দাঁত ব্যথা হলে কোন কোন এন্টিবায়োটিক খেতে পারেন তা জানুন
যেকোনো বয়সে যেকোনো সময়ে দাঁত ব্যথা হতে পারে আকর্ষিক দাঁত ব্যথার শুরু হলে এই দাঁত ব্যথা ভালো করার জন্য আমরা বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণ করি। শুরুতেই স্বাভাবিক ব্যথার ওষুধ খাই তাতেও কাজ না হলে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করি। দাঁত ব্যথা হলে কোন কোন এন্টিবায়োটিক খেতে পারেন তার একটি সাধারণ ধারণা আজকে আপনি জানতে পারবেন যা জেনে উপকৃত হতে পারেন।দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক এর নাম, দাঁত ব্যথা হলে করণীয় কি? দাঁত সাদা করার প্রাকৃতিক উপায়। দাঁতের কালো দাগ কেন হয়? দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট এর নাম এ বিষয়গুলো আপনি জানতে পারবেন যদি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি পড়েন।
দাঁত ব্যথা হলে করণীয়।
দাঁত ব্যথা বাংলাদেশের মানুষের অতি পরিচিত একটা সমস্যা। শিশু থেকে বয়স্ক অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিভিন্ন কারণে দাঁত ব্যথা হয়ে থাকে যেমন দাঁতের ক্ষয় দাঁতে বিভিন্ন কারনে ব্যথা পাওয়া বা আঘাত পাওয়া, দাঁতের ফোড়া, দাঁতের মাড়ি ক্ষয় হয়ে যাওয়া, দাঁতের মাড়ির মাংস বৃদ্ধি হওয়া, দাঁত তোলার সম্ভাব্য জটিলতা ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃনাকের পলিপাস হলে কি কি সমস্যা হয়
দাঁত ব্যথা যদি গুরুতর হয় তাহলে তা ঘুম, খাওয়া, চলাফেরা সবকিছুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর এই দাঁত ব্যথা যে কত যন্ত্রণা দায়ক তা সেটা যার হয়েছে সেই ভালো জানে।
- প্রথমে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঠিকমতো দাঁতের যত্ন নেওয়া।
- সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নিয়মিত ভালো মানে টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে তারপর ঘুমাতে যেতে হবে।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে সাথে সাথে পানি দিয়ে কুলি করে দাঁত পরিষ্কার করে নিতে হবে নয়তো ব্রাশ দিয়ে ভালোভাবে ব্রাশ করতে হবে।
- অতিরিক্ত ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার বা ফাস্টফুড বর্জন করতে হবে।
- ধূমপান, অ্যালকোহল, পান, বিড়ি, সিগারেট, গোল ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এতক্ষণ আমরা জানলাম দাঁত ব্যথা প্রতিরোধে জন্য কি কি করতে হবে এখন আমরা জানবো অতি যন্ত্রণাদায়ক এই দাঁত ব্যথা হলে ব্যথা উপশম করার জন্য ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি রয়েছে সে সম্পর্কে।
লবণ ও পানির ব্যবহারঃ কুসুম গরম পানিতে সামান্য কিছু লবণ দিয়ে ৪০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিটের মত কুলকুচি করতে হবে। দিনে ২ থেকে ৩ বার যদি এই কাজটা করা যায় তাহলে দাঁত ব্যথা কিছুটা কমে যাবে। ভালো মানের লবণ মিশ্রিত পেস্ট ব্যথাযুক্ত দাঁতের গায়ে কিছুক্ষণলাগিয়ে রাখলে ব্যথা কমে যাবে লবণে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল থাকে যা দাঁতকে ব্যথা মুক্ত করতে সাহায্য করবে।
রসুনের ব্যবহারঃ এনসিবিআই (NCBI) এর প্রতিবেদন অনুসারে রসুন এ রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা দাঁত ব্যথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দাঁত ব্যথা দূর করার জন্য আপনি রসুনের চা খেতে পারেন, কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন বা রসুনের পেস্ট করে দাঁতের আক্রান্ত স্থানে লাগালে দাঁত ব্যথা কমে যাবে।
লবঙ্গ তেল ব্যবহারঃ ন্যাশনাল ফর বায়োটেকনোলজি ইনফর্মেশন অনুসারে লবঙ্গ তেলে আছে ইউজেনল এবং অ্যাসিটাইল ইউজেনল যা প্রদাহ বিরোধী এবং ব্যথা উপশমকারি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা দাঁত ব্যথায়গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ব্যথাযুক্ত স্থানে লবঙ্গের তেল ব্যবহার করলে দাঁত ব্যথা কমে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃবুকের কফ বের করার সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়
পুদিনা পাতার ব্যবহারঃ পুদিনা পাতায় রয়েছে প্রদাহ কমানোর মত উপাদান যা দাঁত ব্যথা কমায় এবং সংবেদনশীল মাড়ি থেকে মুক্তি দান করে। দাঁত ব্যথা হলে পেপারমিন্ট অয়েল ব্যবহার করুন অথবা দাঁতের উপর হালকা গরম পেপারমিন্ট টি ব্যাগ রেখে দিন এতে দাঁতের ব্যথা অনেকটাই কমে আসবে।
পেঁয়াজের ব্যবহারঃ পেঁয়াজের রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন যা মুখের ব্যাকটেরিয়ার উপর কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দাঁত ব্যথার ঘরোয়া উপায় হিসেবে পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন। দাঁতের ব্যথায় ভুগলে ব্যথা যুক্ত স্থানে পেঁয়াজের টুকরো কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিলে ব্যথা কমে আসবে।
উপরের ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করেও যদি আপনার দাঁত ব্যথা না কমে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ একজন ডেন্টিস্ট ডক্টর দেখানো প্রয়োজন।
দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক।
দাঁত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হলে দাঁতে বিভিন্ন ধরনের প্রদানের সৃষ্টি হয় এবং ব্যথা হয়। দাঁত ব্যথা অনেক যন্ত্রণাদায়ক তাই আমরা দাঁত ব্যথা হলে সাধারণত ওষুধ খেয়ে থাকি। বিশেষ করে ব্যথার ঔষধ এবং এই ব্যথার ওষুধ খেয়েও যদি কাজ না হয় তাহলে দাঁত ব্যথার জন্য ডাক্তাররা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে থাকেন।
অ্যান্টিবায়োটিক অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়া উচিত কিন্তু আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলের বসবাসকারী লোকজন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দাঁত ব্যথায় ভুগে থাকেন এবং এরা নিম্ন মধ্যবিত্ত হওয়ার কারণে সহজে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন না।
আরো পড়ুনঃ এলার্জি কি নাকের এলার্জি কেন হয়
তাই গ্রামে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে থেকে ঔষধ খেয়ে থাকেন আর তারা দাঁত ব্যথার ওষুধের সাথে এন্টিবায়োটিকও দিয়ে থাকেন। দাঁত ব্যথায় সাধারণত যেসব এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় তা নিম্নে দেওয়া হলো-
দাঁত ব্যথার অ্যান্টিবায়োটিক এর নামঃ
- Tab: Amoxicillin 500mg
- Tab: Metronidazole 400mg
- Tab: Azithromycin500mg
- Tab: Clindamycin 300mg
- Tab: Cephalexin 500mg
- Tab: Amoxicillin and clavulanic acid 625mg
- Tab: Doxycycline 100mg
- Tab: Erythromycin 500mg
- Tab: Oral penicillin v potassium 500mg
দাঁত ব্যথার ওষুধ সাধারণ ঔষধের নাম।
দাঁত ব্যথার এন্টিবায়োটিক এর নাম গুলো আপনি উপরে জানতে পারলেন এবার দাঁত ব্যথার সাধারণ ব্যথার ওষুধের নাম গুলো জেনে নিন। এগুলো জানা থাকলে দাঁত ব্যথা সমস্যা দেখা দিলে এ ঔষধ গুলো খেতে পারেন তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ওষুধগুলো খাবেন।
- Tab: Tory 120mg
- Tab: Naproxen
- Tab: Aspirin
- Tab: Ibuprofen
- Tab: Acetaminophen (Tylenol)
দাঁত সাদা করার প্রাকৃতিক উপায়।
মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হচ্ছে দাঁত। দাঁতের সৌন্দর্য মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। ছোট থেকে বড় সব মানুষের একটি আকাঙ্ক্ষা থাকে যাতে তার দাঁ ত সুন্দর ও ঝকঝকে হোক।
দাঁত ঝকঝকে সাদা না হওয়ার কারণে আপনি মন খুলে হাসতেও পারছেন না এটি কিছুটা অপমানজনক। বিভিন্ন কারণে দাঁতে হলদে রং ধারণ করে, দাঁতের গোড়া কালো হয়ে যায়। তাই দাঁতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করি। বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনি অর্থাৎ টুথপেস্ট ব্যবহার করেও কাঙ্ক্ষিত ভাবে দাঁত সাদা করতে পারছেন না।
কিছু ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে এগুলো ব্যবহার করতে পারলে আপনার দাঁত সাদা ও ঝকঝকে হবে।দাঁতের হলদে ভাব ও দাঁতের গোড়া কালো হয়ে যাওয়ার কারণ গুলো নিয়ে আমরা পরবর্তী পর্যায়ে আলোচনা করব। আলোচনার এই পর্যায়ে আমি দাঁত সাদা করার প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া বেশ কয়েকটি উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানাব।
কলার খোসাঃ কলা মানুষের দেহের জন্য যেমন পুষ্টিকর তেমনি এর খোসার রয়েছে দাঁত পরিষ্কার করার ক্ষমতা। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কলার খোসা দিয়ে কিভাবে দাঁত পরিষ্কার করা যায়। এই প্রশ্নের সমাধান আপনি এখানে পেয়ে যাবেন।
আপনার দাঁতগুলো যদি হলদে ভাব হয়ে থাকে তাহলে কলার খোসা সাদা অংশ দাঁতে ঘষলে দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়ে যাবে। এজন্য আপনি যেটি করতে পারেন কলা খাওয়ার পর কলার খোসার সাদা অংশ দাঁতে ঘষে নিন, এরপর সামান্য গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। এভাবে অন্তত ৭ থেকে ১০ দিন ব্যবহার করুন তাহলে নিজেই ফলাফল দেখতে পাবেন।
লবণঃ খাবারে লবণের ব্যবহার হয় এটি আমরা সবাই জানি এবার লবণ ব্যবহার করে কিভাবে দাঁত সাদা ও ঝকঝকে করবেন সেই বিষয়টি বলবো। প্রতিদিন সকালে সামান্য কিছু লবণ নিয়ে এর সঙ্গে কাট পোড়ানো কয়লা মিশিয়ে এক ধরনের মিশ্রণ তৈরি করে নিন।
আরও পড়ুনঃরাতে ঘুম ভালো হওয়ার সাধারণ ১০টি টিপস
প্রতিদিন সকালে এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করতে পারলে আপনার দাঁতের হলুদ ভাব দূর হয়ে যাবে। দাঁতের হলুদ ভাব দূর করার এটি একটি কার্যকরী ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায়। আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে অতি প্রাচীনকাল থেকেই দাঁত পরিষ্কারে লবণ ও কয়লা ব্যবহার হয়ে আসছে।
খাবার সোডাঃ খাবার সুস্বাদু করতে ও খাবারের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আমরা বাসা বাড়িতে খাবারের সঙ্গে খাবার সোডা ব্যবহার করি। আপনি জেনে অবাক হবেন এই খাবার সোডা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
প্রতিদিন সকালে টুথপেস্ট এর সাথে সামান্য পরিমাণ খাবার সোডা মিশিয়ে ব্রাশ করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে অন্তত ২দিন এভাবে ব্রাশ করলে আপনার দাঁত সাদা ও ঝকঝকে হবে।
কয়লার গুড়োঃ একটা সময় আমাদের দেশের কম বেশি সবাই দাঁত পরিষ্কার করতে কয়লার গুড়ো ব্যবহার করত। কিন্তু বর্তমানে দাঁত পরিষ্কার করতে কয়লার গুড়ার ব্যবহার আর দেখা যায় না। অনেকে এটাকে অবৈজ্ঞানিক বলেও ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। তবে যে যাই বলুক দাঁত পরিষ্কার করতে কয়লার গুড়ো কার্যকরী একটি উপাদান।
প্রতিদিন সকালে ব্রাশ করার সময় সামান্য পরিমাণ কয়লার গুড়ো ও টুথ পাউডার মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি ব্যবহারের ফলে আপনার দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়ে যাবে। তবে এই মিশ্রণটি বেশিক্ষণ ব্যবহার করবেন না এতে করে আপনার মুখের ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
কমলালেবুর খোসাঃ কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। আপনার দাঁতে জমে থাকা মাইক্রোঅর্গানিজম এর বিরুদ্ধে লড়াই করে ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম। তাই প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কমলালেবুর খোসা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন ব্যবহারের ফলে আপনার দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়ে যাবে।
তুলসী পাতাঃ তুলসী পাতার উপকারিতা কথা আপনি আগেই শুনেছেন তবে আজকে একটি নতুন তথ্য জেনে নিন তুলসী পাতা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এই জন্য আপনি যেটি করতে পারেন তুলসী পাতা সংগ্রহ করে সেগুলো রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
এরপর এগুলো বেটে পাউডার বানিয়ে নিন। তুলসী পাতার গুড়ো টুথপেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ব্রাশ করলে দাঁত শক্ত ও মজবুত হওয়ার পাশাপাশি দাঁতের যে হলদে ভাব রয়েছে সেটি ভালো হয়ে যাবে।
নিমঃ আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে নিম পাতার ডাল দিয়ে দাঁত মাজার প্রাকৃতিক পদ্ধতি অতি প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত রয়েছে। আজও গ্রামের অনেকেই এই পদ্ধতি ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কার করে এটি খুবই স্বাস্থ্যসম্মত একটি পদ্ধতি। নিমপাতার ডাল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে দাঁতের গোড়া শক্ত ও মজবুত হয় এর পাশাপাশি দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়ে যায়।
সুপারির ছালঃ আপনি পানের সঙ্গে যে সুপারি খেয়ে থাকেন এই সুপারির ছাল দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলে দাঁতের হলদে ভাব খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়। দাঁতের হলদে ভাব দূর করার এটি ভালো প্রাকৃতিক পদ্ধতি।
লেবুর রসঃ লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। লেবুর রসের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে দাঁতে ঘষলে দাঁত সাদা ও ঝকঝকে দেখায়। লেবুর রস ও লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের জীবাণু ধ্বংস হয়। সপ্তাহে অন্তত ২থেকে ৩ দিন এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
শুধুমাত্র টুথপেস্ট দিয়ে ব্রাশ করলে দাঁতের হলদে ভাব ভালো করা সম্ভব নয় এর পাশাপাশি ঘরোয়া এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করুন এতে আপনার দাঁত সুন্দর ও ঝকঝকে হবে। সুন্দর দাঁত ঝকঝকে হাসি আমরা সবাই ভালবাসি।
দাঁতের কালো দাগ কেন হয়?
নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করার পরেও অনেকের প্রশ্ন থাকে দাঁতের কালো দাগ কেন হয় দাঁতের কালো দাগ কেন হয় এই প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে গেলে নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। দাঁতের কালো দাগ হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে রয়েছে ধূমপান করা পান সুপারি জর্দা ও তামাক জাতীয় দ্রব্যাদি খাওয়া।
এছাড়া হাতের কালো দাগের অন্যতম প্রধান কারণ হলো দন্তমল বা ডেন্টাল প্ল্যাক আমরা যা খাই তার কিছু খাদ্য কণা দাঁতের ফাঁকে বা দাঁতের উপরের জমা থাকে পরে এগুলো শক্ত আবরণ তৈরি হয় এবং দাঁতের এক ধরনের হলদে ভাব তৈরি হয়।
প্রতিদিন সকালের নাস্তার পর এবং রাত্রে নৈশ ভোজের পর নিয়মিত ব্রাশ করুন এর পাশাপাশি আপেল, আমলকি, পেয়ারা, আমড়া এ জাতীয় শক্ত ফল চিবিয়ে খান। এছাড়া কিছু শাকসবজি রয়েছে যেমন শসা, টমেটো, গাজর নিয়মিত চিবিয়ে খেলে দাঁত পরিষ্কার থাকে। আপনার দাঁত পরিষ্কার রাখতে আখ চিবিয়ে খেতে পারেন এটি একটি ভালো মাধ্যম দাঁত ঝকঝকে ও পরিষ্কার রাখার।
দাঁত সাদা করার টুথপেস্ট।
দাঁত সাদা করার জন্য আমরা নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের টুথপেস্ট ব্যবহার করি আসলেই কি টুথপেস্ট ব্যবহার করলে দাঁত সাদা হয় এই প্রশ্নটি থেকেই যায়। নিয়মিত টুথপেস্ট ব্যবহার করলে দাঁত সাদা হয় কিনা এটি জানতে হলে আমাদের সাথে থাকুন।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টুথপেস্ট বিক্রি করতে দেখা যায় এগুলো শুধুই বিজ্ঞাপন মাত্র আসলে টুথপেস্ট ব্যবহার করলে দাঁত সাদা হয় না। বাজারে বিভিন্ন ধরনের টুথপেস্ট পাওয়া গেলেও এগুলোর উপাদান প্রায় একই রকমের।
শুধুমাত্র স্বাদে ও গন্ধে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। টুথপেস্ট ব্যবহার করলে যদি দাঁত সাদা হত তাহলে অনেকেই শুধুমাত্র টুথপেস্ট ব্যবহার করত এটি নিছক একটি বিজ্ঞাপন মাত্র। বিশেষজ্ঞদের মতামত হলো টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত কখনো সাদা হয় না টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কার হয়।
প্রিয় পাঠক নিশ্চয়ই আপনি জানতে পারলেন দাঁত সাদা করার টুথপেস্টের ব্যবহার ও দাঁত সাদা করার জন্য টুথপেস্ট কতটা কার্যকরী। দাঁতের হলুদ ভাব ও কালচে ভাব দূর করার জন্য টুথপেস্ট এর পাশাপাশি অবশ্যই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনার দাঁত সুন্দর ঝকঝকে দেখাবে।
শেষ কথাঃ
দাঁত ব্যথার কোন কোন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে এই বিষয়ে যে ধারণা আপনি পেলেন তা নিছক একটি সচেতনতা মূলক। এটি কোন চিকিৎসা পত্র নয় যে কোন প্রকার ওষুধ গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
অন্যদিকে দাঁতের সৌন্দর্য রক্ষায় ছোটবেলা থেকেই অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, লাইফ স্টাইল মেনে চলতে হবে, নিয়মিত জানতে দাঁতের যত্ন নিতে পারলে দাঁতের যে কোন সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। আসুন আমরা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা করি এতে আমাদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url