সকালে খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা
ডাব এটি অতি পরিচিত বিশেষ এক ধরনের ফল। ডাবের ভিতরে অংশে এক ধরনের পানি পাওয়া যায় যে পানি খেতে খুবই সুস্বাদু। ডাবের পানি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। গ্রীষ্মকালে দেশে দেশে ডাবের পানির চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা অনেকেই ডাবের পানি খেয়ে থাকি সামান্য প্রশান্তির আশায়। সকালে খালি পেটে ডাবের পানি খেলে বেশ কিছু উপকার মিলে। সকালবেলা খালি পেটে ডাবের পানি খেলে কি কি উপকারিতা রয়েছে তা আজকে আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন।আজকের এই আর্টিকেল পড়লে আপনারা আরো জানতে পারবেন ডাবের পানিতে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে, বেশি ডাবের পানি খেলে কি ধরনের ক্ষতি হতে পারে, গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা, ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম।
সকালে খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা জানার আগে আসুন আমরা জেনে নেই ডাবের পানিতে কি কি পুষ্টি উপাদান থাকে। ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে,
পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ভিটামিন-সি,কার্বোহাইড্রেট,শর্করা,মিনারেল,আয়রন,জিংক,
ফাইবার।
সকালে খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা
সকালে ডাবের পানি পান করলে শরীরের জন্য তা খুবই উপকারী পুষ্টি উপাদান যোগান দিয়ে থাকে এবং ডাবের পানির কার্যকারিতা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। তবে একেবারে খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়া ঠিক নয় সকালে ঘুম থেকে উঠে সামান্য কিছু খেয়ে এরপর ডাবের পানি খেতে পারেন। কেননা সকালবেলা খালি পেটে ডাবের পানি খেলে অনেকের অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে ডাবের পানি খেলে নানান ধরনের পুষ্টি উপাদান শরীরের প্রবেশ করে ডাবের পানি সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে সেই সাথে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ডাবের পানিতে থাকা ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম শরীরের হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তাদেরকে শরীরচর্চার পরে ডাবের পানি পান করার পরামর্শ দেয়া হয়।
আরো পড়ুনঃ নিয়মিত বিটরুট খেলে যেসব উপকার মিলবে
ডাবের পানির উপকারিতা কথা বলে শেষ করা যাবে না। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এই পানীয় মানুষের শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসে। প্রচন্ড গরমে মানসিক প্রশান্তি পেতে অনেকেই ডাবের পানি খেয়ে থাকেন।
বছরের অন্যান্য সময় ডাবের পানি খাওয়া চাহিদা কম থাকলেও গরমের সময় ডাবের পানি খাওয়ার চাহিদা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। গরমের সময় শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যায় তাই পানি শূন্যতা কমাতে ডাবের পানির খাওয়া উচিত।
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে ডাবের পানি খুবই উপকারী। হঠাৎ কারো ব্লাড প্রেসার কমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে একটি কচি ডাবের পানি খাওয়াতে পারলে দ্রুত ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
ক্যালসিয়াম নামক উপাদানটি শরীরের হারকে শক্তিশালী ও মজবুত করতে সাহায্য করে। আর ডাবের পানিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণের ক্যালসিয়াম যা হাড়ের গঠন বৃদ্ধি করে ও হাড়কে করে তোলে শক্তিশালী।
ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ পানি বের হয়ে যায়। ফলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয় যাকে ইংরেজিতে বলে ডিহাইড্রেশন। ডাবের পানি সেই পানি শূন্যতা দূর করে। তাই ডায়রিয়া হলে ডাক্তারেরা রোগীকে স্যালাইনের পাশাপাশি ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ডাবের পানিতে থাকা শর্করা ও মিনারেল শরীরকে শীতল ও আদ্র রাখে। এই জন্য প্রচন্ড গরমে স্যালাইনের বিকল্প হিসেবে অনেকেই ডাবের পানি খেয়ে থাকেন।
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা আমাদের পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে এবং হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে।নিয়মিত ডাবের পানি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ডাবের পানি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় ফলের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ডাবের পানিতে কোন চর্বি নেই বরং এটি শরীরের অতিরিক্ত চিনি শোষণ করে ফলে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অতিরিক্ত গরমে শরীর থেকে লবন পানি বের হয়ে যায় শরীরের পানি শূন্যতা দূর করতে ডাবের পানি খুবই উপকারী।
নিয়মিত ডাবের পানি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় তাছাড়া শরীরের ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক ও তৈলাক্ত তারা নিয়মিত ডাবের পানি পান করবেন এতে করে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে।
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এর ফলে কিডনি সংক্রান্ত রোগ হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
নিয়মিত ডাবের পানি পান করার ফলে শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। শুধু তাই নয় এটি দেহের কোলেসে্টলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমিয়ে দেয়।
অনেকের অ্যাসিডিটির কারণে বুক জ্বালাপোড়া করে। এই সময় যদি ডাবের পানি খাওয়া যায় তাহলে বুক জ্বালা করা ভালো হয়ে যায়।
ডেঙ্গু জ্বর হলে ডাবের পানি পান করলে ডেঙ্গু জ্বর তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়।
ডাবের পানি খাওয়ার অপকারিতা।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ডাবের পানি সব বয়সের মানুষের জন্য উপকারী। প্রতিটি জিনিসের ভালোমন্দ দুটি দিক থাকে। ডাবের পানির ক্ষেত্রেও তাই। এর অনেক উপকারের পাশাপাশি কিছু অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকও রয়েছে নিচে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল।
ডাবের পানি নিয়ম করে পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। এটা উপকারী বলে অপ্রয়োজনে বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না তাতে বরং উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আরো পড়ুনঃ পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার উপকারিতা
বেশি পরিমাণে ডাবের পানি খেলে অনেকেরই ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডাবের পানিতে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু শরীরে এগুলোর কোনটার পরিমান বড়ে গেলে ইলেকট্রিক ব্যালেন্স ভারসাম্য বজায় নাও থাকতে পারে। এসব কিছুই শর্ত ঝুঁকি তৈরি করবে।
কিডনি রোগীদের ডাবের পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কাজেই যেকোনো পর্যায়ের কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডাবের পানি পান করা উচিত।
যাদের শরীরে এলার্জির পরিমাণ বেশি তারা যদি বেশি পরিমানে ডাবের পানি পান করে তাহলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। তাই যাদের অ্যালার্জি আছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডাবের পানি পান করবেন।
ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীরা ডাবের পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাবের পানিতে অন্যান্য খনিজের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণের সোডিয়াম রয়েছে। যা উচ্চ রক্তচাপ বাড়াতে পারে। যাদের উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ডাবের পানি সমস্যার কারণ হতে পারে।
যাদের শরীর অত্যন্ত স্থূলকার যারা শরীরের ওজন কমাতে চাচ্ছেন এরকম ব্যক্তিরা ডাবের পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি এটি মানুষের শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে কাজ করে। এক কথায় যারা শরীরের ওজন কমাতে চাচ্ছেন তাদের ডাবের পানি খাওয়া ঠিক নয়।
গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা।
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শরীরের পুষ্টির চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। কেননা এই সময় মাকে তার অনাগত সন্তানের পুষ্টির চাহিদা ও পূরণ করতে হয়। আলোচনার এই অংশে আমি গর্ববস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
অনেকেই মনে করেন গর্ভবতী নারীদের ডাবের পানি খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু আধুনিক যুগের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এটি ভুল প্রমাণিত করেছে। এক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ হলো, গর্ভবতী নারীদের গর্ভধারণের তৃতীয় মাস থেকেই ডাবের পানি পান করা উচিত কেননা এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ও ক্লোরাইড।
আরো পড়ুনঃ খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্যায়াম করা উচিত
গর্ভবতী অবস্থায় নারীরা ডাবের পানি পান করলে শিশুর মস্তিষ্ক ভালো থাকে। তাই গর্ভধারণের তিন মাস পর থেকে প্রতিদিন অন্তত এক গ্লাস করে ডাবের পানি পান করলে মা ও শিশু উভয়ে ভালো থাকবে।
গর্ভবতী নারীরা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ডাবের পানি পান করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় সকালে ঘুম থেকে উঠে খানিকটা দুর্বল লাগে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য ডাবের পানি খুবই উপকারী।
ডাবের পানি কি ফ্রিজে রাখা যায়।
প্রচন্ড গরমে কোমল পানীয় খাওয়ার চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচার জন্য আমরা বাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের কোলড্রিংস কিনে খেয়ে থাকি যা বিভিন্ন ক্ষতিকর কেমিক্যাল যুক্ত। ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো এইসব কোলড্রিংস আমাদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে পাশাপাশি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি কোলড্রিংস ডাবের পানিতে রয়েছে ব্যাপক পুষ্টিগুণ।
অনেকেই ডাবের পানি ফ্রিজে রেখে দিয়ে খাওয়া যায় কিনা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। পুষ্টিবিদরা এই বিষয়ে যে মতামত দিয়েছে তা হল আপনি ডাব থেকে পানি বের করে সেটি ফ্রিজে সর্বোচ্চ ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত রেখে দিয়ে খেতে পারেন তবে এর বেশি রাখা ঠিক নয় ডাবের পানির গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়।
ডাবের পানি কখন খাওয়া ভালো।
আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরম পড়লে ডাবের পানি খাওয়ার প্রবণতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কেননা এই সময় প্রচন্ড খরতাপে শরীর থেকে ঘাম ঝরে দেহে এক ধরনের পানি শূন্যতা তৈরি হয়। এই পানি শূন্যতা দূর করার জন্য দিনের যেকোনো সময় আপনি ডাবের পানি খেতে পারেন।
তবে মনে রাখবেন প্রচন্ড রোদে বাইরে থেকে ফিরেই সঙ্গে সঙ্গে ডাবের পানি বা যে কোন ধরনের পানি খাওয়া ঠিক নয়। কিছু সময় জিড়িয়ে নেওয়ার পর ডাবের পানি পান করা উচিত। সকালবেলা ডাবের পানি পান করলে এর উপকারিতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
তবে আপনি চাইলে সারাদিন কাজ করার পর সন্ধ্যার সময় ডাবের পানি পান করতে পারেন তাতেও অনেক উপকার হয়।
ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম।
কৃত্রিম কেমিক্যাল যুক্ত পানীয় পান করার চাইতে ডাবের পানি পান করা বেশি উপকারী। সঠিক নিয়মে ডাবের পানি পান করতে না পারলে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনেকে রয়েছেন ডাবের পানি দীর্ঘক্ষণ ফ্রিজে রেখে অথবা বাহিরের পরিবেশে রেখে পরবর্তীতে পান করে যা মোটেও ঠিক নয়। বাজার থেকে কচি ডাব কিনে সেখান থেকে পানি বের করে খাওয়া সবচাইতে বেশি উপকারী।
বাহিরের দেশগুলোতে ডাবের পানি বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বা খাওয়া হয়ে থাকে। আমাদের দেশে এখনো ডাবের পানির প্রক্রিয়াজাতকরণ করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ বাজার থেকে ডাব কিনে সরাসরি মুখে চুমুক দিয়ে ডাবের পানি খেয়ে থাকেন। এটি ডাবের পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম।
এছাড়া ডাবের পানি আর কি কি উপায়ে খাওয়া যায় এই বিষয়ে কয়েকটি পয়েন্ট নিচে তুলে ধরা হলো-
- কচি ডাবের পানি খেতে হবে। ডাব যত বয়স্ক হবে তত তার পানিতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকবে। যা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
- ডাব কাটার সঙ্গে সঙ্গে পানি খেয়ে নিতে হবে।
- ডাবের পানি খাওয়ার সময় এর সাথে অন্য কোন কিছু মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। যেমন চিনি লবণ গুড় ইত্যাদি মেশানো যাবে না।
- সকালের নাস্তার টেবিলে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ডাবের পানি খেতে পারেন।
- অন্যান্য ফলের জুসের সঙ্গে ডাবের পানি মিশ্রণ করে খাওয়া যেতে পারে।
- ডাবের পানি ফ্রিজে রেখে আইসক্রিম বানিয়ে খাওয়া যায়।
- বর্তমানে বাজারে ডাবের পানির উন্নত মানের আইসক্রিম পাওয়া যায় যা খুবই সুস্বাদু ও লোভনীয়।
- ভাত রান্নায় সাধারণ পারনর ব্যবহার এর পরিবর্তে ডাবের পানি ব্যবহার করলে ভাতের স্বাদ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়।
- বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরিতে ডাবের পানি ব্যবহার করতে পারেন।
বাচ্চাদের ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম।
সুপ্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন বাচ্চাদের ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আলোচনার এই অংশে আমি বাচ্চাদের ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানাবো। বড়দের মত বাচ্চাদের ডাবের পানি খাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এখন প্রশ্ন আসে কত বছর বয়স থেকে বাচ্চাদের ডাবের পানি খাওয়ানো যেতে পারে।
বাচ্চাদের বয়স যখন ৬ মাস পূর্ণ হয় তখন থেকে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে আপনি চাইলে আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত ডাবের পানি খাওয়াতে পারেন। তবে এর পরিমাণ খুব সীমিত হতে হবে ১ থেকে ২ চা চামচের মত।
আপনার বাচ্চাকে ডাবের পানি খাওয়ানোর সময় টা অবশ্যই আপনাকে মনে রাখতে হবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডাবের পানি সকালে ও রাতে খাওয়ানো ঠিক নয় দুপুরের দিকে খাওয়ানো যেতে পারে।
বাচ্চাদের ডায়রিয়া জনিত পানি শূন্যতা দূর করতে স্যালাইনের পাশাপাশি ডাবের পানি খাওয়ানো যায় । শীতকালে বাচ্চাদের ডাবের পানি খাওয়ানো ঠিক নয় এতে করে ঠান্ডা ও সর্দি জর্নিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি বাচ্চাদের ডাবের পানি খাওয়ানোর পর ঠান্ডা ও এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ডাবের পানি খাওয়ানো বন্ধ করে দিতে হবে।
তবে আপনার বাচ্চার ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে তার দৈহিক গঠন ও হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক, আজকের এই আলোচনায় আমি সকালে খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা ও বেশ কয়েকটি অপকারিতা বা ক্ষতি কর দিক নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেছি। এই আর্টিকেলটি কোন রোগের ব্যবস্থাপনা পত্র নয়। আপনাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা। যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তারা ডাবের পানি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বিশেষ করে গর্ভধারণকারী নারীরা ডাবের পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url