কোন কোন ফল খেলে দ্রুত লম্বা হওয়া যায়

সন্তানের বয়স ও সম বয়সীদের তুলনায় যদি কারো সন্তান কম বেড়ে ওঠে তাহলে আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করে। আজকের এই আর্টিকেলে কোন কোন ফল খেলে দ্রুত লম্বা হওয়া যায় এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
কোন কোন ফল খেলে দ্রুত লম্বা হওয়া যায়
আশা করি আমার এই পোস্টটি আপনি যত্ন সহকারে পড়বেন তাহলে কোন কোন ফল খেলে দ্রুত লম্বা হওয়া যায় এবং লম্বা হওয়ার লক্ষণগুলো কি কি এই বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি আপনারা আরো জানতে পারবেন মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায় ও কিভাবে ঘুমালে লম্বা হওয়া যায় এই সম্পর্কে-

কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়?

আমাদের অভিভাবকের মধ্যে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে আমার বাচ্চা কত দিনে লম্বা হবে, কি করলে খুব দ্রুত বেড়ে উঠবে এই টেনশন অনেকের মধ্যেই কাজ করে। সত্যি কথা বলতে লম্বা হওয়ার জন্য আপনার লাইফ স্টাইল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কি খাচ্ছেন, কিভাবে জীবন যাপন করছেন ইত্যাদির উপর অনেকটা নির্ভর করে। 

প্রবাদে আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল আমরা সবাই চাই যাতে আমার শরীর সুঠাম দেহের অধিকারী হয় আর শারীরিক গঠন সুন্দর হওয়ার জন্য সবার আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে কিছুটা লম্বা হওয়া। শরীরের ঠিকমতো যত্ন নিলে শরীর অবশ্যই বাড়ে তবে লম্বা হওয়াটা অনেকটা বংশগত বিষয়ও। 


সাধারণত ১৪ থেকে ২০ বছর বয়সে মানুষের শারীরিক পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি হয় তাই এই বয়সে শিশু-কিশোরদের লম্বা হওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। তবে সঠিক পুষ্টি ও উন্নত জীবন যাত্রা আপনার শরীর বেড়ে উঠবে। চলুন কিভাবে লম্বা হওয়া যায় সেই সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়া যাক-

পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণঃ

শরীরে সঠিক পরিমাণের পুষ্টি উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সতেজ শাকসবজি টাটকা ফলমূল ও প্রোটিন জাতীয় খাদ্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। প্রোটিন জাতীয় খাদ্য যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, বাদাম ও শিম ইত্যাদি। পাশাপাশি হালকা খাবার হিসেবে থাকবে ফলমূল সবজি ও কোন চর্বিযুক্ত খাদ্য।

আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণঃ

শারীরিক বৃদ্ধি ও মাংসপেশী সুগঠিত করার জন্য আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ অত্যন্ত জরুরী । তিন বেলায় খাবার গ্রহণের সময় অবশ্যই আমিষ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে প্রয়োজনে হালকা খাবার গ্রহণের তালিকা ও আমিষ রাখতে হবে আমিষ জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শিমের বিচি, ডাল ও বাদাম ইত্যাদি।

স্নেহ জাতীয় খাবার গ্রহণঃ

স্নেহ জাতীয় খাদ্য দেহের পুষ্টি যোগায় প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ পান করতে হবে এতে করে আপনার শারীরিক বৃদ্ধি দ্রুত হবে। স্নেহ জাতীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে গরুর মাংস, খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছের তেল ও ডিমের কুসুম ইত্যাদি।

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণঃ

অনেকেই লম্বা হওয়ার জন্য কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, বেশি পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট খাবার আপনার সন্তানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের ফলে রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে ইনসুলিন জাতীয় হরমোন বেশি পরিমাণের নিঃসৃত হয়। 

অধিক ইনসুলিন দেহের স্বাভাবিক হরমোনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাই খাবার তালিকায় লাল আটা, লাল চাল, ইত্যাদি রাখুন। ময়দা, সাদা আটা পলিশ চালের পরিবর্তে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শঃ

উপরে উল্লেখ করা খাদ্যের পাশাপাশি আপনি চাইলেই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন এইসব ট্যাবলেট দেহের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন- এ ও ভিটামিন- ডি সবচেয়ে বেশি দরকারি। এছাড়া আপনি চাইলে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কারণ এগুলো শারীরিক গঠনে সহায়তা করে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম ও মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট গ্রহণ করা যেতে পারে।

সময় মত ঘুমানোঃ

পাশাপাশি নিয়ম করে ঘুমাতে হবে। সারাদিন পরিশ্রমের ফলে আমাদের শরীরের হাড় ও মাংসপেশী ক্লান্ত হয়ে যায়। শরীর ভেঙে পড়ে, তখন আমাদের বিশ্রামের দরকার হয়। পুনরায় নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণের বিশ্রাম নিতে হবে। ঠিকমত যেন ঘুম হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। বয়স অনুযায়ী ঘুমের সময় ও পরিমাণ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। নিচের ছকের দিকে বিশেষ নজর দিন-

              বয়স শ্রেণি

              ঘুমের পরিমান

০ থেকে ২

১৮ ঘন্টা

২ থেকে ৪

১৩-১৬ ঘন্টা

৫ থেকে ৭

১১-১২ ঘন্টা

৮ থেকে ১০

৮-১০ ঘন্টা

১১ থেকে ১৫

৮-৯ ঘন্টা

১৬ থেকে ২০

৭-৯ ঘন্টা


পানি পান করাঃ

শারীরিক সুস্থতার ও বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি পান করতে হবে, কমপক্ষে প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করার দরকার।

ধূমপান ও মদ্যপানঃ

মানব দেহের হরমোনের ব্যালেন্স নষ্ট করে ধূমপান ও মদ্যপান। তাই সকল ধরনের মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।

শারীরিক ব্যায়ামঃ

কিশোর বয়সে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এর ফলে যে পরিমাণ শারীরিক গঠন ও উচ্চতা বৃদ্ধি পায় অন্যান্য সময় সেই অনুপাতে পায় না। তাই এই সময়টাই সবচেয়ে বেশি শারীরিক ব্যায়াম ও খেলাধুলার প্রতি নজর দিতে হবে যাতে করে আপনার সন্তানের সঠিক ও পরিমান মত উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন মিনিমাম ৩০ মিনিট ধরে করে ব্যায়াম করা উচিত। যেমন- দৌড়াদৌড়ি করা, সাইকেলিং করা, সাঁতার কাটা ইত্যাদি।

খেলাধুলাঃ

নিয়মিত খেলাধুলা করলে আপনার সন্তানের শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে। আপনার সন্তানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য তাকে নিয়মিত খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে হবে। লম্বা হওয়ার জন্য যেসব খেলাধুলা অধিক জনপ্রিয় সেগুলো হল- বাস্কেটবল, ভলিবল, দড়ি লাফ ইত্যাদি।

মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায়।

আমাদের সমাজ বা পরিবারে অনেকেই রয়েছেন যারা বয়সের তুলনায় খুব একটা বেশি লম্বা হয়ে ওঠেনি। প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে লম্বা না হওয়ার জন্য কোন বিষয়গুলো মূলত দায়ী থাকে। এখানে প্রধানত দুইটি কারণ উল্লেখ করব প্রথমত বংশগত কারণ দ্বিতীয়ত সঠিক পুষ্টিগুণের অভাব। আরো একটি বিষয়ের কথা বলব সেটি হল সঠিক লাইভ স্টাইল মেনে না চলা। 

সব মেয়েরাই কিছুটা লম্বা হতে চায় কেউ বংশগতভাবে লম্বা আবার কেউ বংশগতভাবে খাটো । যারা বয়সের তুলনায় সঠিক পরিমাণের বৃদ্ধি পায় না তারা অনেক সময় ডাক্তারের পরামর্শের বিভিন্ন ধরনের ঔষধ গ্রহণ করে থাকে। আরো কিছু নিয়ম রয়েছে যা আপনাকে খুব সহজেই শারীরিক ও দৈহিক গঠনে এগিয়ে রাখবে। 


স্বাভাবিক দৈহিক গঠন প্রক্রিয়ায় একটি মেয়ে সাধারণত ১৬ বছর পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে তবে এর পরবর্তী সময়ে একজন মেয়ে চাইলেই তার শারীরিক গঠন বৃদ্ধি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে পারবে।আজকে এই আলোচনায় আমি মেয়েদের লম্বা হওয়ার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণঃ

আমাদের সমাজে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, মেয়েদের পুষ্টিকর খাবার না খেলেও চলে বা পারিবারিকভাবেই অনেক সময় দেখা যায় মেয়েরা একটু কম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে যা তাদের শারীরিক ও দৈহিক গঠনে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দ্বারা এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, ছেলে ও মেয়ে উভয়েই সঠিক পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। 

মেয়েদের স্বাভাবিক দৈহিক গঠন বৃদ্ধি করার জন্য যেসব পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা দরকার সেগুলো নিম্নরূপ-গরুর মাংস, খাসির মাংস, দেশি মুরগির মাংস, ডিম, দুধ, টাটকা শাকসবজি, ফলমূল, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি গ্রহণ করা যেতে পারে।

ঘুমানোঃ

বর্তমান প্রযুক্তির যুগে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সঠিক সময়ে না ঘুমানো। রাত জেগে প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত করছে। ঘুম মহান আল্লাহ পাকের একটি অশেষ নেয়ামত মানুষের জন্য, তাই নিয়ম করে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমাতে হবে। তরুণ বয়সে যেহেতু আমাদের শারীরিক বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি ঘটে তাই এই সময়ে নিয়ম করে ঘুমানো দরকার।

খেলাধুলাঃ

একজন ছেলের যেমন শারীরিক ব্যক্তির জন্য খেলাধুলার প্রয়োজন রয়েছে একজন মেয়েকে ঠিক একই রকমের খেলাধুলা করতে হয় লম্বা হওয়ার জন্য বা শারীরিক বৃদ্ধির জন্য। ছোটবেলায় খেলাধুলা আপনার সন্তানের হারের বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। 

বর্তমান আধুনিক যুগে ছেলে এবং মেয়েদের খেলাধুলা পার্থক্য করা হয় না একজন ছেলে যেসব খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পারে একজন মেয়েও চাইলে সে সব খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তবে এখানে যেহেতু মেয়েদের উচ্চতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তাই আমি বলব একজন মেয়ের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য মেয়েদের একটি বিশেষ খেলা রয়েছে তা হলো দড়ি খেলা।

সাঁতার কাটাঃ

আপনার সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে হোক তাকে যদি দৈনিক নিয়ম করে সাঁতার কাটাতে পারেন তাহলে তার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলো সক্রিয় হবে। এতে করে আপনার সন্তানের হারগুলো আরো শক্ত হবে।

লম্বা হওয়ার লক্ষণ।

আপনার সন্তান তার বয়সের তুলনায় সঠিকভাবে লম্বা হচ্ছে কিনা তা কিভাবে বুঝবেন এই বিষয়টি নিয়ে এখন আমি আপনাদের বলব। একটি শিশু ২ বছর পর্যন্ত প্রতিবছর গড়ে ২০- ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। ৫ থেকে ৬ বছর বয়স পর্যন্ত এই হার প্রতিবছর ১০ -১২ সেন্টিমিটার হয়। ৬ থেকে ৭ বছর বয়সে লম্বা হওয়ার এই হার আরো কমে গিয়ে ৫ - ৬ সেন্টিমিটারে পৌঁছে। 


বয়সন্ধিকালে হঠাৎ করেই লম্বা হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। এই সময় বছরে ১০ -১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। ১৪ থেকে ১৫ বছর পর এই বৃদ্ধি কিছুটা কমতে থাকে এই সময় বছরে গড়ে ১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। ২১ বছর পর্যন্ত একজন মানুষ এই ১ সেন্টিমিটার পর্যন্তই প্রতিবছর বাড়তে থাকে এরপর এই বৃদ্ধি পাওয়ার বন্ধ হয়ে যায়।

বালক

বালিকা

বয়স

ওজন K.G

উচ্চতা C.M

বয়স

ওজন K.G

উচ্চতা C.M

জন্মগ্রহন

২.৬

৪৭.১

জন্মগ্রহন

২.৬

৪৬.৭

৩ মাস

৫.৩

৫৯.১

৩ মাস

৫.০

৫৭.৪

৬ মাস

৬.৭

৬৪.৭

৬ মাস

৬.২

৬৩.৭

৯ মাস

৭.৪

৬৮.২

৯ মাস

৬.৯

৬৭.০

১ বছর

৮.৪

৭৩.৯

১ বছর

৭.৮

৭২.৫

২ বছর

১০.১

৮১.৬

২ বছর

৯.৬

৮০.১

৩ বছর

১১.৮

৮৮.৯

৩ বছর

১১.২

৮৭.২

৪ বছর

১৩.৫

৯৬.০

৪ বছর

১২.৯

৯৪.৫

৫ বছর

১৪.৮

১০২.১

৫ বছর

১৪.৫

১০১.৪

৬ বছর

১৬.৩

১০৮.৫

৬ বছর

১৬.০

১০৭.৪

৭ বছর

১৮.০

১১৩.৯

৭ বছর

১৭.৬

১১২.৮

৮ বছর

১৯.৭

১১৯.৩

৮ বছর

১৯.৪

১১৮.২

৯ বছর

২১.৫

১২৩.৭

৯ বছর

২১.৩

১২২.৯

১০ বছর

২৩.৫

১২৪.৪

১০ বছর

২৩.৬

১২৩.৪


কিভাবে ঘুমালে লম্বা হওয়া যায়।

দিন ও রাতের একটি নির্দিষ্ট সময় আমাদের ঘুমের মধ্যেই কেটে যায়। একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমের মধ্যে কাটায়। ঘুমের সময় আমাদের মেরুদন্ড সবচেয়ে বেশি সংকুচিত হয় এবং একটি দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থাকে। 

কিশোর বয়স বা বাড়ন্ত বয়সে যা খুবই প্রভাব ফেলে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধির উপরে তাই ঘুমাবার সময় আপনাকে অবশ্যই আরামদায়ক বিছানার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে মেরুদন্ড সোজা থাকে এবং আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আপনি যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন তা হচ্ছে-
  • আপনি যখন ঘুমাবেন তখন পিঠের উপর সমস্ত ভর দিয়ে ঘুমাবেন। যদি আপনার পিঠের উপর ভর দিয়ে বেশি সময় ধরে ঘুমানোর অভ্যাস না থাকে তাহলে পাশ ফিরে ঘুমান।
  • আপনি যখন পাশ ফিরে ঘুমাবেন তখন মাথার নিচে বালিশ এবং দুই পায়ের মাঝখানে বালিশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মেরুদণ্ড সংকুচিত হয় বাধাগ্রস্ত হয়।
  • ঘুমানোর সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে যাতে ঘুমের বেশিরভাগ সময়টায় আপনি পা সংকুচিত করে না ঘুমান।

কি খেলে লম্বা হওয়া যায়।

প্রিয়পাঠক,আলোচনার এ পর্য়ায়ে এসে আমি আপনাদের সামনে যে বিয়স নিয়ে আলোচনা করব তা হলো কোন কোন খাবার খেলে আপনি বা আপনার সন্তান দ্রুত লম্বা হয়ে উঠবেন।ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার যেমন- দুধ ও দুধচাত খাবার, ছোট মাছ, খেজুর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক ও পুঁইশাক। আইরন পাওয়া যায় এমন খাবার যেমন- খেজুর, ডিমের কুসুম, কলিজা, গরুর মাংস। ম্যাগনেসিয়াম আছে এমন খাবার যেমন- আপেল, জাম্বুরা,ডুমুর,লেবু ইত্যাদি।

কোন ফল খেলে দ্রুত লম্বা হওয়া যায়।

আমাদের দেশে আমরা বিভিন্ন ধরনের গুড় দেখতে পাই। যেমন- খেজুরের গুড়, আখের গুড় ও তালের রসের গুড়। শারীরিক বৃদ্ধি দ্রুত বাড়ানোর জন্য তালের গুড় ও দুধ এই দুটি মিশিয়ে একসঙ্গে পান করলে শারীরিক বৃদ্ধি অর্থাৎ দ্রুত লম্বা হওয়া যায়। তবে অবশ্যই এই মিশ্রণটি খালি পেটে খেতে হবে তাহলে দুধের কার্যকারিতা ১০ গুন বেড়ে যাবে।


মানবদেহে এইচজিএইচ নামে একটি হরমোন রয়েছে যা নিঃসরণে অশ্বগন্ধা খুব ভালো কাজ করে। এই জন্যই অশ্বগন্ধা দ্রুত লম্বা হওয়ার জন্য একটি কার্যকরী ঔষধ। অশ্বগন্ধা হাড়ের গঠন উন্নতি করে এবং ঘনত্ব বাড়াতে কার্যকর। কালো তিলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি ও আয়রন। 
পাশাপাশি এটি ক্যালসিয়ামের ও ভালো উৎস।

হারের বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এসব উপাদান অত্যন্ত সহায়ক। কাজু বাদামে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা হাড় বৃদ্ধিতে অত্যন্ত জরুরী খনিজ উপাদান। কালোজিরা কাজুবাদাম অশ্বগন্ধা দুধ এই সবগুলোর মিশ্রণে এক ধরনের পানিয় পান করলে দ্রুত লম্বা হওয়া যায়। প্রতিদিন রাত্রে দুধের সাথে এক চামচ অশ্বগন্ধা, কাজুবাদাম, এবং কালো তিলের পাউডার মিশিয়ে পান করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

লেখকের মন্তব্যঃ

একটি শিশু দ্রুত বৃদ্ধি ব্যাঘাত ঘটার পেছনে প্রধানত দুটি কারণ রয়েছে এক বংশগত কারণ এবং গ্রোথ হরমোনাল কম থাকা। উন্নত জীবন ব্যবস্থা পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ শারীরিক ব্যায়াম এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে আপনি চাইলে আপনার সন্তানের এই সমস্যা সহজে দূর করতে পারবেন। পরিশেষে আমি বলব আপনার সন্তানের নিয়মিত যত্ন ও পরিচর্যা করবেন এবং এই পোষ্টের উল্লেখিত নিয়ম-কানুন এবং খাদ্যাভ্যাস গুলো মেনে চলবেন তাহলে আপনার সন্তানের দ্রুত বৃদ্ধি জনিত সমস্যা সহজেই সমাধান হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।

comment url