পাকা চুল কালো করার ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে নিন

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে এটি নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই। যারা অল্প বয়সে ও বয়সের কারণে চুল পাকার অস্বস্তিতে রয়েছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই আর্টিকেলে পাকা চুল কালো করার ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
পাকা চুল কালো করার ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে নিন
আপনি যদি পাকা চুল কালো করার ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে দেরি না করে এই আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে পাকা চুল কালো করার পাঁচটি পদ্ধতি। এই ৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পাকা চুল কালো করার ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতি।

পাকা চুল কালো করার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে, আপনি যাতে সহজে বুঝতে পারেন এইজন্য পাকা চুল কালো করার এই পদ্ধতি গুলোকে আমি মোটামুটি ৫টি ভাগে ভাগ করেছি। যেমন- নারিকেল তেল দিয়ে চুল কালো করার পদ্ধতি, লেবুর রস দিয়ে চুল কালো করার পদ্ধতি, চা পাতা দিয়ে চুল কালো করার পদ্ধতি, চুল কালো করার তেল ও পাকা চুল কালো করার শ্যাম্পু। 

চলুন এই ৫টি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা শুরু করি।। শুরুতেই নারিকেল তেল দিয়ে পাকা চুল কালো করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। এরপর ধাপে ধাপে অন্য ৪টি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি পুরো আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

নারিকেল তেল দিয়ে চুল কালো করার উপায়।

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও পুষ্টি যোগানের জন্য আমরা সবাই নারিকেল তেল ব্যবহার করি। সরাসরি নারিকেল তেল ব্যবহার করলেন এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায় কেননা নারিকেল তেলের রয়েছে আন্টি অক্সিজেন ক্ষমতা যা চুলের গোড়া মজবুত করে। বর্তমানে চুলের যত্নে যেসব তেল আমরা ব্যবহার করি এসব তেলের মূল উপাদান হচ্ছে নারিকেল তেল বা নারিকেল।
নারিকেল তেলের সঙ্গে অন্যান্য কেমিক্যাল যুক্ত করে বা মডিফাই করে বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরি করা হয়। সরাসরি নারিকেল তেল ব্যবহারের ফলে চুলের পুষ্টির চাহিদার পূরণ হয়ে থাকে এটি আমরা সবাই জানি। নারিকেল তেলের সঙ্গে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে চুল কালো করা যায় কিভাবে এটি এখন আপনাকে জানাবো।

নারিকেল তেল ও আমলকিঃ চুলের যত্নে নারিকেল তেলের ব্যবহার সবার জানা অন্যদিকে আমলকি হচ্ছে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টক জাতীয় ফল। এই দুই উপাদান মিশিয়ে চুল কালো করার বিশেষ এক ধরনের মিশ্রণ তৈরি করা যায় যা আপনার চুলকে কালো করতে সাহায্য করবে।

আমলকির গুড়া ২ চা চামচ ও সমপরিমাণ হালকা গরম নারিকেল তেল নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর মাথার চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার পর শ্যাম্পু সহ ঠান্ডা
পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন।

নারিকেল তেল ও কারি পাতাঃ আয়ুর্বেদী শাস্ত্রে কারিপাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হলেও চুলের যত্নে এই পাতা ব্যবহার খুবই কার্যকর। সাদা চুল কালো করার জন্য নারিকেল তেলের সঙ্গে কারি পাতার মিশ্রণ আপনার চুলকে কালো করতে সাহায্য করবে।

এই জন্য আপনাকে যা করতে হবে তাহলো ৪ থেকে ৫টি কারি পাতা ৩ চামচ নারিকেল তেলের সামান্য গরম করে নিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। ১ ঘন্টা রেখে দিন তারপর ঠান্ডা পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।

নারিকেল তেল ও মেথিঃ যারা নিয়মিত হজমের সমস্যায় ভোগেন তাদের কাছে মেথি একটি পরিচিত নাম। কেননা মেথির রয়েছে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার কার্যকর ক্ষমতা। এবার মেথি দিয়ে কিভাবে চুল কালো করা যায় এটি জানাবো।

নারিকেল তেলের সঙ্গে কয়েক দানা মেথি মিশিয়ে ৮-১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। পাতলা কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি আপনার মাথায় ও চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১ ঘন্টা রেখে দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২দিন এটি ব্যবহার করতে পারেন।
সরাসরি নারিকেল তেল ব্যবহার করলে চুলের অন্যান্য পুষ্টি উপাদান বজায় থাকে তবে নারিকেল তেলের সঙ্গে অন্যান্য উপাদান মিশে বিভিন্ন ধরনের মিশ্রণ তৈরি করে তা মাথায় ও চুলে মাখলে চুল কালো ও ঝলমলে হয়। প্রিয় পাঠক আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায়।

এতক্ষণ আপনি নারিকেল তেল এর সঙ্গে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে কিভাবে চুল কালো করা যায় তা জেনেছেন। এবার লেবুর রস দিয়ে কিভাবে চুল প্রাকৃতিকভাবে কালো করা যায় তা জানতে পারবেন। শুধু তাই নয় লেবুর রসের সাথে অন্যান্য উপাদান বিশেষ করে নারিকেল তেল, মধু, ডাবের পানি, ডিমের কুসুম, হেনা পাতার গুঁড়ো ও অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে কিভাবে ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সাদা চুল কালো করতে পারবেন।

তাহলে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে লেবু বা লেবুর রস দিয়ে কিভাবে চুল কালো করা যায় সেই পদ্ধতিগুলো জেনে নেই-

লেবুর রস ও নারিকেল তেলঃ লেবু বা লেবুর রসের পুষ্টি উপকারিতার কথা আপনি হয়তো জানেন। প্রতিদিন খাবার টেবিলে অনেকের লেবু না হলে চলে না। লেবুর রস খাওয়া যেমন উপকারী তেমনি চুলের যত্নে এর কার্যকারিতা অপরিসীম।

৩ চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ৩ চা চামচ নারিকেল তেল হালকা আঁচে গরম করে নিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। সপ্তাহে অন্তত ২ দিনে ব্যবহারের ফলে ধীরে ধীরে আপনার সাদা চুল গুলো কালো হয়ে যাবে।

লেবুর রস ও মধুঃ দেহের তাপ ও শক্তি যোগাতে আমরা কোন পরামর্শ ছাড়াই মধু খেয়ে থাকি। এছাড়া মধুতে রয়েছে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ম্যাজিক। মধুতে প্রায় ৪৫ টি খাদ্য উপাদান রয়েছে। সাদা চুল কালো করার জন্য লেবুর রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে এক ধরনের মিশ্রণ তৈরি করা যায় যেটি নিয়মিত মাখলে সাদা চুল কালো হয়ে যাবে।

২ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে এই মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর এটি চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর ঘন্টাখানেক রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত ২ দিন ব্যবহার করুন।

লেবুর রস, ডিমের কুসুম ও হেনাঃ এখন আমি চুল কালো করার জন্য যে মিশ্রণের কথা বলব এটি খুবই কার্যকরী একটি মিশ্রন। লেবুর রস, ডিমের কুসুম ও হেনা পাতার গুড়ো মিশিয়ে এই মিশ্রণটি তৈরি করতে হয়।

চুলের ঘনত্ব ও লেন্থের উপর নির্ভর করে লেবুর রস ও হেনা পাতার গুড়ো মিশিয়ে সামান্য গরম করে নিতে হবে। এরপর ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।

লেবুর রস ও ডাবের পানিঃ লেবুর রস ডিমের কুসুম ও হেনা পাতার গুড়ো মিশ্রণ দিয়ে সাদা চুল কালো করার পদ্ধতি জানা হলো এবার আপনি জানতে পারবেন লেবুর রস ও ডাবের পানি মিশ্রণ দিয়ে কিভাবে সাদা চুল কালো করা যায়।

এই জন্য আপনাকে যা করতে হবে তাহলো ২ টেবিল চামচ লেবুর রস ও সমপরিমাণ ডাবের পানি মিশ্রণ করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয় যা চুল পাকা রোধ করে।

লেবুর রস ও অ্যালোভেরা জেলঃ চুলের যত্নে অ্যালোভেরা জেল এর ব্যবহার এর কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। চুলের যত্নে আমরা যেসব প্রসাধনী ব্যবহার করি এই প্রসাধনীগুলোতে অ্যালোভেরা জেল এর উপস্থিতি আমরা দেখতে পাই।

অ্যালোভেরার সাথে লেবুর রস মিশিয়ে এক ধরনের মিশ্রণ এর ব্যবহারের ফলে চুল হবে নরম মোলায়েম সাথে ধীরে ধীরে পাকা চুল কালো হয়ে যাবে। ২ টেবিল চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ এ্যালোভেরার জেল মিশ্রণ করে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। অন্তত ১ মাস ব্যবহারের পর এর ফলাফল আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন। সপ্তাহে অন্তত ১ দিন ব্যবহার করুন।

প্রিয় পাঠক, লেবুর রসের সঙ্গে অন্যান্য ভেষজ প্রাকৃতিক উপাদান গুলো মিশিয়ে কিভাবে ব্যবহার করলে চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চুল কালো হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে এই বিষয়টি সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়েছেন যা আপনাকে উপকৃত করবে।

আশা করি উপরের পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আসবে সাথে সাথে চুল আরো কালো ও মজবুত হবে।

চা পাতা দিয়ে চুল কালো করার উপায়।

আপনারা অনেকেই চা পাতা ও চা পাতার গুঁড়ো দিয়ে কিভাবে চুল কালো করা যায় এই বিষয়টি জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এমন আগ্রহ প্রকাশের ফলেই আমি এখন চা পাতা দিয়ে ও চা পাতার গুঁড়ো দিয়ে কিভাবে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি চুল কালো করা যায় এই বিষয়টি জানাবো। আশা করি নিচের অংশটুকু মনোযোগ সহকারে করবেন এতে করে চা পাতা দিয়ে চুল কালো করার ঘরোয়া টোটকা জানতে পারবেন।

চা পাতা দিয়ে চুল মজবুত ও কালো করার দুটি উপায় রয়েছে প্রথমটি হল ৪-৫টি চা পাতা সংগ্রহ করে এর সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি মিশিয়ে গরম করে নিতে হবে। পানির রং কিছুটা লালচে বর্ণের হওয়ার পর তা ঠান্ডা করে এর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ঘন্টাখানেক রেখে দিয়ে ঠান্ডা পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে নিন।

চা পাতা দিয়ে চুল মজবুত ও কালো করার দ্বিতীয় পদ্ধতি হচ্ছে। আপনি চা খাওয়ার জন্য যে টি ব্যাগ ব্যবহার করেন একটি ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করুন। এরপর নির্দিষ্ট পরিমাণের হয়ে গেলে তা ব্লেন্ড করে নিয়ে মাথায় চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত মেখে রোদে কিছুক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে যাবার পর শ্যাম্পু ও পানি ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিন।

এছাড়াও চা পাতার সঙ্গে মেহেদী পাতার গুড়ো, লেবুর রস ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে এক ধরনের মিশ্রণ তৈরি করে তা মাথায় মাখন এতে করে চুল সুন্দর ও মজবুত হবে পাশাপাশি চুলের রং আংশিক কালো থেকে পুরোপুরি কালো রং ধারণ করবে।

বন্ধুরা আশা করি চা পাতা ও চা পাতার গুড়ো দিয়ে কিভাবে চুলের সৌন্দর্যতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চুল কালো করবেন সেই বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। এরপর চুল কালো করার জন্য কি কি তেল ব্যবহার করা যেতে পারে এই বিষয়টি আপনাদের জানাবো। 

চুল কালো করার জন্য অনেকেই শুধু নারিকেল তেল এর ব্যবহার সম্পর্কে বলবে। আজকে আমি নারিকেল তেল ছাড়াও অন্যান্য কি কি তেল ব্যবহার করে চুল কালো করা যায় এই বিষয়টি জানাবো।

চুল কালো করার তেলের নাম।

চুল কালো করার জন্য দুই ধরনের তেলের কথা আমি আপনাদের বলব প্রথমটি হল প্রাকৃতিক তেল দ্বিতীয়টি রাসায়নিক কেমিক্যাল যুক্ত তেল। দুই ধরনের তেল ব্যবহার করে আপনি আপনার চুল কালো করতে পারবেন। তবে কৃত্রিম তেল বা কেমিক্যাল যুক্ত তেলের চেয়ে প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার আপনার জন্য ভালো হবে কেননা এতে করে চুলের পুষ্টি গুনাগুন বজায় থাকবে।
চুল কালো করার তেলের নাম।
অন্যদিকে কৃত্রিম কেমিক্যালযুক্ত তেল সাময়িক সময়ের জন্য আপনার চুলের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি করে তবে এর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চুল কালো করার তেলের নাম গুলো জেনে আসি-

চুল কালো করার প্রাকৃতিক তেল।
চুল কালো করার প্রাকৃতিক তেল গুলো প্রকৃতির বিভিন্ন শস্য উপাদান থেকে তৈরি। এগুলোর নাম ও ব্যবহার আমরা কম বেশি সবাই জানি। আপনার পাশের বাজারে কোন শপিংমলে এই তেলগুলো সচরাচর পেয়ে যাবেন। সরিষার তেল, নারিকেল তেল এ দুটি সচরাচর পাওয়া গেলেও কালোজিরা তেল, বাদামের তেল, তিলের তেল পেতে একটু বেগ পেতে হবে। তবে একটু চেষ্টা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন।
  • সরিষার তেল
  • নারিকেল তেল
  • কালোজিরার তেল
  • বাদামের তেল
  • তিলের তেল
চুল কালো করার রাসায়নিক কেমিক্যাল যুক্ত তেল।

আপনি বিশ্বের যে দেশেই থাকেন না কেন প্রত্যেক দেশেই চুল কালো করার রাসায়নিক কেমিক্যালযুক্ত তেল পাওয়া যায় ও পাউডার পাওয়া যায়। বিভিন্ন সামাজিক ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে ক্ষেত্রবিশেষে আমরা এই চুল কালো করার তেল ও পাউডার ব্যবহার করি। এগুলো ব্যবহার করলে ১৫ দিন থেকে ১মাস পর্যন্ত চুল কালো থাকে এবং পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে।

যাদের অল্প বয়সে চুল পেকে একদম সাদা হয়ে যায় তারাই এই রাসায়নিক কেমিক্যাল যুক্ত তেল ও পাউডার ব্যবহার করেন। কেননা চুল সাদা হয়ে গেলে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে গেলে অন্যান্যদের কাছে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় এটি অনেকেই মনে করেন। অস্বস্তিকর বিড়ম্বনায় কে পরতে চায় বলুন তো! তাই তো আমরা কম বেশি সবাই এ জাতীয় তেল ও পাউডার ব্যবহার করি।

বাংলাদেশে যেসব রাসায়নিক কেমিক্যাল যুক্ত চুল কালো করার তেল বা পাউডার ব্যবহার করতে দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি নাম আপনার সুবিধার্থে তুলে ধরলাম আশা করি তথ্য গুলো আপনার কাজে লাগবে।
  • ভ্যাসমল
  • দুলহান
  • হেয়ার ড্রেস
  • গোদরেজ এক্সপার্ট
  • গার্নিয়ার কালার গার্ড
  • হেয়ার কোড
  • ইন্ডিগো গুড়া
  • হাই স্পিড ব্ল্যাক কালার
  • সুপার স্পিড ব্ল্যাক কালার
তবে এই জাতীয় কেমিক্যাল যুক্ত তেল ও পাউডার আপনার চুলের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় ঘন ঘন এই জাতীয় তেল ও পাউডার ব্যবহারের ফলে আপনার চুল বার দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই যত সম্ভব এই জাতীয় পাউডার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা সবচেয়ে বেশি ভালো। তবে বছরে দুই একবার জাতীয় পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।

পাকা চুল কালো করার শ্যাম্পু। 

পাকা চুল কালো করার ৫ টি পদ্ধতির মধ্যে সর্বশেষ যে পদ্ধতি নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করব সেটি হল পাকা চুল কালো করার শ্যাম্পু কি কি রয়েছে তা নিয়ে। পাকা চুল কালো করার জন্য দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামিদামি বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।

এই শ্যাম্পু গুলো ব্যবহার করে পাকা চুল সাদা করা সম্ভব যদিও তা সাময়িক সময়ের জন্য। এই এগুলো ব্যবহার করলে ১ থেকে দেড় মাস পর পুনরায় চুল আবার সাদা হয়ে যায় বা পূর্বে এর অবস্থায় ফিরে যায়। এগুলো সাময়িক সময়ের জন্য ব্যবহার করা হয় মাত্র। তারপরেও আমরা এগুলো অনেকেই ব্যবহার করে থাকি।

এই শ্যাম্পু গুলো অনেকটা রাসায়নিক কেমিক্যালযুক্ত তেল ও পাউডারের মতো যদিও এগুলো রাসায়নিক কেমিক্যাল দ্বারা তৈরি করা হয় তারপরেও তেল ও পাউডারের চেয়ে এগুলো বেশি ব্যবহার করতে দেখা যায়। ঘন ঘন এগুলো ব্যবহারের ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে তাই সীমিত পরিমাণের ব্যবহার করা যেতে পারে তবে যতদূর সম্ভব এগুলো ব্যবহার না করাই উত্তম।

আপনারা যারা পাকা চুল সাদা করার জন্য তেল ও পাউডার এর পরিবর্তে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য নিচে বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি ব্রান্ডের চুল কালো করা শ্যাম্পর নাম তুলে ধরলাম যাতে করে আপনারা খুব সহজে বাজারে গিয়ে এগুলো কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
  • Dexe Hair Color Shampoo
  • Subaru Black Hair Shampoo
  • Thai Black Hair Shampoo
  • Garnier Hair Color Shampoo
এখানে যেসব শ্যাম্পু নাম আপনি জানতে পারলেন এগুলো ছাড়াও বাজারে আরো অনেক রকমের শ্যাম্পু পাওয়া যায়। আপনি দেখে শুনে আসল নকল চিনে তারপর শ্যাম্পু ক্রয় করবেন। কেননা বাজারে বিভিন্ন ধরনের ব্যান্ডের নকল প্রসাধনে সামগ্রী পাওয়া যায়। কেনার আগে অবশ্যই এই বিষয়ে সম্পর্কে আপনার সচেতন থাকতে হবে। আশা করি আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার ভালো লেগেছে।

লেখকের মন্তব্যঃ

আজকের এই পোস্টে সাদা চুল কালো করার যে উপায় বা পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো এগুলো দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত চুলের পরিচর্যা করুন যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাদা চুল কালো করার বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনি ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।

এছাড়া ঘরোয়া যেসব উপায় এখানে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলোর তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পদ্ধতি গুলোর ব্যবহার করলে আপনি ভালো ফলাফল পেতে পারেন। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে সকলে ভালো থাকবে নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।

comment url