রাতে ঘুম ভালো হওয়ার সাধারণ ১০টি টিপস
রাতে ঠিকমত ঘুম আসছেনা এটা নিয়ে আপনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন রাতে যেন ঠিকঠাক ঘুম হয় এজন্য বাজার থেকে ঘুম হওয়ার ওষুধ কিনে খাচ্ছেন তারপরেও ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না আপনি যদি এই সমস্যায় মধ্যে পড়েন তাহলে, আজকের এই আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কেননা এখানে রাতে ঘুম ভালো হওয়ার সাধারণ ১০টি টিপস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেটি আপনার জন্য খুবই উপকারী ও দরকারি।
এই আর্টিকেল পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়? কোন কোন খাবার খেলে ভালো ঘুম হয়, রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম কি? দ্রুত ঘুম আসার দোয়া গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলো।
এই আর্টিকেল পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়? কোন কোন খাবার খেলে ভালো ঘুম হয়, রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম কি? দ্রুত ঘুম আসার দোয়া গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলো।
রাতে ঘুম ভালো হওয়ার সাধারণ ১০টি টিপস।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষের কাছ থেকে শোনা যায় যে তার রাত্রে ঘুম ভালো হচ্ছে না। বিছানায় শুয়ে শুয়ে এপাশ ওপাশ ও ঘড়ির কাঁটা দেখে রাত পার হয়ে যাচ্ছে। রাত্রের একেবারে শেষ দিকে কিছুটা ঘুমের ভাব আসলেও ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না। বিছানায় ঘুমাতে গিয়ে যদি ঘুম না আসে এর মত যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি খুব কমই রয়েছে।
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর সবচেয়ে বড় অন্তরাই হচ্ছে মোবাইল ফোন। ঘুমাতে গিয়েও বিছানায় শুয়ে শুয়ে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভাইরাসটির কারণে বর্তমান সময়ে তরুণ তরুণীদের মধ্যে ভালো ঘুম ভালো হয় না বলে বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে উঠে এসেছে।
ঘুম ভালো না হলে শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যায়। শরীর যদি সুস্থ না থাকে ঠিকমতো কাজে মন বসে না, অস্থিরতা তৈরি হয়, ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় আরো অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। এ পর্যায়ে আমি ঘুম ভালো হওয়ার সাধারণ কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
এই টিপস গুলো মেনে চললে কোন প্রকার ওষুধ গ্রহণ ছাড়াই আপনার ঘুম ভালো হবে। চলুন সেই টিপস গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।
শারীরিক পরিশ্রম করাঃ ঘুম ভালো হওয়ার সাধারণ টিপসের মধ্যে প্রথম যেটি নিয়ে বলবো সেটি হল শারীরিক পরিশ্রম করা। প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম করতে পারলে আপনার ঘুম ভালো হবে এটা নিশ্চিত। কঠোর পরিশ্রম করলে শরীর অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে যায় ক্লান্ত শরীলে ভালো ঘুম হয় এটি আমরা সবাই জানি।
শারীরিক পরিশ্রমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত নয় তাদের মূল খুব একটা ভালো হয় না এর কারণ হলো শারীরিক পরিশ্রম করলে শরীর কিছুটা ক্লান্ত থাকে আর আমি আগেই বলেছি শরীর ক্লান্ত থাকলে ঘুম বেশি হয় খুব ভালো হয়।
আপনি যদি শারীরিক পরিশ্রমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত না থাকেন তাহলে আপনার জন্য পরামর্শ হলো নিয়মিত প্রতিদিন অন্তত দেড় ঘন্টা শারীরিক ব্যায়াম করবেন।এতে করে শরীর কিছুটা ক্লান্ত ভাব হবে এবং ঘুম ভালো হবে।
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোঃ ঘুম ভালো হওয়ার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ যে টিপস রয়েছে সেটি হল প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় করে আপনাকে ঘুমাতে যেতে হবে। আপনি যত তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাবেন আপনার শরীর স্বাস্থ্য তত ভালো থাকবে। বেশি রাত জেগে থাকা ঠিক নয় বেশি রাত জাগলে ঘুম ভালো হয় না।
তাই সব সময় চেষ্টা করবেন রাতের প্রথম ভাগে ঘুমিয়ে পড়ার। বেনজামিন ফ্রাংলিন বলেছেন,“Early to bed and early to rise makes a man healthy, wealthy and wise.” আপনি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যাবেন আপনার ঘুমানোর নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ৩ ঘন্টা পূর্বে আহার সেরে নিতে হবে।
চিন্তা মুক্ত থাকাঃ ঘুম ভালো না হওয়ার একটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো চিন্তাগ্রস্ত থাকা। মানসিক চিন্তায় আসন্ন থাকলে আপনি ঘুমাতে পারবেন না। সব সময় মাথার মধ্যে ওই চিন্তাগুলো শুধু ঘুরপাক খাবে এতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।
তাই আমি বলব ভালো ঘুম হওয়ার জন্য আপনাকে সবার আগে চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে কোন প্রকার চিন্তার মধ্যে নিমগ্ন থাকা যাবে না। অফিসের কাজ অফিসে আর বাড়ির কাজ বাড়িতে করতে হবে ।
ঘুমের ভালো পরিবেশঃ ঘুম ভালো হওয়ার উন্নতম একটি টিপস হল ঘুমের ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করা অর্থাৎ আপনি যে বিছানায় ঘুমাবেন বিছানা যাতে তুলনামূলক বেশি নরম এবং বেশি শক্ত না হয়। আপনার ঘুমানোর ঘরের পর্যাপ্ত পরিমাণের বাতাস সরবরাহ হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
ঘর যাতে বেশি গরম না হয় সে দিকের নজর দিতে হবে এবং এমন আলো ব্যবহার করতে হবে যাতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত না ঘটে প্রয়োজন হলে বৈদ্যুতিক বাল্ব বন্ধ করে ঘর একদম অন্ধকারাচ্ছন্ন করতে হবে।
আপনি যে ঘরে ঘুমাবেন সেই ঘরটির আলাদা রাখুন, ঘুমানোর আগে শোবার ঘরে যতটা কম পারা যায় না যাওয়া সবচাইতে ভালো। সারাদিনের কাজ শেষ করার পর শুধুমাত্র ঘুমানোর জন্যই আপনি বিছানায় যাবেন এর আগে বিছানায় গেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে ।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণঃ আলোচনার শুরুর দিকে আমি উল্লেখ করেছি যে ঘুম ভালো হওয়ার জন্য ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার কোন বিকল্প নাই। তাই প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ঘুম ভালো হওয়ার জন্য অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে ।
পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি পান করাঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এতে করে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে পানি শূন্যতা দেখা দিবে না। শারীরিকভাবে পানি শূন্যতা দেখা দিলে ঘুম ভালো হয় না। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ লিটারদুই লিটার পানি পান করুন।এতে করে আপনার ঘুমও ভালো হবে শরীর অসুস্থ থাকবে।
নিয়মিত গোসল করুনঃ ভালো ঘুম আসার জন্য আপনাকে নিয়মিত গোসল করতে হবে। আপনি যদি ঠিক মতো গোসল না করেন তাহলে শারীরিকভাবে আপনাকে অন্যমনস্ক দেখাবে। ঘুম ভালো হওয়ার এটি একটি অন্যতম টিপস। কি গরম! কি শীত কি! সব ঋতুতে আপনার ঘুম ভালো হওয়ার জন্য অবশ্যই গোসল করা উচিত। গোসল করলে শরীর ফুরফুরে থাকে এতে করে ঘুম ভালো হয়।
নিয়মিত দুধ পান করুনঃ প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ পান করে নিন। দুধ আপনার ঘুমের জন্য সহায়ক। দুধ পান করার ১ ঘণ্টা পর বিছানায় গিয়ে সম্পূর্ণ চিন্তা মুক্ত থেকে শরীরকে আস্তে আস্তে বিছানার সঙ্গে লাগিয়ে দিন এবং চোখ বন্ধ করুন খুব দ্রুত ঘুম চলে আসবে।
নিয়মিত প্রার্থনায় অংশগ্রহণঃ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের আচার-আচরণে ধর্মের একটি প্রভাব রয়েছে যেটা অনস্বীকার্য। ধর্ম আমাদের জীবন আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে সঠিক পথ দেখায়। তাই ঘুম ভালো হওয়ার জন্য আপনি যে ধর্মেরই অনুসারী হোন না কেন নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় প্রার্থনা গুলো যথা নিয়মে পালন করুন এতে আপনার ঘুম ভালো হবে।
ধূমপান থেকে বিরত থাকুনঃ যারা অতিরিক্ত ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা ধূমপান করলে চোখের ঘুম হারিয়ে যায়। আপনার যদি ধূমপান করার অভ্যাস থেকেই থাকে তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার ৪ ঘন্টা আগে ধুমপান পরিত্যাগ করুন অর্থাৎ আপনি যখন ঘুমাবেন তার ঠিক ৪ ঘন্টা পূর্বে ধূমপান সেরে ফেলুন।
সূর্যের আলোর সংস্পর্শঃ আপনারা যারা বিভিন্ন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকেন বেশিরভাগ সময়ই বদ্ধ ঘরের আবদ্ধ থেকে কাজ করতে হয় তাদের জন্য পরামর্শ হলো। প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট সূর্যের আলোর মধ্যে থাকুন এটি আপনার মস্তিষ্ককে দিন এবং রাত্রের পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করবে। আপনার মস্তিষ্ক দিন ও রাতের পার্থক্য ঠিকমতো বুঝলে রাত্রে নিজ থেকে ঘুম আসে।
এছাড়া রাত্রে ঘুম ভালো হওয়ার জন্য ঘুমানোর ঠিক ৪ ঘন্টা আগে চা কফি, ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার, গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। রাত্রেবেলা ভারি খাবার না খাওয়া সবচাইতে ভালো কেননা ভারি খাবার খেলে পেট বেশি ভারী থাকেঅস্বস্তি অনুভূত হয় যার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
প্রতিদিন রাত্রে হালকা খাবার খাবেন এতে করে আপনার ঘুম ভালো হবে। সম্ভব হলে ঘুমাতে যাওয়ার ১৫ মিনিট আগে হালকা ব্যায়াম করে নিন।আশা করি এই টিপস গুলো মেনে চললে আপনার ঘুম ভালো হবে গুরুত্বই তো পারছেন ঘুম ভালো হলে সারাদিন আপনার কাজে কর্মের প্রতি মনোযোগ বাড়বে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়।
মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে ঘুম একটি অতি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। মানুষের জীবনে ঘুম এতটাই প্রয়োজনীয় যে সামান্য পরিমাণ ঘুমের সমস্যা হলে শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের শরীর যে ক্লান্ত হয়ে পড়ে এই ক্লান্তি দূর করতে পারে একমাত্র ঘুম। কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমেরও প্রয়োজন রয়েছে।
সারারাত যদি ঘুম ভালো না হয় পরের দিনে কাজের প্রতি অনীহা, মেজাজ খিটখিটে, শারীরিক দুর্বলতা এই ধরনের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমের প্রয়োজন শারীরিক সুস্থতার জন্য ও নিজের কর্ম স্পৃহা বাড়াতে ঘুম যে কতটা প্রয়োজনীয় উপাদান তা আমরা অনেকেই হারে হারে টের পাই যেদিন রাত্রে ঘুম কম হয়।
নির্দিষ্ট কয়েকটি ভিটামিন রয়েছে এই ভিটামিন গুলো শরীরের ঘাটতি থাকলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয় এটি আপনাদের জানাবো।
ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-৬,ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা-৩,আয়রন এই কয়টি ভিটামিনের অভাবে সাধারণত ঘুম কম হয়ে থাকে ।
কি খেলে ঘুম বেশি হয়।
কি খেলে ঘুম বেশি হয় এটি দিয়ে বোঝানো হয়েছে কোন কোন খাবার খেলে ঘুমের সমস্যা সমাধান হতে পারে। উপরে আপনারা জেনেছেন কোন কোন ভিটামিনের অভাবে ঘুম কম হয়। কোন কোন খাবারের মধ্যে এই ভিটামিন গুলোর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এই বিষয়টি জানা দরকার। আর এটি জানতে পারলে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন কি খেলে ঘুম বেশি হয়।
ভিটামিন- ডি সমৃদ্ধ খাবারঃ শরীরের ভিটামিন ডি এর অভাব হলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের খাবার গ্রহণ করতে পারি। ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডিম ও ডিমের কুসুম, দুধ ও দুগ্ধজাত বিশেষ করে দই ঘি, কমলা ও মাশরুম ইত্যাদি।
এছাড়া সূর্যের আলো থেকে আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি। সূর্যের আলো থেকে আমাদের শরীরের সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হয়ে থাকে। তাই প্রতিদিন সকালবেলা সূর্য ওঠার পর কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট সূর্যালোকে স্নান করা উচিত এতে করে শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ হবে।
আর শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন ডি এর উপস্থিতি আপনার শারীরিক সুস্থতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমের নিশ্চয়তা দিতে পারে।
ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ খাবারঃ ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ যেসব খাবার খেলে ঘুম বেশি হয় এই খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গরুর মাংস, পাখির মাংস, মাছ, কলা ও ছোলা। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণের এই খাবার গুলো খেলে আপনার ঘুমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারঃ ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরের হাড়ের গঠন বৃদ্ধি ও হারকে মজবুত করতে সহায়তা করে। এছাড়া আমরা যারা ঘুমের সমস্যার মধ্যে ভুগি অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হয় না তারা চাইলে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এইসব খাবারগুলো খেতে পারেন। যেমন- কাঠবাদাম, ব্রকলি, কলা, পালং শাক, আলু, কুমড়ার বীজ, চিনা বাদাম।
ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবারঃ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমানোর জন্য ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া যেতে পারে। ওমেগা -৩ সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে ঘি, ছোলা, কলা, আলু, গরুর দুধ, ডিম, আখরোট। আপনি যদি রাত্রে ঠিকমতো ঘুমাতে না পারেন এই জাতীয় খাবার খেলে ঘুমের সমস্যা দূর হবে বলে আশা করা যায়।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবারঃ আইরন আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। এই ভিটামিন আমাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগবালায়ের হাত থেকে রক্ষা করে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেলেপ্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম হবে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খাবার হলো আমড়া, মসুর ডাল, সয়াবিন, খেজুর, কলিজা, ডার্ক চকলেট, পালংশাক ও সিদ্ধ আলু।
পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম করার পরেও যদি আপনার রাত্রে ঘুম না হয় তাহলে আপনি খাদ্যাভাসের পরিবর্তনগুলো করতে পারেন। উপরে উল্লেখিত খাদ্যগুলো নিয়মিত পরিমাণের খেলে আশা করি আপনার ঘুম না হওয়ার সমস্যা এবং ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যাওয়ার যে সমস্যায় ভুগছেন এটি দূর হবে ।
রাতে ঘুম না আসার রোগের নাম।
সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঘুম হলো মহান সৃষ্টিকর্তার অন্যতম একটি নেয়ামত। শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির জন্য সৃষ্টিকর্তা রাতের মতো একটি বড় নেয়ামত দান করেছেন। তাইতো প্রতিদিন হাড় ভাঙ্গানো কঠোর পরিশ্রমের পর রাত্রে ঠিকমতো ঘুমাতে না পারলে পরের দিন কাজে মন বসে না, শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে পড়ে আরো কত না সমস্যা দেখা দেয়।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। ব্যস্ততার কারণে এটি সম্ভব না হলে কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুমানো অবশ্যই প্রয়োজন। এর কম ঘুম হলে আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন।
শিশুদের ক্ষেত্রে ৯ থেকে ১৩ ঘন্টা এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১২ থেকে ১৭ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ঘুম আমাদের জীবনের কতটা প্রয়োজনীয় একটি নেয়ামত। ঘুম নিয়ে এত কথা বললাম স্বাভাবিকভাবে মনে প্রশ্ন জাগে তাহলে কি! ঘুম না আসা কোন রোগ কিনা? হ্যাঁ চিকিৎসার ভাষায় এটি এক ধরনের রোগ আর চিকিৎসার ভাষায় এই রোগকে বলা হয় ইনসমনিয়া।
ঘুমানোর জন্য রাতের বিছানায় যাওয়ার পর ঠিকমতো ঘুম আসে না এপাশ-ওপাশ করতে রাত পার হয়ে যায়। কোন সময় ঘুম আসলেও হঠাৎ আবার ঘুম ভেঙ্গে যায় আবার কিছুক্ষণ পর ঘুম আসে এই ধরনের সমস্যাকে সাধারণত ইংরেজি ভাষায় ইনসমনিয়া বলে। এটিকে বাংলায় বলা হয় অনিদ্রা।
এই অনিদ্রা জর্নিত সমস্যা এক ধরনের রোগ। সঠিক চিকিৎসা নিলে এই রোগ ভালো হয় এর জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
দ্রুত ঘুম আসার দোয়া।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে রাত্রে সঠিকভাবে ঘুম না হওয়ার সমস্যা একটি বড় আকার ধারণ করেছে। বেশিরভাগ মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন রাত্রে যাতে সঠিকভাবে ঘুম হয় এই জন্য অনেকেই আছেন ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খায় যাতে সঠিকভাবে ঘুম হয় তারপরেও অনেকের ঘুম আসে না ঘুম যেন অধরা থেকে যাচ্ছে।
এরকম সমস্যার মধ্যে যদি আপনি পড়ে যান তাহলে পবিত্র ইসলাম ধর্মের ঘুম না আসার যে দোয়ার কথা বলা হয়েছে এটির পাঠ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। আপনি আগে জেনেছেন ঘুম হচ্ছে মানুষের জন্য বা প্রাণীকুলের জন্য আল্লাহ পাকের অশেষ একটি নেয়ামত।
এই সম্পর্কে আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনের সূরা ফোরকানের ৪৭ নম্বর আয়াতে বলেছেন,“ আর তিনিই তোমাদের জন্য রাতকে করেছেন আবরণ নিদ্রাকে করেছেন আরামপ্রদ আর দিনকে করেছেন আবার জীবন্ত হয়ে ওঠার সময়।”
অন্যদিকে সূরা নাবার ৯ থেকে ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক উল্লেখ করেছেন,“তোমাদের ঘুমকে শান্তির উপকরণ বানিয়েছি আর রাতকে আবরণ করে দিয়েছি।”
প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শুয়ে শুয়ে এই দোয়া পড়ুন তাহলে দ্রুত ঘুম চলে আসবে।
উচ্চারণঃ ‘আল্লাহুমা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।’
অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমারই নামে ঘুমাই এবং তোমারই নামে জাগ্রত হই।”
হযরত হুজাইফা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,“ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের বেলায় নিজ বিছানায় শোয়ার সময় নিজ গালের নিচে হাত রাখতেন আর এই দোয়া পড়তেন।” সহীহ বুখারী ৩৩১৪
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠক এতক্ষণে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে যে বিষয়গুলো জানতে পারলেন এটি শুধুমাত্র সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এটি কোন চিকিৎসার পরামর্শ নয়। তবে আজকের এই আর্টিকেলে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে তা আপনার প্রাত্যাহিক জীবনে কাজে আসবে এটা আমি আশা করি। তো বন্ধুরা আজ এই পর্যন্ত আগামী কোন আর্টিকেল নিয়ে আবার আপনাদের সাথে অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা হবে সেই পর্যন্ত আপনারা সুস্থ থাকবেন এই কামনা করি।
প্রশ্নঃকোন ওষুধ খেলে দ্রুত ঘুম আসে?
উত্তরঃ Diazepam 5mg
প্রশ্নঃগভীর ঘুমের ঔষধের নাম কি
উত্তরঃ Rivotril 0.5mg
প্রশ্নঃসবচেয়ে বেশি পাওয়ারের ঘুমের ঔষধের নাম
উত্তরঃClinazepam 2mg
প্রশ্নঃঘুমের ওষুধ খেলে কি ক্ষতি হয়
উত্তরঃ দীর্ঘমেয়াদী একটানা ঘুমের ওষুধ খেলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যায়।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url