কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়
উত্তর আমেরিকার উন্নত একটি দেশ কানাডা। আয়তনের দিক থেকে কানাডা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। বিশাল আয়তনের এ রাষ্ট্রের জনসংখ্যা মাত্র সাড়ে ৪ কোটি। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ইমিগ্রেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে অথবা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অনেকেই কানাডায় যেয়ে থাকেন। ইমিগ্রেশন প্রোগ্রামের মাধ্যম কানাডায় যাওয়ার উপায় এটি একটি গভীর আলোচনার বিষয়।তাই আজকে আমি কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে একজন বিদেশী নাগরিক কিভাবে কানাডায় গিয়ে কাজ করতে পারবেন সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি পুরো আলোচনাটি অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়বেন। তাহলে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার উপায়।
কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট এর ধরন সম্পর্কে। তাই আসুন আগে আমরা ওয়ার্ক পারমিট এর ধরন সম্পর্কে জেনে নিন।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিটের ধরন।
সাধারণভাবে কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ২ ধরনের। যেমন-
Employer Specific Work Permit.
Employer Specific Work Permit এর মাধ্যমে আপনি কানাডায় গেলে আপনার নিয়োগকারীর নির্দিষ্ট শর্তাবলী অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে। আপনি অন্য কোন জায়গায় কাজ করতে পারবেন না। আপনাকে যে কোম্পানির মালিক বা নিয়োগ কর্তা হায়ার করেছেন আপনাকে তার কাজ করতে হবে।
Open Work Permit.
Open Work Permit হল এমন এক ধরনের ওয়ার্ক পারমিট যে ওয়ার্ক পারমিট এর মাধ্যমে আপনি কানাডায় গিয়ে যেকোনো ধরনের কাজ করতে পারবেন। কানাডার ওপেন ওয়ার্ক পারমিট পেতে আপনাকে কোন নিয়োগ কর্তার কাছ থেকে জব অফার পেতে হবে না। লেবার মার্কেট ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট যাকে সংক্ষেপে এল এম আই এ (LMIA) বলে এটি পেতে হবে না।
ইম্প্লয়ার স্পেসিফিক ওয়ার্ক পারমিট Employer Specific Work Permit.
ইম্প্লয়ার স্পেসিফিক ওয়ার্ক পারমিট Employer Specific Work Permit এর আবেদন এবং ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। ধাপগুলো সম্পর্কে নিচে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো।
প্রথম ধাপঃ নিজেকে প্রস্তুত করা।
- ইংরেজি ভাষার দক্ষতা অর্জন বা IELTS সার্টিফিকেট অর্জন। ( 5.5 পয়েন্ট থাকলে ভালো হয়)
- কাজের অভিজ্ঞতা সনদ কমপক্ষে 1 বছরের।
- কানাডিয়ান এনওসি (NOC) অর্থাৎ আবেদনের যোগ্যতা আছে কিনা যাচাই করা।
- একটি CV ও কভার লেটার তৈরি করা।( কানাডিয়ান স্টাইলে )
- একটি ECA বের করে নিতে হবে। আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন সেই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই সনদ নিতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ নিয়োগকারী খোজা ও চাকুরীর জন্য আবেদন।
কানাডায় ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আপনি সরাসরি আবেদন করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে সেই দেশে একজন নিয়োগ কর্তা খুজে পেতে হবে। এখন প্রশ্ন আসে কানাডার নিয়োগকর্তা আপনি কিভাবে খুজে পাবেন। কানাডায় চাকুরীর অফার পেতে বিভিন্ন জব সাইট রয়েছে এই সাইটগুলোতে প্রবেশ করে আপনি আপনার চাকরির জন্য আবেদন করে রাখতে পারেন।
অন্য একটি মাধ্যম রয়েছে যদি আপনার নিকট কোন আত্মীয় বা বন্ধু থাকে তার মাধ্যমে আপনি নিয়োগকর্তার খোঁজ পেতে পারেন। এরপর আপনার বন্ধুর মাধ্যমে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে জব অফার লেটার সংগ্রহ করতে পারেন। এটি একটি ভালো মাধ্যম।
তৃতীয় ধাপঃ ইন্টারভিউ এ অংগ্রহন করা।
এরপর কানাডার নিয়োগ কর্তা আপনার আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে এবং আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য কল করবে। ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে তারা যদি আপনাকে যোগ্য মনে করে তাহলে আপনাকে তারা নিয়োগের জন্য মনোনীত করবেন।
নিয়োগের জন্য মনোনীত হওয়ার পর নিয়োগ কারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার কাছে জব অফার লেটার এবং জব কন্টাক ফরম পাঠিয়ে দেবে। এবার আপনার কাজ হল জব অফার, জব কন্টাক ফরমের সিগনেচার করে এর সাথে আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি পুনরায় নিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট পাঠিয়ে দেওয়া।
কানাডা জব অফার লেটার কি?
ইউরোপের দেশসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে সেই দেশগুলো থেকে আপনাকে অবশ্যই একটি জব অফার লেটার পেতে হবে। আপনি যদি কানাডা কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই দেশের নিয়োগকর্তার কাছ থেকে একটি জব অফার লেটার পেতে হবে।
এখন আমি জানাবো কানাডা জব অফার লেটার কি এই বিষয় সম্পর্কে। কানাডার জব অফার লেটার হচ্ছে এমন একটি নথি যা কানাডার একজন নিয়োগকর্তা আপনাকে সেই দেশে সাময়িক কাজ করার জন্য দেবে। একটি জব অফার লেটারে আপনার কাজের ধরন,কাজের শর্তাবলী ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ থাকবে।
আপনি যদি কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই দেশ থেকে একটি জব অফার লেটার এবং লেবার মার্কেট ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট যাকে সংক্ষেপে এল এম আই এ (LMIA) বলে এটি পেতে হবে। তারপর আপনি ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
চতুর্থ ধাপঃ অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট LMIA এর জন্য আবেদন।
এখানে নিয়োগ কারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কিছু কাজ রয়েছে। যেমন- আপনার অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট LMIA এর জন্য Employment and Social Development Canada কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা। আলোচনার এ পর্যায়ে আমি এখন আপনার ওয়ার্ক পারমিটের অনুমোদনের প্রক্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
ইমিগ্রেশন রিফিউজি এন্ড সিটিজেনশিপ ( Immigration Refugees and Citizenship Canada ) এর নিয়ম অনুযায়ী এ লেবার মার্কেট ইম্প্যাক্ট অ্যাসোসিয়েশন A Labour Market Impact Assessment (LMIA) হল এমন একটি নথি বা অনুমোদন পত্র যা কানাডায় বিদেশী কর্মী নিয়োগ করার জন্য নিয়োগকর্তাকে আগে পেতে হবে।
LMIA দ্বারা আরো বুঝাবে যে, কানাডায় কাজের জন্য একজন বিদেশী কর্মী প্রয়োজন কিন্তু কানাডায় উক্ত পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য কোন কর্মী বা উপযুক্ত কর্মী পাওয়া যায়নি।
কানাডায় কোন বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে গেলে অবশ্যই নিয়োগকর্তা মালিক বা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে এই অনুমোদন পত্রটি এমপ্লয়মেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট কানাডা (Employment and Social Development Canada ) কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন করে নিতে হবে।
অন্যথায় তিনি কানাডায় কোন কর্মী নিয়োগের ওয়ার্ক পারমিট বের করতে পারবেন না। কোন বিদেশি নাগরিক সরাসরি LMIA এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
কানাডায় টেম্পোরারি বা অস্থায়ীভাবে কর্মী নিয়োগের LMIA একটি অনুমোদন পত্র। বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করার ক্ষেত্রে একজন নিয়োগকারীকে অবশ্যই LMIA এই অনুমোদনটি নিতে হবে। তারপর নিয়োগের অন্যান্য প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন।
আপনার অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট LMIA এর অনুমোদন পাওয়ার পর নিয়োগ কারী আপনার কাছে জব অফার লেটার, জব কন্টাক ফর্ম ও LMIA এর অনুমোদন এর কপি পাঠিয়ে দেবে। LMIA এর অনুমোদন নিতে নিয়োগ কারীকে ১০০০ কেনাডিয়ান ডলার ফি হিসেবে জমা দিতে হয়।
পঞ্চম ধাপঃ ভিসার জন্য আবেদন করা।
আপনি যদি একটি জব ওভার লেটার ও LMIA পেয়ে যান তাহলে আপনার কাজ হল ভিসার জন্য আবেদন করা। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে কিভাবে ও কোথায় কানাডার ভিসার জন্য আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। কেননা ভিসার জন্য আবেদন ফরম জমা অনলাইনে দিতে হয় এই জন্য আপনাকে IRCC তে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
তারপর সেখান থেকে আপনি অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করে আপনি যে দেশে অবস্থান করছেন সেই দেশের VSF গ্লোবাল এর ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবেন। ভিসার জন্য আবেদন আপনি নিজে নিজে করতে পারেন এছাড়া যদি চান তাহলে কানাডিয়ান কোন পরামর্শকের সহযোগিতা নিতে পারেন।
আরো পড়ুনঃসৌদি আরব কোম্পানি ভিসার বেতন ২০২৪
এক্ষেত্রে কানাডিয়ান পরামর্শক বা প্রতিষ্ঠানকে RCEC কানাডিয়ান সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি আপনাকে প্রদান করতে হবে। কানাডায় এরকম প্রায় 7500 মতো পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা আপনাকে এই কাজে সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশে অবস্থিত কোন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আপনাকে কোন প্রকারের সহযোগিতা করতে পারবে না। কেননা বাংলাদেশের কোন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বা এজেন্সির কানাডিয়ান সরকারের কোন অনুমোদন নেই। যদি এই ধরনের অফার আপনাকে কেউ দিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটি প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।
ষষ্ঠ ধাপঃ বায়োমেট্রিক প্রদান করা।
ভিসার জন্য আবেদন পত্র সাবমিট করার পর VSF কর্তৃপক্ষ আপনাকে বায়োমেট্রিক প্রদানের জন্য আবেদন জানাবেন। আপনি নির্ধারিত তারিখে VSF অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করবেন। এরপর VSF আপনার কাছ থেকে অন্যান্য কাগজপত্র যেমন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট আপনি যদি তৃতীয় কোন দেশ থেকে কানাডার ভিসার জন্য আবেদন করেন।
তাহলে আপনার নিজ দেশের এবং বর্তমান যে দেশে অবস্থান করছেন দুই দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং আপনার পাসপোর্ট সাবমিট করতে হবে। VSF গ্লোবালে ভিসা প্রসেসিং ফি বাবদ 155 ইউএস ডলার এবং বায়োমেট্রিকের ফি বাবদ 85 ইউএস ডলার প্রসেসিং ফ্রি দিতে হবে।
সপ্তম ধাপঃ পাসপোর্ট ও ভিসা সংগ্রহ করা।
VSF গ্লোবাল থেকে আপনার ভিসা ইস্যু হয়ে গেলে তারা আপনাকে এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। নির্ধারিত তারিখে VSF গ্লোবাল অফিস থেকে আপনার পাসপোর্ট ও ভিসা সংগ্রহ করবেন। এরপরে আপনার কাজ হবে কানাডার নিয়োগকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে বিমানের টিকিট ক্রয় করে কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া।
আরো পড়ুনঃ সৌদি আরব ই- ভিসা ও ভিসা প্রসেসিং ফি ২০২৪
প্রিয় পাঠক উপরের দেখানো ধাপ গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই স্বপ্নের দেশ কানাডায় পৌঁছাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন বাংলাদেশের এজেন্সি বা দালাল ধরতে হবে না। আপনি যদি কানাডা যাওয়ার জন্য কারো হেল্প বা সহযোগিতা নিতেই হয় তাহলে আপনি কানাডিয়ান কোন পরামর্শক এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
ওপেন ওয়ার্ক পারমিট Open Work Permit.
প্রিয় পাঠক, এবার আপনার সামনে Open Work Permit এ বিষয়টি নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করব। Open Work Permit নিয়ে কানাডার উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য উপরের উল্লেখিত প্রক্রিয়ার মত আপনাকে কাজ করতে হবে। শুধু কানাডার অভ্যন্তরে যারা অবস্থান করছে তারা এই ওয়ার্ক পারমিট আবেদন করতে গেলে কিছু ব্যতিক্রম নিয়ম রয়েছে।
আপনারা যখন কানাডায় দীর্ঘ সময় বসবাস করতে থাকবেন তখন ওপেন ওয়ার্ক পারমিট বিষয় সম্পর্কে নিজেরাই অবগত হবেন। এই বিষয়ে এখানে আলোচনা না করাই শ্রেয়। এখানে অতিরিক্ত কোন কাজ আপনাকে করতে হবে না শুধু যে বিষয়টি জানলে আপনারা উপকৃত হবেন সেটি এখন বলব।
Open Work Permit এর জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন।
সব শ্রেণীর পেশার মানুষ Open Work Permit জন্য আবেদন করতে পারবে না। এক্ষেত্রে কিছু নিয়ম ও বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এবার চলুন দেখে নিই কোন শ্রেণীর ব্যক্তিবর্গ কানাডায় ওপেন ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবে এটি দেখে নিই।
- স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ‘গ্রাজুয়েশন ওয়ার্ক পারমিট প্রোগ্রামের’ আওতায় অন্যান্য শর্ত পূরণ সাপেক্ষে Open Work Permit এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- এমন একজন ছাত্র যারা আর তাদের স্কুলের পড়ার খরচ বহন করতে সক্ষম নয়।
- নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্ক পারমিট আছে কিন্তু কাজের সুযোগ না থাকার কারণে কাজ পাচ্ছে না এমন কর্মী। ( নতুনদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় )
- কানাডায় বসবাস করছেন এমন ব্যক্তির পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আবেদন করতে পারবেন।
- কানাডায় শিক্ষা গ্রহণ করছেন এমন ব্যক্তির স্বামী অথবা স্ত্রী।
- আটলান্টিক ইমিগ্রেশন প্রোগ্রাম এর আওতায় থাকা কানাডার ৪ টি প্রদেশের শিক্ষার্থীর স্বামী অথবা স্ত্রী।
- উদ্বাস্তু বা উদ্বাস্তু দাবি করে এমন ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্য।
- কানাডায় বসবাস করছেন এমন অস্থায়ী বসবাসকারী।
- বিশেষ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ কারী ব্যক্তি।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করতে যেসব কাগজপত্র লাগে।
ক্যানাডিয়ান ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে যেসব কাগজপত্র দিতে হবে তা নিচে দেয়া হল।
- একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে 6 মাস থাকতে হবে।
- সাম্প্রতিক সময়ের তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- নিয়োগকারী ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান থেকে জব অফার লেটার ।
- একটি জব কন্টাক্ট ফর্ম।
- লেবার মার্কেট ইম্প্যাক্ট অ্যাসোসিয়েশন LMIA এর সার্টিফিকেট।
- সর্বশেষ লেবার মার্কেট ইম্প্যাক্ট অ্যাসোসিয়েশনের নাম্বার।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- IELTS সার্টিফিকেট।
কানাডার কৃষি ভিসা।
টেম্পোরারি ফরেন ওয়ার্কার প্রোগ্রাম Temporary Foreign Worker Program TFWP এর আওতায় প্রতিবছর কানাডার কৃষি কাজের জন্য অস্থায়ী বিদেশী কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে।
অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ এর জন্য LMIA ইস্যু হওয়ার পর প্রত্যেক অস্থায়ী বিদেশি কর্মীকে নিয়োগকারী পক্ষ থেকে একটি কনফারমেশন লেটার দিতে হবে এবং তাদের বলতে হবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার এর জন্য আবেদন করতে। কানাডার কৃষি ভিসার মেয়াদ সর্বোচ্চ ছয় মাস ৬ মাস।
৬ মাস পর আবার নিজ নিজ দেশে অবশ্যই ফেরত আসতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে কেউ কানাডার কৃষি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। কেননা কানাডিয়ান সরকার জি টু জি পদ্ধতির মাধ্যমে বিশেষ করে লাতিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে অস্থায়ী কৃষি শ্রমিক নিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সরকারের সাথে কানাডা সরকারের এ বিষয়ে কোন চুক্তি না থাকার কারণে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় কৃষি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।
শেষ কথাঃ
প্রিয় পাঠক, আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনাদের মধ্যে কানাডা যাওয়ার সম্পর্কে কিছু সচেতনতা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে কানাডা যাওয়ার জন্য কোন ধরনের আর্থিক লেনদেন করার প্রয়োজনীয়তা নেই। আপনার যদি যথেষ্ট যোগ্যতা থেকে থাকে তাহলে আপনি যোগ্যতার পরীক্ষা দিয়ে খুব সহজেই কানাডায় যেতে পারবেন।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url