ব্রেন টিউমার হওয়ার কারণ ও লক্ষণসমূহ কি কি
মাথার খুলির ভেতরকার অংশে এক বা একাধিক সেলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ব্রেন টিউমার হয়। জেনেটিক কিছু কারণ ছাড়াও খাদ্যে ভেজাল বিভিন্ন ক্ষতিকারক কেমিক্যাল এর প্রভাবসহ বিভিন্ন কারণে ব্রেন টিউমার হয়। আজকের এই আলোচনায় ব্রেন টিউমার হওয়ার কারণ ও লক্ষণসমূহ কি কি এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।পাশাপাশি আপনারা আরো জানতে পারবেন ব্রেন টিউমার কোথায় হয়। ব্রেন টিউমারের চিকিৎসার খরচ কত এসব বিষয়।
ব্রেন টিউমার কোথায় হয়।
মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গের মধ্যে মস্তিষ্ক অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি অঙ্গ। আমাদের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি রোগ হচ্ছে ব্রেন টিউমার। শরীরের অন্যান্য অংশে টিউমার হইলে আপনাকে যেমনটা ভাবিয়ে তোলে মস্তিষ্কে টিউমার হলে এই ভাবনাটা আরো দ্বিগুণ হয়ে যায়।
কেননা মস্তিষ্ক যেহেতু একটি সংবেদনশীল অঙ্গ তাই মস্তিষ্কের টিউমার এর চিকিৎসা পদ্ধতিও অনেক জটিল। ক্ষেত্রবিশেষে অনেক ব্যয়বহুল কোন কোন সময় ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা করেও কাঙ্খিত ফল লাভ করা যায় না। আমরা জানি যে টিউমার হচ্ছে শরীরের যে কোন জায়গা বা অঙ্গের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এই টিউমার যদি মস্তিষ্কে হয় তাহলে আমরা সেটাকে ব্রেন টিউমার বলি।
ব্রেন টিউমার দুই রকমের হতে পারে বিনাইন ব্রেন টিউমার ও ম্যালিগন্যান্ট ব্রেন টিউমার। বিনাইন টিউমার নীরব প্রকৃতির কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট ব্রেন টিউমার খারাপ ধরনের। কিছু ব্রেন টিউমার মস্তিষ্ক থেকে উৎপত্তি হয় এগুলো হলো প্রাইমারি ব্রেন টিউমার। আবার কিছু ক্ষেত্রে শরীরের অন্য জায়গায় বা অন্য কোন স্থানের টিউমার থেকে সরিয়ে ব্রেনে আসে এটাকে সেকেন্ডারি বা মেটাস্ট্যাটিক ব্রেন টিউমার বলা হয়।
ব্রেন টিউমার কেন হয়।
ব্রেন টিউমার বিভিন্ন কারণে হতে পারে যখন মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কোষগুলোর ডিএনএ তে কোন ত্রুটি থাকে তখন ব্রেন টিউমার হয়। শরীরের কোষগুলো ক্রমাগত বিভক্ত হয়ে যায় এবং মরে যায় পরবর্তীতে নতুন কোষের সৃষ্টি হয়।
অনেক ক্ষেত্রে নতুন কোষ সৃষ্টি হওয়ার পরেও পুরাতন কোষগুলো থেকে যায়। ফলে এই কোষগুলো জমাট বেধে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্রেন টিউমার কেন হয়? সেই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
বংশগত কারণঃ
ব্রেন টিউমারের মত রোগ বা শারীরিক ব্যাধি অনেক ক্ষেত্রেই জিনগতভাবে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে প্রবাহিত হয়। আবার অনেক সময় বংশগত কারণে ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে অর্থাৎ বাবা, মা ও নিকট আত্মীয় কারো ব্রেন টিউমার থাকলে পরবর্তী প্রজন্মেরও ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পুরাতন রোগের ইতিহাসঃ
আপনার যদি পূর্বে কোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তবে পরবর্তীতে ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়। কেননা চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী আমাদের শরীরের ক্যান্সারের কোষগুলো দীর্ঘসময় সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে এবং পরবর্তীতে হঠাৎ তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। শৈশবে কোন রূপ ক্যান্সার থাকাও পরবর্তীকালে ব্রেন টিউমার বা ক্যান্সারের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে ধরা হয়।
রেডিয়েশনঃ
অনেক সময় পেশাগত কারণে আমাদের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিকিরণ রশ্নির উপস্থিতিতে থাকতে হয় অথবা ক্যান্সারের চিকিৎসার অংশ হিসেবে কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি জাতীয় চিকিৎসা নিতে হয়। সিটি স্ক্যান এম আর আই জাতীয় ইমেজিং টেস্ট বারবার করানোর ফলে রেডিয়েশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এইসব বিকিরণের সংস্পর্শে আসার ফলে আমাদের মস্তিষ্কে টিউমার হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কি খেলে টিউমার ভালো হয়ে যায়
এর পাশাপাশি আরও একটি ধরনের কথা না বললেই নয় আমরা অনেকেই মোবাইল এবং মোবাইল টেলিভিশন ইত্যাদি রেডিয়েশনের সামনে অনেকক্ষণ বসে কাজ করি যা ব্রেন টিউমারের সম্ভাবনা বাড়ায়।
তবে এখন পর্যন্ত মোবাইলের থেকে রেডিয়েশন বের হয় তা থেকে ব্রেন টিউমার বা ক্যান্সার হয়ে থাকে এরকম বৈজ্ঞানিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে মোবাইল থেকে যে রেডিয়েশন বের হয় তার অন্যান্য ক্ষতিকর দিক রয়েছে এসব থেকে বাঁচার জন্য মোবাইল যত কম ব্যবহার করা যায় ততই ভালো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ
যাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের বিভিন্ন রোগে সহজেই দুর্বল করে দিতে পারে, এর ফলে ব্রেনের টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে যেসব ব্যক্তি এইডস বা এইচআইভি রোগে আক্রান্ত তাদের ব্রেন টিউমার হবার ঝুঁকি কয়েক গুণ বেশি।
আরো পড়ুনঃ টিউমার চেনার উপায় ও চিকিৎসা পদ্ধতি
উপরে উল্লেখিত কারণগুলো ছাড়াও বয়স বাড়ার সাথে সাথে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বেড়ে যায় এছাড়া স্থূলকার ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে এর পাশাপাশি পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে ব্রেন টিউমার হওয়ার মাত্রা বেশি।
ব্রেন টিউমারের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ।
আমাদের ব্রেনে দুই ধরনের টিউমার হয় যথা ম্যালিগন্যান্ট টিউমার (ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে) এবং বিনাইন টিউমার (ক্যান্সারের কোন সম্ভাবনা থাকে না) এখানে আলোচ্য বিষয় ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের লক্ষণ সমূহ কি কি? ব্রেন টিউমার হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায় এই লক্ষণগুলো মস্তিষ্কে টিউমারের অবস্থান, আকার, আকৃতি ও বৃদ্ধির হার ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে আলাদা আলাদা হয়।
মাথা ব্যাথাঃ
ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের সাধারণ একটি উপসর্গ হচ্ছে মাথা ব্যথা কম বেশি সব ধরনের টিউমারের ক্ষেত্রেই এই উপসর্গটি দেখা যায়। ব্রেন টিউমার হলে সাধারণত মাথা ব্যাথা খুবই বেশি হয়। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত কোনো রোগী বেশি নড়াচড়া করলে মাথা ব্যাথার পরিমাণ বেড়ে যায় আবার কিছুক্ষণ আরাম করলে মাথা ব্যাথা কমে আসে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা ব্যাথা তীব্রভাবে হয়। অতিরিক্ত মাথা ব্যথার কারণে বমি বমি ভাব হয় সাধারণত মাথা ব্যথার ওষুধ খাওয়া সত্বেও মাথাব্যথা সারে না।
দৃষ্টিশক্তি কমে আসাঃ
ব্রেন টিউমারের উল্লেখযোগ্য একটি উপসর্গ হচ্ছে দৃষ্টিশক্তি কমে আসা। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত রোগী চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করে যদিও বা তার চোখে সানি পড়ার মতো কোনো উপসর্গ পাওয়া যায় না।
আচরণগত পরিবর্তনঃ
ব্রেন টিউমার হলে হঠাৎ মেজাজ খারাপ হওয়া এমনকি ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন- ছোটখাটো সাধারণ বিষয়ে বিরক্তি অনুভব করা এবং এই বিরক্তি ভাব দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হওয়া। কোন কারণ ছাড়াই হাসিখুশি অবস্থা থেকে মুহূর্তে দুঃখ বা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়া, ক্লান্তি, কাজ বা করতে রোজগার করতে অনীহা, ইতিপূর্বে যা প্রিয় ছিল বর্তমানে তার প্রতি কোন টান না থাকা ও ছোটখাটো বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়া ইত্যাদি।
খিচুনিঃ
আমাদের স্নায়ুর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ইম্পালস মস্তিষ্ক থেকে দেহের অন্যান্য অংশের নির্দেশ প্রেরণ করার কাজে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। যদি মস্তিষ্কে টিউমার হয় তবে তা নিজের বৃদ্ধির সাথে সাথে স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট স্নায়ু ও রক্ত জালিকা গুলিকে চাপ দিতে থাকে এর ফলে স্নায়ু প্রবাহ ব্যাহত হয় এর জন্য খিচুনির মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ আক্কেল দাঁত কি? আক্কেল দাঁত ব্যথা কতদিন থাকে
ব্রেন টিউমার হলে আরো যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন শরীরের একপাশের অংশ বিশেষ করে হাত পা অবশ হয়ে যেতে পারে, স্মৃতি নষ্ট হওয়া, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, কথা বলা ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক আচরণ করা, উপরের দিকে তাকাতে সমস্যা হওয়া, নারীদের ক্ষেত্রে স্তন্য উৎপাদনের হ্রাস পাওয়া ও মুখের রুচি নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে?
আমরা আগেই জেনেছি যে টিউমার দুই ধরনের বেনাইন টিউমার যা ধীরে ধীরে বাড়ে এবং অন্যান্য জায়গায় ছড়ায় না। তবে টিউমারের আকার বড় হলে মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হয় এক্ষেত্রে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয় এই টিউমারের রোগী মারা যায় না সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা হলে তা নিরাময় সম্ভব।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার এই ধরনের টিউমার মস্তিষ্কের ভিতরে বা বাহিরে হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কোলেস্টেরল কমানোর ঘরোয়া উপায়
মস্তিষ্কের বাহিরে শরীরের অন্যান্য জায়গায় থেকে কোন টিউমার ধীরে ধীরে ক্যান্সারের রূপ নিয়ে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে এটা। এক্ষেত্রে আপনাকে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারলে এই ধরনের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরনের ক্যান্সার পুরোপুরি সেরে ওঠেনা যার কারণে অনেক রোগী অকালে মৃত্যুবরণ করে।
ব্রেন টিউমার হলে করণীয়।
ব্রেন টিউমারের লক্ষণ গুলো প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে যত দ্রুত সম্ভব একজন নিউরো মেডিসিন বা নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া নিতে হবে। ব্রেন টিউমার চিকিৎসা অত্যন্ত জটিল। ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, তীব্রতা, আকার ও অবস্থানের উপর। সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি এর মূল চিকিৎসা। লক্ষণের উপর ভিত্তি করে কিছু ওষুধ দেয়া হয় যেমন খিচুনি বন্ধ করা বা বমির ওষুধ ও মাথা ব্যথার ওষুধ ইত্যাদি। ব্রেন টিউমারের চিকিৎসার ধরন গুলো নিম্নরূপ-
অপারেশনঃ
আপনার শরীরে যদি ব্রেন টিউমার হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই অপারেশন করে এই টিউমার অপসারণ করা উচিত। অপারেশন করে টিউমার অপসারণ করলে এটির বিস্তার সহজে কমে আসে। অপারেশনের মাধ্যমে টিউমার অপসারণের দুইটি প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এটি করতে গেলে আপনার শরীরে অধিক রক্তপাত এবং সংক্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে।
রেডিওথেরাপিঃ
রেডিওথেরাপি বা রোশনি চিকিৎসা হচ্ছে ক্যান্সার চিকিৎসার একটি কার্যকরী পদ্ধতি এই পদ্ধতির মাধ্যমে ক্যান্সারের কোষগুলোকে মেরে খেলা হয় বা কোষ গুলো বৃদ্ধি কমিয়ে না হয়। রেডিওথেরাপি অপারেশনের আগে বা পরে অন্যান্য চিকিৎসার সাথে মিশিয়ে দেয়া হতে পারে। রেডিওথেরাপি দেওয়ার পর এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকে জ্বালাপোড়া করা, বমি হওয়া, শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে।
কেমোথেরাপিঃ
কেমোথেরাপি এক ধরনের কেমিকাল চিকিৎসা যা ক্যান্সারের কোষগুলো মেরে ফেলে এবং তাদের বৃদ্ধি দ্রুত কমিয়ে আনে। কেমোথেরাপি রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে যাওয়া ক্যান্সারের কোষগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়া বমি হওয়া দুর্বলতা অনুভব করা ইত্যাদি হতে পারে।
টার্গেটেডথেরাপিঃ
ঔষধ প্রয়োগ করে রোগীর দেহে থাকা ক্যান্সারের কোষ গুলো বিশেষভাবে টার্গেট করে তাদের বিনাশ করা হয়। এ থেরাপির মাধ্যমে ক্যান্সারের কোষগুলোকে সুস্থ কোষ থেকে আলাদা করে তাদের বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়া হয়। টার্গেট থেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে ত্বকের জ্বালাপোড়া, বমি হওয়া, দুর্বলতা অনুভব, করা রক্ত চাপ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে।
ইমিউনোথেরাপিঃ
ইমিউনোথেরাপি ক্যান্সার চিকিৎসার একটি কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি। এটির মাধ্যমে মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে বাড়িয়ে তোলা হয় যার প্রভাবে ক্যান্সারের কোষগুলো দ্রুতগতিতে বাড়তে পারে না বা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যার শরীরের ইমিউনিটি বেশি থাকে তাকে সহজে ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগ আক্রমণ করতে পারে না।
যার শরীরে ক্যান্সার বাসা বাঁধে ধরে নেয়া হয় তার শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার কম তাই তাকে ইমিউনোথেরাপি দেয়া হয় যাতে ক্যান্সার দ্রুতগতিতে দেহের অন্যান্য অংশে না ছড়াতে পারে।
ব্রেন টিউমার অপারেশন খরচ বাংলাদেশ।
আপনার শরীরে ব্রেন টিউমারের লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে আপনাকে অতি দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ নিউরো সার্জারি বা নিউরোমেডিসিন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এখন প্রশ্ন আসে ব্রেন টিউমারের অপারেশন খরচ কত টাকা হতে পারে এটি নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল।
সরকারি হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল এবং বিশেষায়িত হাসপাতালে টিউমার অপারেশনের খরচ কম বেশি হতে পারে। তবে আজকের এই পোস্টে আমি ব্রেন টিউমারের অপারেশনের খরচ সম্পর্কে মোটামুটি একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব-
ব্রেন টিউমার অপারেশনের খরচ মূলত নির্ভর করে হাসপাতালে সুনাম, সুযোগ- সুবিধা, দক্ষতা, অপারেশনে সম্পাদনকারী সার্জনের খরচ, টিউমারের ধরন, টিউমার নির্ণয়ের পদ্ধতি, ইত্যাদির উপরে।
বাংলাদেশে বিশেষ করে রাজধানী শহর ঢাকাতে বেসরকারি হাসপাতালে ব্রেন টিউমার অপারেশন করতে আপনার মোটামুটি ২,০০,০০০/= থেকে ৩,০০,০০০/= খরচ হতে পারে। সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে এই খরচ কিছুটা কম হতে পারে। ব্রেন টিউমার টির অবস্থা স্বাভাবিক থাকলে এই খরচ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাগে।
লেখকের মন্তব্যঃ
কিছু টিউমার আছে যেগুলো শরীরের দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে ক্যান্সার হতে পারে তাই টিউমার শরীরে দেখা দেওয়া মাত্রই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে তা অপসারণ করা উচিত। ব্রেনে টিউমার হওয়া মাত্রই আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে খুব দ্রুত ব্রেন টিউমার ভালো করা যায়। ব্রেন টিউমার প্রাথমিক অবস্থায় যদি আমরা শনাক্ত করে চিকিৎসা করে নিতে পারি তাহলে আমাদের জীবন এবং অর্থ দুটি সাশ্রয় হবে।
ব্রেন টিউমার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল সাধারণভাবে প্রশ্ন আসে বাংলাদেশের ব্রেন টিউমার চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন। আমাদের দেশের বড় বড় শহরগুলোর হাসপাতালে এখন সফলভাবে এর চিকিৎসা করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে যেকোনো ধরনের বেন টিউমারের অস্ত্র পচার সম্ভব যা অন্যান্য দেশের তুলনায় খরচ অনেকটা কম।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url