিন লেভেল কিছুটা বেড়ে গিয়েছে, এটি নিয়ে চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই। ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে গেলে একজন কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। এর পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিন কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো যথাযথ পালনের মাধ্যমে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ বুকের কফ বের করার সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়
সাধারণত নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস ও লাইফ স্টাইল মেনে চললে ক্রিয়েটিনিন কমানো সম্ভব। আসুন ক্রিয়েটিনির কমানোর ঘরোয়া কি কি উপায়ে রয়েছে এ বিষয়টি নিয়ে এখন বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক-
কঠোর অনুশীলন পরিত্যাগ করাঃ
ক্রিয়েটিনিন আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়ে থাকে। কিছু খেলাধুলা রয়েছে যে জন্য কঠোর অনুশীলন করতে হয়। কঠোর অনুশীলন করার যেসব খেলাধুলা রয়েছে এসব খেলাধুলার কারণে আমাদের রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
যারা দেহের মাসেল তৈরি করতে বিভিন্ন ধরনের অনুশীলন করে এক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই এই ধরনের কঠোর অনুশীলন পরিত্যাগ করা উচিত।
প্রোটিন যুক্ত খাবার না খাওয়াঃ
অতিরিক্ত প্রোটিন যুক্ত খাবার খেলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে একথা কিডনির কার্যকারিতার সব স্টেজে সঠিক নয়। প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করা যাবে কিনা তা নির্ভর করে কিডনির কার্যকারিতার যে মাত্রা রয়েছে তার উপরে।
আরো পড়ুনঃএলার্জি কি নাকের এলার্জি কেন হয়
তবে সাধারণভাবে বলা যায় উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন- মাছ, গরুর মাংস, খাসির মাংস, কলিজা, দুধ, ডিম, এগুলো ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে।
ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়াঃ
ক্রিয়েটিনিন কমানোর একটি উন্নতম ঘরোয়া উপায় হতে পারে ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া। ফাইবার যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, আলু, মিষ্টি আলু, শসা, কলা বিভিন্ন ধরনের বাদাম, শুকনো ফল, স্ট্রবেরি।
শরীরকে হাইড্রেট রাখাঃ
কিডনি ভালো রাখতে গেলে শরীরকে সবসময় হাইড্রেড রাখতে হবে এই জন্য নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি পান করা উচিত। শরীর ডিহাইডেট থাকলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায় এই কথা স্মরণ রাখা দরকার।
শরীরকে হাইড্রেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস খাওয়া যেতে পারে।
কাঁচা লবণ না খাওয়াঃ
রক্তের ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে তাই সবসময়ই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর এই জন্য বেশি বেশি লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা খাবার গ্রহণের সময় কাচা লবণ খেয়ে থাকেন যা মোটেও উচিত নয়।
এক কথায় লবণ খাওয়ার মাত্রা কমিয়ে দিতে হবে। তাহলে আপনার কিডনি ও ভালো থাকবে।
ব্যথা নাশক ঔষধ গ্রহণঃ
আপনারা যারা হর হামেশায় ব্যথা নাশক ঔষধ গ্রহণ করে থাকেন তাদেরকে অবশ্যই সাবধান হতে হবে কেননা পর্যাপ্ত পরিমাণের ব্যথা নাশক ঔষধ গ্রহণের ফলে কিডনির কার্যকারিতা কমে যায়। যারা কিডনি রোগে ভোগেন ব্যথা নাশক ওষুধ গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন এ অবস্থায় বিকল্প চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারলে ভালো হয়।
অ্যালকোহল ও ধূমপানঃ
বেশি বেশি ধুমপান করলে রক্তের প্রেসার বেড়ে যায় এর ফলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শরীরের কিডনিসহ অন্যান্য অঙ্গ ভালো রাখার জন্য অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকুন।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যারা বেশি বেশি অ্যালকোহল ও ধূমপান করেন তারা কিডনি র সমস্যায় বেশি ভোগেন। কিডনির সমস্যা হলে যেহেতু রক্তের ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ বেড়ে যায় তাই আলকোহল ও ধূমপান থেকে আমাদের অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
সোডিয়াম ও পটাশিয়াম জাতীয় খাবারঃ
রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা যাতে বৃদ্ধি না পায় এজন্য সোডিয়াম ও পটাশিয়াম জাতীয় খাবার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। সোডিয়াম ও পটাশিয়াম জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে কলা ডাবের পানি এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে। তবে আপনি চাইলে পপকন, ভোট্টা, খই এগুলো খেতে পারেন।
দারুচিনিঃ
দারুচিনি ক্রিয়েটিনিন লেভেল নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কারণ এটা প্রাকৃতিকভাবে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায়। যেকোনো ধরনের পানীয়ও গ্রহণের সঙ্গে প্রতিদিন দারুচিনি গুড়া ও এক টুকরো দারুচিনি চিবিয়ে খেলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আপেল স্নাইডার ভিনেগারঃ
ক্রিয়েটিনিন নিয়ন্ত্রণে এই ভিনেগারের রয়েছে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা। আপেল স্নাইডার ভিনেগার এ থাকা এসিটিক এসিড কিডনিতে পাথর জমার পথ বন্ধ রাখে বা বাধা দেয়। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ আপেল নাইডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করুন।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর হোমিওপ্যাথি ঔষধ।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর ওষুধ এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করার পূর্বে আপনাদের একটি বিষয় জানা প্রয়োজন যে, ক্রিয়েটিনিন কোন রোগ নয় যেটি ওষুধ দিয়ে সারিয়ে তোলা সম্ভব। ক্রিয়েটিনিন হচ্ছে কিডনির কার্যকারিতা পরিমাপের একটি প্যারামিটার হতে পারে।
রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কমানোর ঔষধ প্রয়োগ সম্পর্কে চিকিৎসকদের মধ্যে এখনো তেমন একটা নিয়ম চালু হয়নি। কিডনির জর্নিত সমস্যার কারণে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায় তাই কিডনি রোগের চিকিৎসার ওষুধ প্রয়োগ করে। প্রকৃতপক্ষে রক্তের ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কমানোর নির্দিষ্ট কোন ওষুধ তৈরি হয়নি।
এজন্য ডাক্তাররা ক্রিয়েটিনিন কমানোর জন্য খাদ্যাভাস ও লাইফস্টাইল এর উপর জোর দিয়ে থাকেন। কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধ দারুন কাজ করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির দরুন হোমিও চিকিৎসা ব্যবস্থাতেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
এমন কিছু কিছু রোগ রয়েছে যেগুলো একমাত্র হোমিও চিকিৎসাতেই নিরাময় করা সম্ভব। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করে ওষুধ প্রয়োগ করলে হোমিও চিকিৎসাতে রোগ ভালো করা সম্ভব। আর এই জন্য আপনাকে একজন বিজ্ঞ, উচ্চশিক্ষিত হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হোমিওপ্যাথিতে কিডনি রোগের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে। যেমন-
- লাইকোপোডিয়াম
- বার্বারিস
- ভালগারিস
- লিথিয়াম কার্ব
- সার্সাপেরিলা
- থ্যালাপসি বার্সা
- এপিজিয়া
এসব ওষুধগুলো নিজে নিজে প্রয়োগ করা সম্পূর্ণ বিপদজনক। এর ফলে রোগ ভালো না হয়ে আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে। ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষার খরচ।
রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কি পরিমাণে রয়েছে তা আমরা জানতে পারি একমাত্র পরীক্ষার মাধ্যমে। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে পরীক্ষা করাতে গেলে কত টাকা খরচ হয়। দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রক্তের ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করানো যায়।
বেসরকারি হাসপাতাল অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করাতে গেলে বর্তমানে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচ হবে। কিন্তু আপনি যদি সরকারি হাসপাতালে ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করান সে ক্ষেত্রে আপনার খরচ হবে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
ক্রিয়েটিনিন কমানোর ব্যায়াম।
রক্তে ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা কমিয়ে আনার অর্থ হল কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধিকরণ। কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ কমে আসবে। নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস লাইফস্টাইল এর পরিবর্তন ও হালকা কিছু যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব। আলোচনার এ পর্যায়ে এসে আমি ক্রিয়েটিনিন কমানোর ব্যায়াম বা কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখার ব্যায়াম সম্পর্কে আপনাদের জানাবো-
স্পিনিং স্পোর্টস
স্পিনিং স্পোর্টস একটি বিশেষ ধরনের যোগব্যায়াম যা মাধ্যমে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখা সম্ভব। এই ব্যায়াম করতে গেলে একজন রোগীকে যা করতে হবে তা হলো- পুরোপুরি ফ্লাট হয়ে শুয়ে থাকবে এবং দুই হাতের কোনুর উপর ভর দিয়ে মাথাটা যতটুকু উপরে উঠানো সম্ভব তা উঠাবে।
সিটেট হাফ ফাইনাল টুইস্ট
এই ব্যায়ামটি করার জন্য একজন রোগীকে প্রথমে বসতে হবে এরপর যেকোনো একটি পা অন্য পায়ের উপরে ক্রস ভাবে রেখে দেবে যেই পা ক্রস ভাবে রেখে দেবে ঐ সাইটের হাত ঐ পায়ের সাথে ধরে রাখতে হবে একই পদ্ধতিতে অপর পা এবং হাত ক্রস ভাবে রাখতে হবে।
কোবরা পোজ
এক্ষেত্রে রোগী পুরোপুরি চিৎহয়ে শুয়ে পড়বে পা দুটো ফ্লাট করে বুকের দুই পাশে দুই হাত বাদ দিয়ে কোমরের নিচের অংশ উপরের দিকে উঠে যাবে এবং মাথার অংশটা আকাশের দিকে মুখ করে থাকবে।
টু লেগ ফরওয়ার্ড ব্যান্ড
দুটো পা পাশাপাশি সোজা হয়ে থাকবে এবং দুটি হাত দিয়ে পায়ের আঙ্গুল গুলো ধরে রাখবে এবং মাথা কিছুটা নিচের দিকে ঝুঁকে রাখতে হবে। এভাবে ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড পর্যন্ত অবস্থান করুন।
ব্রিজ পোজ
এই যোগ ব্যায়ামটি করার জন্য পুরোপুরি চিৎ হয়ে শুয়ে পড়বে। এরপর দুই পায়ের মাঝখানে প্রায় ১০ ইঞ্চি ফাঁকা থাকবে দুই হাত দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরে রাখবে এভাবে বুক ও পেট যত উপরে উঠানো যায়।
বোট পোজ
এ ব্যায়ামটি করার জন্য পুরোপুরি চিৎ হয়ে শুয়ে দুই হাত ও দুই পা আস্তে আস্তে আকাশের দিক করে উপরের দিকে যতটা সম্ভব উঠাতে হবে।
যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত তারা হালকা শারীরিক ব্যায়াম করতে পারবেন। কোন অবস্থাতেই কঠোর ব্যায়াম করতে পারবেন না এতে করে আপনার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি হালকা দৌড়ানো, সামান্য পরিমাণের সাইকেলিং এগুলো হচ্ছে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর শারীরিক ব্যায়াম।
এছাড়া আরো কি কি ব্যায়াম করা যায় তা জানতে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। নিয়মিত ওষুধ সেবন, খাদ্যাভাসের নিয়ন্ত্রণ, লাইফ স্টাইলের পরিবর্তন ও শারীরিক ব্যায়াম এর মাধ্যমে কিডনি রোগী নিজেকে সুস্থ রাখতে পারে।
শেষ কথাঃ
আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি যদি ভালোভাবে কাজ করে তাহলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে। শুধু ক্রিয়েটিনিন নয় কিডনি এমন একটি অঙ্গ যা শরীরের অন্যান্য রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাই কিডনি ভালো রাখতে আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে পারলে কিডনি ভালো থাকে। আসুন আমরা সবাই নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url