খালি পেটে গাজর খাওয়ার উপকারিতা

নিজেকে সুস্থ রাখতে মানুষ নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের সবজি খেয়ে থাকেন এই সকল সবজি মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। খালি পেটে গাজর খাওয়ার উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন। অন্যান্য সবজির তুলনায় গাজর একটি পুষ্টিকর সবজি। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন।
খালি পেটে গাজা খাওয়ার উপকারিতা
গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- এ, ভিটামিন- সি, ভিটামিন- কে, কপার এবং ম্যাগানিজ যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আজকে আমি আপনাদের সামনে খালি পেটে গাজর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এই পোস্টটি পড়ে আপনারা আরো জানতে পারবেন গাজর খাওয়ার নিয়ম এবং গাজর খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।

খালি পেটে গাজর খাওয়ার উপকারিতা ।

প্রতিদিন গাজর খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে, আপনার শরীরের ক্ষতিকারক জীবাণু ভাইরাস বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে, আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে গাজর এর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া গাজরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ, পটাশিয়াম, ফরফরাস ইত্যাদি যা আপনার হাড়ের গঠন শক্তিশালী করে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। 


প্রতিদিন একটি করে গাজর চিবিয়ে খেলে দাঁতের বেশ উপকার হয়। বিশেষ করে দাঁত শক্ত হয়, দাঁতের ক্ষয় রোধ করে, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। তাই আমি বলব আপনারা প্রতি দিন অন্তত একটি করে গাজর খাবেন। প্রতিদিন মর্নিং ওয়ার্কের পরে এক গ্লাস গাজরের জুস আপনার সারাদিনের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেবে। এবার আমি আপনাদের সামনে গাজরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব-

চোখের সমস্যা সমাধান করেঃ

মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলোর মধ্যে চোখ একটি। ভিটামিন-এ এর অভাব জনিত সমস্যার কারণে এই চোখ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষত ভিটামিন- এ এর অভাবজনিত কারণে চোখে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে হচ্ছে রাতকানা, চোখে ছানি পড়া, অন্ধত্ব, চোখে ঝাপসা দেখা, চোখ ওঠা, ডায়াবেটিক রেটিনার ক্ষয়, শুকনো চোখ ও চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি। 

চোখের এসব সমস্যা হয়ে থাকে ভিটামিন -এ এর অভাবে। গাজর একটি রঙিন সবজি এবং এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- এ বা বিটা ক্যারোটিন যা আপনার চোখের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আমাদের প্রতিদিন ২ - ৩ টি গাজর খাওয়া উচিত।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ

হাজারো পুষ্টিগণে ভরপুর গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। গাজরের বিটা ক্যারোটিন শরীরের কোলেস্টেরল মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আপনারা যারা নিয়মিত খালি পেটে গাজর খাবেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকবে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের হজম শক্তি দুর্বল। একটু ভারী খাবার খেলে হজমের সমস্যা হয় বা পেটে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে আপনি নিয়মিত খালি পেটে গাজর খেতে পারেন।কেননা গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ। ফাইবার দ্রুত খাদ্য হজমে সাহায্য করে।

ওজোন হ্রাস করেঃ

মানব দেহের অতিরিক্ত ওজন শারীরিক ও প্রাত্যহিক চলাফেরায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গাজর রাখলে শরীরের ওজন হ্রাস করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

হাড় মজবুত করেঃ

অত্যাধিক পুষ্টিকর খাবার গাজরে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন -সি যা আমাদের শরীরের হার মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করে, হাড়কে করে তোলে শক্তিশালী। ছোটবেলা থেকে কেউ যদি প্রতিদিন নিয়ম করে গাজর খায় তাহলে তার হাড় অধিক শক্তিশালী হবে। তাই আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়মিত গাজর খাওয়ার  অভ্যাস গড়ে তুলবো ।

রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ

আধুনিক ও উন্নত জীবনধারার ফলশ্রুতিতে আমাদের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারো শরীরে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় এর ফলে অন্যান্য রোগ সহজেই দেহে আক্রমণ করতে পারে। গাজরের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আন্টি অক্সিডেন্ট যা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ডাইবেটিস রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তি প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় গাজর রাখতে পারেন তাহলে তার ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধঃ

অসময়ে মাথা থেকে দ্রুত চুল ঝরে পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে গাজরের রয়েছে অসাধারণ ক্ষমতা। যাদের অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত গাজর খেতে পারেন। কেননা গাজরে থাকা ভিটামিন- সি চুলের গোড়া শক্ত করে। এতে করে আপনার দ্রুত চুল পড়া কমে আসবে। এছাড়াও চুল ঘন এবং চকচকে করে তোলে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়ঃ

সূর্যের আলোতে অতিরিক্ত চলাফেরা করার কারণে অনেকের ত্বক কালচে বর্ণের হয়ে যায় এবং খসখসে হয়ে পড়ে এইসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আপনি নিয়মিত গাজর খেতে পারেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ

আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেসব সবজি কার্যকরী ভূমিকা রাখে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গাজর। গাজরের রয়েছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকরী সব পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। নিয়মিত গাজর খাওয়ার ফলে শরীর বিভিন্ন ধরনের জীবাণু মুক্ত হয়।

দাঁত মজবুত করেঃ

প্রতিদিন ২-৩ গাজর চিবিয়ে খেলে আমাদের দাঁত ভালো থাকে। বিশেষ করে দাঁত মজবুত করে, দাঁতের ক্ষয় রোধ দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে এবং দাঁতের মাড়ি মজবুত রাখে ।

সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষাঃ

সূর্যের আলোতে অতিরিক্ত চলাচলের কারণে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি আমাদের ত্বকের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন আপনার ত্বকের পুষ্টি উপাদান যা শরীরের অভ্যন্তরে ভিটামিন- এ তে রূপান্তরিত হয়। এটি ত্বকের টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে।

যৌন শক্তি বাড়ায়ঃ

নিয়মিত গাজর খেলে পুরুষদের যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। গাজরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন- ই এবং বিটা ক্যারোটিন এগুলো শুক্রাণু তৈরিতে সাহায্য করে। যেসব পুরুষরা নিয়মিত গাজর খায় তাদের দেহে বেশি শুক্রাণু তৈরি হয়। এছাড়াও গাজরে থাকা ভিটামিন- এ লিভার এর ফাংশনের অবদান রাখে। লিভার হল পুরুষ হরমোন উৎপাদনের কেন্দ্রস্থল। ভিটামিন- এ এর মাত্রা বৃদ্ধির ফলে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি পায়। যার ফলে পুরুষদের দেহে শুক্রাণু বেড়ে যায়।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ

ঘাতক রোগ হিসাবে ক্যান্সার কে আমরা সবাই ভয় পাই। ক্যান্সারের কথা শুনলেই আমাদের গা শিউরে ওঠে। ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্য আমাদের নিয়মিত গাজর খাওয়া উচিত।

শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করেঃ

শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে গাজরের রয়েছে শক্তিশালী ক্ষমতা। গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। প্রতিদিন কাঁচা গাজর খেলে শরীর সুস্থ থাকে ।

জন্ডিস প্রতিরোধ করেঃ

আমরা সবাই জানি জন্ডিস একটি পানিবাহিত রোগ। সাধারণত দূষিত পানি পান ও ব্যবহারের ফলে আমাদের শরীরে জন্ডিস আক্রমণ করে। গাজর হচ্ছে জন্ডিস প্রতিরোধী একটি সবজি। নিয়মিত গাজর খেলে আমাদের শরীরে সহজে জন্ডিস আক্রমণ করতে পারবে না।

রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ

বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে অনেক সময় রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। গাজরে থাকা অতিরিক্ত আয়রন মানব দেহের রক্তের ক্ষয় দ্রুত পূরণ করে। রক্ত পরিষ্কার এবং রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য নিয়মিত দুই থেকে তিন গ্লাস গাজরের রস খাওয়া যেতে পারে।

গাজর খাওয়ার নিয়ম।

গাজর একটি শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমানে সারা বছরই কমবেশি গাজর পাওয়া যায়। গাজরের পুষ্টিমান এর কারনে বাজারে এর চাহিদা থাকে প্রচুর। গাজরের পুষ্টিগুণ নিয়ে কোন মতবিরোধ না থাকলেও গাজর রান্না করে খাওয়া বেশি উপকারী না কাঁচা খাওয়া বেশি উপকারী এই বিষয়টি নিয়ে অনেকের মধ্যেই দ্বিমত রয়েছে। গাজর রান্না করে সালাত হিসাবে জুস বানিয়ে ও কাঁচা খাওয়া যায়। গাজর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এখন আলোচনা করব।

রান্না করা গাজরঃ

যেকোনো সবজি উচ্চতাপে রান্না করলে এর পুষ্টিগুণাগুণ কিছুটা কমে যায় কিন্তু গাজরের বেলায় রয়েছে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা গাজরের বিটা ক্যারোটিনের ক্ষেত্রে এটি সঠিক নয় গাজর রান্না করা হলে এর পুষ্টিগুণ আরো বৃদ্ধি পায়। নরম না হওয়া পর্যন্ত মাঝারি তাপে গাজর রান্না করুন রান্নার পর গাজর নরম হয় যা হজমে সহায়তা করে।

কাঁচা গাজর খাওয়াঃ

বাজার থেকে কিনে কিংবা খেত থেকে গাজর নিয়ে এসে ভালোভাবে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে খালি মুখেই গাজর খাওয়া যায়। এই পদ্ধতিতে গাজর খাওয়া অনেকেই পছন্দ করে। সুস্বাদু সুমিষ্ট গাজর এভাবে খেলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে শরীরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে দাঁত মজবুত হবে আর শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি আপনি চাইলেই কাঁচা গাজর বিভিন্ন খাবারের সাথে সালাত হিসাবে খেতে পারেন।

গাজরের জুস বানিয়ে খাওয়াঃ

অনেকেই আছেন যারা গাজরের জুস খেতে পছন্দ করেন গাজর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়ে খুব সহজেই গাজরের জুস বানাতে পারেন। গাজরের জুসের পুষ্টি উপাদান খুব সহজে আপনার দেহের সঙ্গে মিশে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় তাই আমরা নিয়মিত গাজরের জুস খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবো।

গাজরের জুস বানানোর নিয়ম।

গাজর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এরপর মাঝারি আচে সামান্য সেদ্ধ করে নিন। এবার ব্লেন্ডারের গাজরের টুকরো পরিমাণ মতো লবণ চিনি লেবুর রস ও ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে পুষ্টিগুনে ভরপুর গাজরের জুস। 


তৈরির আধা ঘন্টার মধ্যে খেতে হবে কেননা আধাঘন্টা পর থেকে জুসের কার্যকারিতা কিছুটা কমতে থাকে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে গাজরের জুস খুবই উপকারী গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম, ক্যালরি, সুগার উপাদান খুব কম রয়েছে। এছাড়া গাজর ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ওজন কমায়। 

সবচাইতে গাজরের জুস বেশি উপকারে আসে আপনি যদি শরীরচর্চা বা মর্নিং ওয়ার্কের পর এই জুস এক গ্লাস পান করতে পারেন তাহলে সবচেয়ে বেশি উপকার হয়।

গাজর খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়।

প্রিয় পাঠক, অনেকেই জানতে চেয়েছেন গাজর খেলে কি? আমাদের ত্বকের উপকারে আসে এ বিষয়টি নিয়ে। আপনারা অনেকেই আছেন যারা উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বক চান। নিয়মিত যত্ন আর নামিদামি সব কসমেটিকস ব্যবহারের পর ত্বকের সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা ফিরে আসে না। নিয়মিত গাজর খেলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও সজীব হয়ে উঠবে। 


আপনারা যারা সারাদিন সূর্য লোকে কাজ করেন তারা প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় গাজর রাখবেন কারণ গাজর আপনার ত্বকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমানের বিটা ক্যারোটিন যা আপনার শরীরে গিয়ে ভিটামিন- এ তে পরিণত হয়। তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারলেন ত্বক সুন্দর রাখতে আপনাদের অবশ্যই নিয়মিত গাজর খেতে হবে।

লাল নাকি কমলা গাজর ভালো।

আমরা যতগুলো সবজি খাই তার মধ্যে গাজরের জনপ্রিয়তা বা পুষ্টিগুণ গত মানের দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে গাজর প্রায় ১০০ প্রজাতির রয়েছে। পুষ্টিকর এই সবজি প্রায় পাঁচটি বর্ণের হয়ে থাকে। যেমন- সাদা কমলা বেগুনি হলুদ লাল। গাজর বিটা কেরোটিনের প্রধানতম উৎস। 

কাঁচা গাজর খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো তবে গাজর রান্না করে খেলে এর পুষ্টির মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। আপনি যেই রঙের গাজরে খান না কেন গাজর আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী একটি সবজি।

গাজর খাওয়ার অপকারিতা।

গাজর একটি উপকারী সবজি হলেও এর অতিরিক্ত ব্যবহার বা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। একথা শুধু গাজরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয় কেননা যেকোনো সবজি আপনি মাত্রাতিরিক্ত খেলে এর কোন না কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে তাই আমরা নিয়ম করে গাজর খাব। চলুন গাজর খাওয়ার অপকারিতা কি কি রয়েছে এই বিষয়ে একটু দেখে নেয়া যায়-


গাজরে চিনির মাত্রা বেশি তাই আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগে ভুগে থাকেন তাহলে কাঁচা গাজর না খাওয়াই ভালো। তবে আপনি চাইলে গাজর সেদ্ধ করে খেতে পারেন এতে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। গাজর বেশি খেলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে, গ্যাস, ডায়রিয়া, পেটের ব্যথা এইসব দেখা দিতে পারে। যেসব মায়ের তাদের শিশুদের বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তারা বেশি পরিমাণে গাজর খাবেন না এতে করে আপনার বুকের দুধের স্বাদ পরিবর্তন হতে পারে।

লেখকের মন্তব্যঃ

গাজরের সামান্য কিছু ক্ষতিকর দিক থাকলেও এর উপকারিতায় সবচেয়ে বেশি। তাই আমরা নিয়মিত গাজর খাব এবং আমাদের দেহ কে সুস্থ রাখবো। এই পোস্টে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমরা আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে দেরি করবো না। আগামীতে আরো কোন পোস্ট নিয়ে আমি আপনাদের সামনে হাজির হব সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন এবং নিয়মিত সবজি খাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।

comment url