কি খেলে টিউমার ভালো হয়ে যায়

টিউমার সম্পর্কে আমাদের সমাজে অনেক ধরনের কথা প্রচলন রয়েছে। যেমন টিউমার এমনিতেই ভালো হয়ে যায়, কবিরাজি ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যায়, হোমিও ঔষধ খেলে ভালো হয়ে যায় ইত্যাদি। আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের মধ্যে টিউমার সম্পর্কে একটি সচেতনতামূলক ধারনা তৈরি হবে। টিউমার কি? কোন ধরনের টিউমার এ ক্যান্সার হয়? কি খেলে টিউমার ভালো হয়ে যায় এই বিষয়গুলো আমার আজকের আলোচ্য বিষয়। 
কি খেলে টিউমার ভালো হয়ে যায়
কি খেলে টিউমার ভালো হয়ে যায় এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি আপনারা আরো যেসব বিষয়ে এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন তাহলো টিউমার কত প্রকার ও কি কি, টিউমার কেন হয়? টিউমারের অপারেশন করতে কত টাকা খরচ লাগে এসব বিষয়ে। 

টিউমার কি?

মানবদেহ বিভিন্ন প্রকার কোষ দ্বারা গঠিত আর এই কোষগুলো নিয়ন্ত্রিতভাবে একে অপরের সাথে সুবিন্যস্ত থাকে। কোষগুলো নির্দিষ্ট সময় পর পর মারা যায় এবং নতুন নতুন কোষের বিভাজন হয়। এই নতুন নতুন কোষ বিভাজিত হওয়ার সময় যদি কোনোটা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে তখন ত্বকের নিচে এক ধরনের শক্ত মাংসের দলা বা চাকার মত দেখা যায় সাধারণভাবে একেই টিউমার বলে। টিউমার দুই ধরনের হতে পারে। যেমন- বিনাইন টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমার।

টিউমার কত প্রকার

টিউমার সাধারণত দুই প্রকার।

  • বিনাইন টিউমার
  • ম্যালিগন্যান্ট টিউমার।
বিনাইন টিউমার ক্যান্সার নয় এটার শরীরের বিভিন্ন অংশে হতে পারে এবং দীর্ঘ সময় থাকলেও মানবদেহে তেমন একটা সমস্যার সৃষ্টি করে না, এতে কোন ব্যথা হয় না।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে অন্য ভাষায় ক্যান্সারও বলা হয়। কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে এবং এত দ্রুত বাড়ে যে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ক্যান্সারের শেষ ধাপে পৌঁছাতে সক্ষম।ম্যালিগন্যান্ট টিউমার প্রচুর ব্যথা হয় এবং তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।

কি খেলে টিউমার ভালো হয় ?

চিকিৎসা নিয়ে ওষুধ খেলে টিউমার ভালো হয়ে যায় ঔষধের পাশাপাশি কিছু খাদ্যাভাস পরিবর্তনের ফলে আপনার টিউমার দ্রুত সেরে যেতে পারে চলুন কোন কোন খাবার খেলে টিউমার অতি দ্রুত ভালো হয়ে যায় এই সম্পর্কে কিছু জেনে নেওয়া যাক-

সবুজ শাকসবজিঃ

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে। সবুজ শাকসবজি আমাদের শরীরে অনেক পুষ্টির যোগান দেয়। পালং শাক, কলমি শাক, পাট শাক, লাল শাক ,পুঁইশাক আরো বিভিন্ন ধরনের শাক রয়েছে যা আমাদের শরীরের খাবার কে দ্রুত হজম করে পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 
শাকসবজিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের টিউমারের কোষ গুলোর বৃদ্ধি রোধ করতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী সবজি বেশি বেশি খেতে হবে। শীতকালীন সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাজর, শিম ইত্যাদি।

মাশরুমঃ

মাশরুম একটি প্রোটিন জাতীয় সবজি আমাদের দেহের অন্যতম খাদ্য ও পুষ্টির যোগানদাতা এই মাশরুম। নিয়মিত মাশরুম খেলে আমাদের শরীরের প্রোটিনের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম এইগুলো থেকেও মাশরুমে প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি প্রতি ১০০ গ্রাম মাশরুমে ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। 

প্রতি ১০০গ্রাম মাছ মাংস ও ডিমের মধ্যে প্রোটিন রয়েছে মাত্র ১৬ থেকে ২০গ্রাম। টিউমার প্রতিরোধ করতে নিয়মিত মাশরুম খেতে হবে।

দুধ ও দুধ জাতীয় খাবারঃ

দুধ হল সুষম খাদ্য। সুষম খাদ্য কাকে বলে সেটা জানতে হবে যে খাবারের মধ্যে সকল খাবারের পুষ্টি উপাদান রয়েছে সেই খাবারকে সুষম খাবার বলে। দুধ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করে এছাড়া দুধ জাতীয় খাবার যেমন দই, ঘি, মাখন এগুলো খেলে টিউমারের কোষ গুলো দ্রুত মরে যায়।

হলুদঃ

হলুদ একটি ঔষধি গুণসম্পন্ন মসলা জাতীয় খাবার। হলুদ সাধারণত সরাসরি খাওয়া যায় না রান্নার সময় বিভিন্ন তরকারিতে হলুদ ব্যবহার করে তা খেতে হয়। তরকারিতে নিয়মিত একটু বেশি পরিমাণের হলুদ খেলে টিউমার বা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ভালো কাজ করে।

ব্রোকলিঃ

আমেরিকান ক্যান্সার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তালিকায় ক্যান্সার প্রতিরোধী দশম খাবার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে ব্রোকলি। পুষ্টিবিদদের তথ্য অনুযায়ী ব্রোকলিতে আয়রনের পরিমাণ অনেক থাকে। ভিটামিন এ এর একটি ভালো উৎস ব্রোকলি। 
এছাড়া এটি ত্বকের জন্য ভালো কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। প্রচুর আন্টি অক্সিডেন্ট আছে। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। টিউমার যেহেতু ক্যান্সারের প্রাথমিক উৎস তাই টিউমার প্রতিরোধ করতে নিয়মিত ব্রোকলি আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

টিউমার কি ব্যথা হয় ।

মানব শরীরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে ওঠা মাংস পিণ্ডকে টিউমার বলে। টিউমার আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে বেড়ে ওঠে এবং আমাদের শরীরের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল থাকে। টিউমারের অভ্যন্তরে যে কোষগুলো থাকে সেই কোষগুলো মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই কোষের মধ্যেই ক্যান্সারের জীবাণু থাকে। 

এখন পর্যন্ত মানব শরীরে যে টিউমার গুলো আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে বেশিরভাগই ক্যান্সারের জীবাণু বহন করে। তবে কিছু টিউমার আছে যা ক্যান্সারের জীবাণু বহন করে না। এই ধরনের একটি টিউমার হচ্ছে বিনাইন টিউমার। এই টিউমার মানব দেহের মধ্যে বিরাজমান করলেও তা খুব একটা ক্ষতিকারক নয়। মানবদেহের যেসব টিউমার দেখা যায় তার বেশির ভাগই ব্যথা করে খুব কম সংখ্যক টিউমার ব্যথা ছাড়া হয়। 
যেমন মানবদেহে এক ধরনের টিউমার হয় লাইপোমা টিউমার। এটি হালকা হালকা ব্যথা হতে পারে। লাইপোমা টিউমার মানুষের শরীরের চামড়ার নিচে এবং মাংসপেশির উপরে অর্থাৎ চামড়া ও মাংসের মাঝখানে নরম অংশে তৈরি হয় যেখানে চর্বি অবস্থান। শরীরের অভ্যন্তরে যেসব টিউমার হয়ে থাকে সেগুলো ব্যথা করে। 

যেমন ব্রেন টিউমার থেকে শুরু করে পেটের বিভিন্ন অংশে টিউমার একটু বেশি ব্যথা করে। শরীরের অভ্যন্তরে যে টিউমার গুলো রয়েছে সেগুলো খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় এবং তাদের অবস্থা খুব শক্তিশালী হয় যার কারণে তারা শরীরের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। যে টিউমার গুলো শরীরের ভিতরে হয় খুব বেশি ব্যথা করে ক্যান্সারের জীবাণু বহন করে এই ধরনের টিউমারকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার বলে।

টিউমার কি শক্ত হয় ।

মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের টিউমার দেখা যায় এ সকল টিউমারের মধ্যে এক ধরনের টিউমার রয়েছে যাকে আমরা লাইপোমা টিউমার বলি। এই লাইপোমা টিউমারটি একটু শক্ত হয়। হাত দিয়ে চাপ দিলে এদিক সেদিক নড়াচড়া করে তাই খুব সহজে এই লাইপোমা টিউমারকে সনাক্ত করা যায়। অন্যান্য টিউমার রয়েছে যেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না যেমন ব্রেন টিউমার, পাকস্থলীতে টিউমার। 
কিন্তু লাইপোমা টিউমার শরীরের উপরিভাগে অর্থাৎ ত্বক এবং মাংসপেশীর মাঝ বরাবর হয়ে থাকে। তাই এটি সহজেই সনাক্ত করা যায় এবং দেখা যায়। তাহলে আমরা বলতে পারি লাইপোমা টিউমার শক্ত হয়ে থাকে।

টিউমার কেন হয় ?

আমরা পূর্বেই আলোচনা করেছি যে টিউমার কাকে বলে এবার টিউমার কেন হয় এই বিষয়টি নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক-

টিউমার সাধারণত  প্রকার হয়ে থাকে। একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে না যে একটি টিউমার ভবিষ্যতে অন্য কোন ধরনের টিউমারে রূপান্তরিত হবে না। অনেক সময় দেখা গেছে নন ক্যান্সার টিউমার ভবিষ্যতে গিয়ে ক্যান্সার টিউমারে পরিণত হয়েছে তাই উচিত শরীরের যেকোনো অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে সাবধানতার সাথে দেখে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। টিউমার কেন হয় এই সম্পর্কে সামান্য কিছু নিচে উল্লেখ করা হলো-
  • জিনগত কারণে অনেক ক্ষেত্রে টিউমারের সৃষ্টি হয়।
  • পরিবারের কাছের কোন আত্মীয়দের কোন ধরনের টিউমার থাকলে পরবর্তী প্রজন্মেরও টিউমার হতে পারে।
  • অতিরিক্ত ধূমপান করা, মদ পান করা, বেশি বেশি মাংস খাওয়া, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, কম পরিশ্রমের কাজ করা ইত্যাদির কারণে অনেক সময় শরীরে টিউমার দেখা যায়।
  • মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের শরীরে টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
  • বেশি বয়স পর্যন্ত সন্তান না নেওয়া, দীর্ঘ সময় ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ ট্যাবলেট গ্রহণ করা, বিভিন্ন হরমোনাল থেরাপি দেওয়া ইত্যাদির কারণে শরীরের টিউমার হতে পারে।
  • আমরা অনেক সময় আমাদের ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল জাতীয় কসমেটিক্স পণ্য ব্যবহার করি। যেমন- পাউডার, ক্রিম, পারফিউম এসব শরীরে অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য টিউমার হতে পারে।
  • কিছু ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকেও দেহের টিউমার তৈরির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

টিউমার থেকে কি ক্যান্সার হয়।

দেহের কিছু অস্বাভাবিক কোষের বৃদ্ধির কারণে ক্যান্সার দেখা দেয়। সঠিক সময় ক্যান্সার ধরা পড়লে তা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা যায় কিন্তু সময় থাকতে চিকিৎসা শুরু না হলে টিউমার মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। টিউমার হয়েছে বলে যে আপনার ক্যান্সার হয়েছে এমনটা ধরে নেওয়া ঠিক নয়। 

বহু মানুষের ধারণা টিউমার থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হয় কিন্তু এ কথা সবসময় সঠিক নয়। আমাদের দেহে পুরো জীবদ্দশায় প্রচুর কোষ জন্মায় এবং মরে যায় আবার নতুন কোষ জন্মগ্রহণ করে। 

এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনেক সময় এই প্রক্রিয়াটি ভেঙে যায় তখন কিছু কোষ ক্যান্সারে পরিণত হয় এটাই হল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির কারণ। সব ধরনের টিউমারের মধ্যে ক্যান্সারের কোষ থাকে না। বিনাইন টিউমার সেগুলোর মধ্যে একটি। 
এটি ক্যান্সারের কোষ গঠন করে না এবং অন্যান্য কোষকে আক্রমণ করে না। তবে বিনাইন টিউমার কখনো কখনো বড় আকার ধারণ করতে পারে সম্পূর্ণ অপসারণ করার পর এই টিউমার আর ফিরে আসে না। অন্যদিকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে ক্যান্সারের কোষ গঠন করে।

মালিগন্যান্ট টিউমার প্রথমে কোন ব্যথা হয় না কিন্তু অনিয়মিত আকার ধারণ করে।  ম্যালিগন্যান্ট টিউমার মানুষের দেহে বিভিন্ন অংশে হতে পারে যেমন- অগ্ন্যাশয়, ফুসফুস, লিভার, স্তন, ডিম্বাশয়, মস্তিষ্ক, পেটে ও বুকে। 

সব ধরনের টিউমার ক্যান্সার না হলেও শরীরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা দরকার। আপনি নিজেই একটু খেয়াল করলে সেই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি খুঁজে পেতে পারেন। তবে এমন অনেক ক্যান্সার রয়েছে যেখানে কোন মাংসপিণ্ড বা টিউমার সৃষ্টি হয় না। 

যেমন- লিউকেমিয়া এই ধরনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হয়। কোন লক্ষণ প্রকাশ পেলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। টিউমার ক্যান্সারের রূপ ধারণ করেছে কিনা তা বিভিন্ন পরীক্ষার নিরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায়। 

প্রাথমিক স্তরের রক্ত পরীক্ষা এবং প্রসাব পরীক্ষা করা হয় এরপর সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আল্ট্রাসাউন্ড এক্স-রে এবং টিস্যু বায়োপসি এর মত বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করে আপনার টিউমারটি ক্যান্সারে রূপ ধারণ করেছে কিনা তা সহজেই বোঝা যায়।

টিউমার অপারেশনের খরচ কত।

টিউমার অপারেশনের খরচ বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন- টিউমারের ধরন এবং আকার, অস্ত্রোপচার কৌশল, হাসপাতাল এবং সার্জন ফি, হাসপাতালে ভর্তির সময়কাল ইত্যাদি। তবে সাধারণভাবে বলা যায় টিউমার অপারেশনের খরচ ১০০০০/= টাকা থেকে ৮০,০০০/= টাকা পর্যন্ত বা ক্ষেত্র বিশেষে এর বেশিও হতে পারে। যাই হোক আপনার নির্দিষ্ট অবস্থা এবং চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে একটি সঠিক অনুমান পেতে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।

লেখকের মন্তব্যঃ 

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে টিউমার কি? টিউমার কত প্রকার। কি খেলে টিউমার ভালো হয়ে যায়? সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনারা টিউমার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয় টিউমার সম্পর্কে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের সচেতনতার খুব অভাব রয়েছে। 

আমরা অনেকেই সঠিক সময়ে টিউমারের চিকিৎসা নিতে চাই না কোন টিউমার যখন ক্যান্সারের রূপ ধারণ করে তখন আমরা ডাক্তারের পরামর্শ বা ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। এ অবস্থায় অনেক সময় মৃত্যুর কারণও হতে পারে । টিউমার প্রাথমিক অবস্থায় দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সঠিক চিকিৎসা নিতে হবে তাহলে আমরা ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পাব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।

comment url