নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয়
প্রিয় পাঠক, আপনি কি সত্যিই নাকের পলিপাসের সমস্যায় ভুগছেন? যদি তাই হয় তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আজকের এই আর্টিকেলে শুধুমাত্র নাকের পলিপাস সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে।
আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি যেসব বিষয় জানতে পারবেন সেগুলো হলো- নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয়, নাকের পলিপাস হওয়ার কারণ, চিকিৎসা পদ্ধতি, নাকের পলিপাস হলে করণীয় কি? নাকের পলিপাসে ড্রপ ও ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি এ বিষয়গুলো সম্পর্কে।
আমরা অনেকেই নাকের পলিপাসের সমস্যায় ভুগে থাকি। নাকের পলিপাস একটি সাধারণ রোগ। নাকের পলিপাস যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে। এটি মানব দেহের জটিল কোন ক্ষতির কারণ নয়। উপযুক্ত সময়ে চিকিৎসা গ্রহণের ফলে নাকের পলিপাস সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যায়।
নাকের পলিপাস হওয়ার কারণ কি?
পলিপাস নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে এখনো গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। তবে সাধারণভাবে বলা যায় নাকের পলিপাস হওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ হলো এলার্জি। আবার এলার্জির সৃষ্টির অন্যতম কারণ ধুলাবালি বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়া। পলিপাস হওয়ার জন্য নাক, গলা ও ফুসফুসের এলার্জিকে সমানভাবে দায়ী করা যায়।
এগুলো একটি সঙ্গে অপরটি অঙ্গীভাবে জড়িত। যেমন যাদের নাকে এলার্জির সমস্যা রয়েছে এদের ৫০% হাঁপানীর সমস্যায় ভুগেন। অন্যদিকে যারা হাঁপানীর সমস্যায় ভোগেন তাদের ২০% সাধারণ এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে। নাকের ভেতরের ক্রনিক ইনফেকশন এর কারণে পলিপাস হতে পারে।
আরো পড়ুনঃবুকের কফ বের করার সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়
নাকের ভেতরের ফাংগাল ইনফেকশনের এলার্জি থেকে কিছু কিছু রোগীর উভয় নাকে এবং অনেক সাইনাসজুড়ে পলিপাস তৈরি হয়। নাকের ভেতরের রক্তনালীর অস্থিরতা থেকেও অনেক সময় পলিপাস তৈরি হয় বলে অনেকে মনে করেন। নাকে পলিপাস হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে বংশগত।
পূর্বের থেকে পরিবারের কোন সদস্যের যদি নাকের পলিপাস হয়ে থাকে এটার একটা বংশগত ধারা পরবর্তী প্রজন্ম পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। উপরের আলোচনা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, এলার্জি থেকে নাকের পলিপাস এর সূচনা। আবার নাকের এলার্জি বিভিন্ন ধূলাবালি, ধোঁয়া ইত্যাদির কারণে হয়ে থাকে।
সুতরাং আমাদের উচিত হবে ধুলাবালি, ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা। পলিপাস হওয়ার কারণগুলো আপনারা সহজেই বুঝতে পেরেছেন। এবার নাকের পলিপাসের প্রকারভেদ ও নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় এ সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
নাকের পলিপাসের প্রকারভেদ।
নাকের পলিপাসের প্রকারভেদ জানা থাকলে এটি চিকিৎসা করানো সহজ হয়। নাকের পলিপাসকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
- ইথময়েড পলিপাস যেটা এলার্জিজনিত কারণে হয়ে থাকে। এই ধরনের পলিপাস দুই নাকে দেখা যায়।
- এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপাস এটি মূলত ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে এবং এটি এক নাকে দেখা যায়।
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনার নাকের পলিপাস কোন প্রকারের তা নির্ণয় পূর্বক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয়।
নাকের পলিপাস একটি সাধারণ সমস্যা যেটাকে আমরা অনেকেই নাকের পলিপ বলে মনে করি। নাকের পলিপাসের আকার ও রোগী ভেদে সমস্যাগুলোর তারতম হয়ে থাকে। নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় তার নিচে তুলে ধরা হলো। যেমন-
- নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া
- নাক দিয়ে পানি পড়া
- বেশি বেশি হাচ্চি হওয়া
- মাথা ব্যথা হওয়া
- ঘুমানোর সময় নাক দিয়ে শব্দ হওয়া
- নাকের মধ্যে শিরশির করা
- মুখ হা করে ঘুমানো
- ঘ্রাণ শক্তি কমে যাওয়া
- শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
- ঘন ঘন সর্দি জ্বর লেগে থাকা
- কন্ঠস্বর পরিবর্তন হওয়া
- খাবারের প্রতি অরুচি আসা
- চোখের আশেপাশে সামান্য ব্যথা অনুভব
- গলায় খুশখুসে ভাব থাকা
নাকে পলিপাস এসব সমস্যা ছাড়াও রোগীর কানে কম শুনতে পারে। অনেক সময় কান বন্ধ হয়ে রয়েছে এর অনুভব করে। প্রিয় পাঠক, নাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয় এবং লক্ষণগুলো কি কি একই বিষয় হওয়াই আলাদাভাবে লক্ষণগুলো নিয়ে আর আলোচনা করা হয়নি।
নাকের পলিপাস হলে করনীয় কি?
যে কোন বয়সের মানুষের নাকের পলিপাস সমস্যা দেখা দিতে পারে এক্ষেত্রে বিচলিত না হয়ে পলিপাসের লক্ষণ গুলো দেখা দেয়া মাত্রই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। আপনারা অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নাকের পলিপাস হলে কি করা উচিত এই বিষয়ে সম্পর্কে। আলোচনার এই অংশে আমি পলিপাস হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
আরো পড়ুনঃএলার্জি কি? নাকের এলার্জি কেন হয়?
প্রাথমিক চিকিৎসা হলো ধুলাবালি ও ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা। যথাসম্ভব ঠান্ডা থেকে নিজেকে দূরে রাখা। শীতকালে বাহিরে গেলে অবশ্যই গরম কাপড় ব্যবহার করা। পলিপাসের উপসর্গ গুলো দেখা দেয়া মাত্রই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। প্রিয় পাঠক, আপনার নাকের পলিপাস যদি প্রাথমিক অবস্থায় থাকে এক্ষেত্রে আপনি স্টরয়েড জাতীয় ওষুধ প্রে করলে ভালো ফলাফল পেতে পারেন।
তবে পলিপাস যদি নাকের সম্পূর্ণ অংশ বা আংশিক অংশ বন্ধ করে দেয় তাহলে সাধারণ ঔষধে কাজ করতে চায় না। এক্ষেত্রে অপারেশন করে নাকের পলিপাস দূর করা সবচেয়ে ভালো। নাকের পলিপাসের অপারেশন বেশ কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। পলিপাসের অপারেশন সাধারণত নির্ভর করে রোগীর ধরণের উপর। ডাক্তাররা সাধারণত পলিপাস অপারেশন করার ক্ষেত্রে রোগীর ধরণের উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।
প্রথমতঃ রোগীকে অবশ করে নাকের পলিপাস বের করে নিয়ে আসা হয়। এই চিকিৎসায় নাকের ভেতরের পলিপাসের কিছুটা দূর করা সম্ভব। তবে এ প্রক্রিয়ায় অপারেশন করার পরে নাকে পলিপাস সম্পূর্ণরূপে ভালো হওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয়। নাকের ভেতরে কিছুটা পলিপাসের অংশ থেকে যায় এবং এ থেকে পুনরায় পলিপাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দ্বিতীয়তঃ আক্রান্ত রোগীকে অজ্ঞান করে ভালোভাবে নাকের পলিপাস গুলো বের করে আনা যায় তবে, নাকের পলিপাস তৈরির সাইনাসের ভেতরে যে ঝিল্লি থাকে যেখান থেকে পলিপাস তৈরি হয় সেটা সম্পূর্ণভাবে দূর করা সম্ভব নয়।
আধুনিক চিকিৎসাঃ বর্তমান যুগে আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা হলো এন্ডোসকপী এর মাধ্যমে পলিপাসের শেখর থেকে সম্পূর্ণভাবে ফেলে দেয়া। এন্ডোস্কোপ ব্যবহার করে অতি সুক্ষভাবে পলিপাসের উৎপত্তিস্থল থেকে পলিপাস কে সম্পূর্ণরূপে ফেলে দেয়া হয়। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এন্ডোস্কোপ এর সাহায্যের পলিপাস ফেলে দেয়া ছাড়া বিকল্প কোন অপারেশন নেই।
পলিপাসের উৎপত্তিস্থল থেকে সম্পন্ন ভাবে ফেলে দিতে পারলে নতুন করে আর পলিপাস হয় না। পুরনো পদ্ধতিতে পলিপাসের অপারেশন করা হলে পলিপাসের কিছুটা অংশ সাইনাসের ভেতর থেকে যেতে পারে এবং তা থেকে পুনরায় নতুন করে পলিপাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যেহেতু পলিপাস সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত করা সম্ভব হয় না।
নাকের পলিপাসের ঔষধ।
আজকের এই আর্টিকেলে আপনারা নাকের পলিপাস কেন হয়? নাকের পলিপাসের লক্ষণ গুলো কি কি? নাকের পলিপাস দূর করার ঘরোয়া উপায়, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন। শুধু এসব বিষয় সম্পর্কে জানলেই নাকের পলিপাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব নয় এর পাশাপাশি আপনাকে জানতে হবে নাকের পলিপাসের ঔষধ সম্পর্কে। পলিপাস হলে কি ধরনের ওষুধ সেবন করা যায় সেটি জানা অত্যন্ত জরুরী। তাহলে চলুন এই বিষয়টি এখন জেনে নেই-
প্রাথমিক অবস্থায় নাকের পলিপাস দূর করার চিকিৎসা ব্যবস্থার অন্যতম একটি মাধ্যম হতে পারে হোমিও চিকিৎসা ব্যবস্থা। হোমিও চিকিৎসা ব্যবস্থা বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো প্রয়োগের মাধ্যমে নাকের পলিপাস দূর করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনি যা করতে পারেন তাহলে আপনার আশপাশের কোন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা।
নাকের পলিপাস যেহেতু নাকের এলার্জি বা অন্যান্য এলার্জিজনিত কারণে হয়ে থাকে তাই আপনি এলার্জিতে যাতে আক্রান্ত না হন এজন্য আন্টি হিসামিন জাতীয় ঔষধ খেতে পারেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী ঔষধ হতে পারে ফেক্সোফেনাডিন ১২০ মি.গ্রা, ড্রক্সিক্যাপ ১০০ মি.গ্রা। তবে মনে রাখবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করা উচিত নয়।
নাকের পলিপাস এর ড্রপ এর নাম।
নাকের পলিপাস দূর করার জন্য বাংলাদেশি বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ধরনের ওষুধ বাজারে বের করেছেন যেগুলো নিয়মিত ব্যবহারের ফলে নাকের পলিপাস ভালো হয়ে যেতে পারে। নাকের পলিপাস এর জন্য আপনি কি ধরনের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন তার কয়েকটি নাম নিচে দেওয়া হল-
- ফ্লুটিকাসোন (Fluticasone)
- বুডোসোনাইড (Budesonide)
- মোমেটাসন (Mometasone)
প্রাথমিক অবস্থায় এই ড্রপগুলো ব্যবহার করলে নাকের পলিপাসের যেসব উপসর্গ দেখা যায় সেগুলো ভালো হতে পারে। এর পাশাপাশি রেসপিজেন নাজাল স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন এসব ড্রপ ব্যবহার বিধি ও পরামর্শের জন্য অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এর বিকল্প কিছু ভাবা উচিত হবে না।
নাকের পলিপাস এর ঘরোয়া চিকিৎসা।
নাকের পলিপাস হলে কি ধরনের চিকিৎসা বা অপারেশন এর মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব এবং প্রাথমিক অবস্থায় কি কি ওষুধ ব্যবহার বা সেবন করলে নাকের পলিপাস ভালো করা সম্ভব এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানলাম এখন আমরা নাকের পলিপাস দূর করার বা চিকিৎসা করার ঘরোয়া বেশ কিছু উপায় সম্পর্কে জানব।
শুধু ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নয় প্রাথমিক অবস্থায় আমরা বেশ কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে নাকের পলিপাস দূর করতে পারি। ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বিশেষ করে শীতকালে নাকের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায় এই সময় পলিপাসের লক্ষণগুলো দ্রুত প্রকাশ পেতে থাকে।
আরো পড়ুনঃক্রিয়েটিনিন কত হলে ডায়ালাইসিস করতে হয়
প্রাথমিক অবস্থায় পলিপাসের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। ঘরোয়া বেশ কিছু চিকিৎসা ব্যবস্থা মাধ্যমে নাকের পলিপাস ভালো করা সম্ভব। ঘরোয়া যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করে নাকের পলিপাস ভালো করা সম্ভব এই বিষয়গুলো হলো-
- নিয়মিত গরম পানির ভাব নিন
- কুসুম গরম পানির সাথে লবণ মিশিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করুন
- এলার্জিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
- চায়ের সঙ্গে আদা অথবা লেবুর রস খাওয়ার অভ্যাস করুন
- নাকের ভেতর দিয়ে যাতে ধুলাবালি প্রবেশ করতে না পারে এজন্য মার্কস ব্যবহার করুন
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন
- শীতের সময় গরম কাপড় ব্যবহার করুন
- গরমের সময় ফ্রিজের ঠান্ডা পানি আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
- শরীর সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন
- নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস করুন
উপরে উল্লেখিত ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে আপনার নাকের পলিপাস দ্রুতই সেরে যাবে। অপারেশনের মাধ্যমে নাকের পলিপাস চিরতরে দূর করা সম্ভব তবে শুরুতেই এটি করা ঠিক নয়। প্রথমে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসা অবলম্বন করা উচিত এর পরও যদি নাকের পলিপাস ভালো না হয় সে ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে অনুযায়ী অপারেশন করে নেওয়াই ভালো।
শেষ কথাঃ
নাকের পলিপাস হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ও চিকিৎসার মাধ্যমে নাকের পলিপাস সম্পূর্ণরূপে ভালো করা সম্ভব। নাকের এলার্জি থেকে যেহেতু নাকের পলিপাস হয়ে থাকে তাই সর্বপ্রথম আমাদের উচিত হবে নাকে যাতে এলার্জি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা আর এই জন্য সকল প্রকার ধুলাবালি থেকে দূরে থাকা উচিত।
ধুলাবালি যেহেতু নাকের এলার্জির অন্যতম প্রধান কারণ তাই ধুলাবালি যাতে শরীরে না প্রবেশ করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আলোচনার শেষ পর্যায়ে এসে একটি কথা না বললেই নয় নাকের পলিপাস প্রাথমিক অবস্থা থেকে যখন চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছে যায় তখন ওষুধ না খেয়ে অপারেশন এর মাধ্যমে অপসারণ করা সবচেয়ে উত্তম কাজ তবে এই জন্য অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
আমার এই আর্টিকেলে উল্লেখিত তথ্য গুলো সম্পর্কে কোন মতামত থাকলে তা কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আজকের এই আর্টিকেলটি কোন রোগের চিকিৎসা পত্র নয় যে কোন প্রকার ওষুধ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url