রোমানিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৪
বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকগণ উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করেন। এই জন্য বিভিন্ন উৎসের মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করে ভিসার জন্য আবেদন করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এজেন্সির মাধ্যমে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। রোমানিয়ার ভিসা হাতে পাওয়ার পর এই ভিসাটি আসল না নকল তা জানার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। আজকের আলোচনায় রোমানিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো।
এই পোস্টটি পড়লে আরো জানতে পারবেন রোমানিয়া ভিসার আবেদনের প্রক্রিয়া, ভিসা করতে কত টাকা লাগে, রোমানিয়া ভিসা করার জন্য কি কি লাগে, রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে।
রোমানিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম ২০২৪
আপনারা সকলেই জানেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে চাইলে ভিসার প্রয়োজন হয়। আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। নিজের চেষ্টায় ভিসা সংগ্রহ করতে পারলে এটা আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা অনেকেই বিদেশ যাওয়ার জন্য এজেন্সি ও দালালের সাহায্য নিয়ে থাকি।
অসাধু কিছু এজেন্সি ও দালাল রয়েছে যারা নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য অনিয়ম করতে দ্বিধাবোধ করে না। অনেক সময় বিদেশ প্রত্যাশী ভাইদের ভুয়া ভিসা দিয়ে প্রতারিত করেন। ইউরোপের দেশ রোমানিয়া সেই দেশে গমন ইচ্ছুক প্রবাসী ভাইদের ভুয়া ভিসা দিয়ে যাতে কেউ হয়রানির শিকার না করতে পারেন এই জন্য ভিসা চেক করার সুন্দর একটি মাধ্যম বের করেছে।
এই মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই আপনাকে দেয়া ভিসা আসল না নকল তার যাচাই করতে পারবেন। তাহলে চলুন কিভাবে রোমানিয়া ভিসা চেক করা যায় এই নিয়মটি জেনে আসি।
রোমানিয়া ভিসা চেক করার খুবই সহজ একটি পদ্ধতি হচ্ছে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন, ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারে গুগল সার্চ এর মাধ্যমে খুব সহজেই রোমানিয়া ভিসা চেক করতে পারবেন। রোমানিয়া ভিসা চেক করার জন্য নিচে একটি লিংক দেয়া হলো।
এরপর আপনার সামনে একটি পেজ ওপেন হবে, এই পেজের ডান পাশে Apply for a visa অপশনে ক্লিক করুন।
এরপর আপনার সামনে Apply, Continue, Check, Check visa sticker চারটি অপশন আসবে, এই অপশনের চার নাম্বার অপশনে ক্লিক করুন।
এরপর আপনার সামনে দুটি অপশন আসবে sticker number, passport number কোন দুটি যথাযথ তথ্য দিয়ে পূরণ করুন, এরপর নিচে থাকা check your visa sticker অপশনে ক্লিক করুন।
সাথে সাথে আপনার ছবি সম্বলিত ভিসা আপনি দেখতে পাবেন। এজন্য রোমানিয়ান সরকারকে ধন্যবাদ দিতে ভুলবেন না।
রোমানিয়ার ভিসার ধরন।
রোমানিয়া ভিসা সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে যে বিষয়টি না জানলেই নয় সেটি হল রোমানিয়ান ভিসা প্রাথমিক অবস্থায় ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-
Transit Visa Type-A
Uniform/Schengen Visa (Type-C-visa)
রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত একটি দেশ হওয়ায় সেই দেশের কাজের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার নিয়ম গুলো অন্যান্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মত। বর্তমানে দেশটি সেনজেন অঞ্চলের সদস্য হওয়ার পর থেকে এই দেশের ভিসার চাহিদা খুব বেড়ে গিয়েছে বিশেষ করে কাজের ভিসার চাহিদা অন্যান্য যে কোন সময়ের তুলনায় খুব বেশি।
সেনজেনভুক্ত একটি দেশের কেউ যদি কাজের ভিসা নিয়ে প্রবেশ করতে পারে তাহলে তিনি অন্যান্য দেশেই গিয়ে কাজ করার সুযোগ পাবেন এটি একটি বড় ধরনের সুবিধা। সেনজেন ভিসা নিয়ে আলোচনা করার পূর্বে সেনজেন অঞ্চল কি এই বিষয়টি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেওয়ার প্রয়োজন।
সেনজেন অঞ্চল বলতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক একটি বিশেষ চুক্তিকে বুঝায়। এই চুক্তির আওতায় ইউরোপের নাগরিকগণ অথবা ইউরোপে বসবাসকারী অন্যান্য দেশের নাগরিকগণ সেনজেন অঞ্চলের মধ্যে মুক্তভাবে চলাচলের সুযোগ পাবে। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়া যারা কাজের ভিসা বা অন্য কোনো ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের খবর হল গত ৩১ মার্চ ২০২৪ সালে রোমানিয়া সেনজেন অঞ্চলের দেশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এতে করে রোমানিয়া যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যেতে চাচ্ছেন বা যাবেন তারা চাইলেই সেনজেন ভুক্ত অন্যান্য দেশে মুক্তভাবে চলাচলের সুযোগ পাবেন না।
Long-stay visa ( Type D-visa)
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপীয় ইকোনমিক এরিয়ার বাহিরের দেশের নাগরিকদের রোমানিয়ায় প্রবেশের জন্য Long-stay visa ( D-visa) দিয়ে থাকে। এই ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ৯০ দিন। রোমানিয়ায় প্রবেশের পর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন পূর্বে ভিসার জন্য এবং রেসিডেন্ট পারমিট এর জন্য জেনারেল ইন্সপেক্টর অফ ইমিগ্রেশন অফিস বরাবর ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে হবে।
রোমানিয়ায় Long-stay visa ( D-visa) ধরন।
দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়া বিদেশি নাগরিকদের সেই দেশে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভিসা হলো-
- কাজের ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- মেডিকেল ভিসা
- পারিবারিক ভিসা
- ব্যবসায়িক ভিসা
- ধর্মীয় কাজের ভিসা
- গবেষণামূলক ভিসা
- স্বেচ্ছাসেবক মূলক কাজের ভিসা
রোমানিয়া ভিসা আবেদন।
রোমানিয়ার সরকার সে দেশে বিদেশি নাগরিকদের ভ্রমণের জন্য বেশ কয়েক ধরনের ভিসা দিয়ে থাকে যা আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন। বাংলাদেশ সহ তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের নাগরিকরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন উদ্দেশ্যেই ভ্রমণ করে এর মধ্যে প্রধানতম উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান।
ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় আপনি যে উদ্দেশ্যেই যেতে চান না কেন প্রথমেই আপনাকে ভিসা করতে হবে। আর এই জন্য আপনার জানা অত্যন্ত জরুরী রোমানিয়া ভিসার অনলাইন আবেদন সম্পর্কে।
পৃথিবীর সব দেশে রোমানিয়ার দূতাবাস বা কনসুলেট অফিস নেই। যেমন- আমাদের বাংলাদেশেই রোমানিয়ার দূতাবাস বা কনসুলেট অফিস নেই। বাংলাদেশের কোন নাগরিক রোমানিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে তাকে ভারতের নয়া দিল্লিতে অবস্থিত রোমানিয়ার দূতাবাস বা কনসুলেট অফিসে যোগাযোগ করতে হয়।
বাংলাদেশের কোন নাগরিক রোমানিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে বেশ কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়।
- রোমানিয়া সরকারের চাহিদা মাফিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে অনলাইন থেকে ভিসার আবেদন ফরম বের করে তা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। এই কাজে আপনি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিতে পারেন।
- পূর্বের থেকেই আপনাকে ভারতীয় ভিসা করে রেখে দিতে হবে কেননা রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে ভারতে যেতে হবে।
- কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর রোমানিয়া দূতাবাস থেকে ভিসার জন্য সাক্ষাৎকার দিতে হবে এই জন্য তারা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় দিয়ে দেবে। নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ের উপস্থিত হয়ে ইন্টারভিউ দিতে হবে।
- আপনার ইন্টারভিউ এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে আপনার ভিসা প্রস্তুত হলে তারা আপনাকে ইমেইল অথবা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে।
- এরপর আপনার কাজ হল দূতাবাসে গিয়ে পাসপোর্ট ভিসা সংগ্রহ করা। ভিসার আবেদন করার তারিখ থেকে ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে ভিসা প্রস্তুত হতে।
রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং ফি।
রোমানিয়া ভিসার আবেদন এর বিষয়ে তো জানা হলো এবার যে বিষয়টি জানাবো সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং ফি কত এই সম্পর্কে অবশ্যই জানা দরকার কেননা আপনি যখন ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন এই ফি আপনাকে প্রদান করতে হবে। তাই এই বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা থাকা অবশ্যই প্রয়োজন।
- Transit Visa Type-A প্রসেসিং ফি ৮০ ইউরো
- Uniform/Schengen Visa Type-C প্রসেসিং ফি ৮০ ইউরো
- Type-A,C Visa Children (৬-১২) প্রসেসিং ফি ৪০ ইউরো
- Long Stay Type-D প্রসেসিং ফি ১২০ ইউরো
এছাড়া রোমানিয়া সরকারের সাথে বেশ কয়েকটি দেশের একটি বিশেষ চুক্তি রয়েছে যে চুক্তির আওতায় ঐ দেশের নাগরিকদের জন্য রোমানিয়ার ভিসা প্রসেসিং ফি আলাদা আলাদা নির্ধারণ করা হয়েছে। এইসব দেশের মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দেশ হলো ইউক্রেন, উত্তর মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া, আর্মেনিয়া, বেলারুশ, আজারবাইজান ইত্যাদি।
রোমানিয়া ভিসা করার জন্য কি কি লাগে।
এশিয়া আফ্রিকার ও দক্ষিণ আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশের যে সকল নাগরিক রোমানিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদেরকে একটি বিষয় জানতে হবে তা হল ভিসার আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে তা নির্ভর করে আপনি কোন ভিসার জন্য আবেদন করবেন এবং কোন দেশ থেকে আবেদন করছেন তার উপর।
অর্থাৎ ভিসার ধরন ভিসার জন্য আবেদনকারী জাতীয়তা ও অন্যান্য কারণে একই রকম ভিসার জন্য আলাদা আলাদা কাগজ প্রয়োজন হতে পারে। আবার ভিসা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে অতিরিক্ত কাগজপত্র চাইতে পারে। তবে সাধারণভাবে যেসব কাগজপত্র লাগে তার একটি তালিকা তুলে ধরা হলো-
- অনলাইনে পূরণকৃত এপ্লিকেশন ফর্ম।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট। পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে তবে এর বেশি হলে ভালো হয়।
- সাম্প্রতিক তোলা রঙিন ছবি ২ কপি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত ছবির মাপ ৩.৫ /৪.৫।
- ওয়ার্ক পারমিট (কাজের ভিসার জন্য) মূল কপি।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- জীবন বৃত্তান্ত সহ সিভি।
- কন্ট্রাক্ট পেপার (কাজের ভিসার জন্য)।
- ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (কমপক্ষে ৬ মাসের) অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রে।
- বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণ পত্র (স্টুডেন্ট ভিসার জন্য)।
রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে।
রোমানিয়া ভিসার ধরন, ভিসা করতে কি কি কাগজপত্র লাগে, অনলাইনে ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া এ সম্পর্কে জানার পর এখন আপনাদের যে বিষয়টি জানা দরকার সেটি হল রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে। এ বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে তাদের এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কিছুটা চেষ্টা করব।
রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে এটি নির্ভর করে ভিসার ক্যাটাগরী, এজেন্সি ও এজেন্সির কাজের ধরনের উপর। এক এক এজেন্সি একেক ভাবে তাদের কার্যসম্পাদন করে এই জন্য এজেন্সি ভেদে রোমানিয়া যেতে খরচের কম বেশি হয়ে থাকে। শুধু রোমানিয়া নয় আপনি বিশ্বের যে কোন দেশের ভিসার জন্য আবেদন করেন না কেন সেই ক্ষেত্রে এজেন্সি গুলো ভিসার দাম ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নির্ধারণ করে।
বিদেশে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে এজেন্সি গুলোর বেশ কিছু খরচ রয়েছে। যেমন- মেডিকেল খরচ, ভিসার আবেদন ফি, বিমানের টিকিট সহায় আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ। রোমানিয়া যাওয়ার জন্য আপনি এজেন্সি গুলোর সঙ্গে কত টাকার চুক্তি করবেন এটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
সাধারণভাবে সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে যেতে আপনার ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ লাগতে পারে। এর বেশি হওয়া কোনভাবেই কাম্য নয় কিন্তু আমাদের দেশের এজেন্সি গুলো সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বেশি অংকের টাকা দাবি করে যা খুবই দুঃখজনক।
লেখকের মন্তব্যঃ
রোমানিয়া যেতে চাইলে নিজেকে অত্যন্ত দক্ষ ভাবে তৈরি করতে হবে আপনি যে দেশে যাবেন সেই দেশের ভাষাগত জ্ঞান কাজের অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা বিশেষভাবে অর্জন করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্য সহ এশিয়ার অন্যান্য দেশে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বা অন্য কোন ভিসা নিয়ে যেতে চাইলে সাধারণত সময় একটু কম লাগে কিন্তু ইউরোপের দেশের যেতে চাইলে আপনাকে অত্যন্ত ধৈর্যশীল হতে হয়।
বর্তমানে ইউরোপে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু অনিয়ম এর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাই যে কোন প্রকার আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আপনারা যারা রোমানিয়ায় যেতে চাচ্ছেন অলরেডি ভিসাও হাতে পেয়েছেন তাদের জন্য রইল শুভকামনা। আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে এবং আপনার মধ্যে অন্যতম জ্ঞান অর্জনের খোরাক সৃষ্টি করে তাহলে আমার আর্টিকেল লেখা সার্থকতা।
রোমানিয়া বিষয়ে সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর আপনাদের সুবিধার্থে নিচে দেয়া হলো-
প্রশ্নঃ রোমানিয়া বেতন কেমন কত?
উত্তরঃ প্রাথমিক অবস্থায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
প্রশ্নঃ রোমানিয়ার এক Leu বাংলাদেশের কত টাকা?
উত্তরঃ ২৩.০০ টাকা প্রায়। (কম-বেশি হতে পারে)
প্রশ্নঃ রোমানিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে
উত্তরঃ রোমানিয়া যেতে সর্বনিম্ন বয়স লাগে ১৮ বছর।
প্রশ্নঃ রোমানিয়ার রাজধানীর নাম কি?
উত্তরঃ বুখারেস্ট
প্রশ্নঃ রোমানিয়ার সরকারি ভাষার নাম কি?
উত্তরঃ রোমানিয়
প্রশ্নঃ রোমানিয়ার কলিং কোড কত?
উত্তরঃ +৪০
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়ার দূরত্ব কত?
উত্তরঃ ৬২৬৪ কিলোমিটার
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url