দ্রুত ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন
যারা অতিরিক্ত শারীরিক ওজনের সমস্যা নিয়ে চলাচল করছেন তাদের বেশিরভাগের চেষ্টা থাকে কিভাবে শারীরিক ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা যায় এই জন্য ডাক্তারের পরামর্শ, নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস কত কিছুই না আমরা পালন করে থাকি। আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আমি দ্রুত ওজন কমাতে এক বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেবো, নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে এই বিশেষ ধরনের খাবারের নাম কি? হ্যাঁ প্রিয় পাঠক এই বিশেষ ধরনের খাবারের নাম হলো চিয়া সিড।আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো দ্রুত ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়ম। এই আর্টিকেল পড়লে আপনারা আরো জানতে পারবেন চিয়া সিড কি? চিয়া সিডের পুষ্টিগুণ, চিয়া সিড খেলে কি হয়, চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া,চিয়া সিড ও তোকমার মধ্যে পার্থক্য গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলো। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে দ্রুত ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার সঠিক নিয়ম গুলো জেনে আসি।
চিয়া সিড কি?
চিয়া সিড বা চিয়া বীজ মরুভূমিতে জন্মানো বিশেষ এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ। মানুষের জন্য অতি উপকারী এই উদ্ভিদের আদি নিবাস হচ্ছে মধ্য আমেরিকায়। সেখানকার প্রাচীন আদিবাসী অ্যাজটেক জাতির প্রধান খাদ্য তালিকায় এই বীজ অন্তর্ভুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। আমেরিকার প্রাচীন আদিবাসী মায়া ও অ্যাজটেক জাতির মানুষ চিয়া সিডকে খুব মূল্যবান খাদ্য মনে করত।
এই সম্প্রদায়ের মানুষ মনে করত এই খাবার তাদের দেহের শক্তি ও সাহস যোগাবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিয়া সিড গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে জন্মালেও বর্তমানে এটি সারা বিশ্বেই কম বেশি চাষ করা হয়। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা, পেরু, প্যারাগুয়ে, ইকুয়েডর, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, বলিভিয়া, গুয়েন্তামালা এবং অস্ট্রেলিয়া এই দেশগুলোতে ব্যাপক পরিমাণের চিয়া সিড বীজ চাষ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ অল্প বয়সে চুল পাকা রোধে কার্যকরী ২০টি উপায়
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গ্রীন হাউজ এর মাধ্যমে চিয়া সিড চাষাবাদ করা হয়। সব ধরনের আবহাওয়ায় চিয়া সিড হয় এবং সংরক্ষণ করা যায় বলে এই বীজে পোকামাকড় আক্রমণ তেমন একটা হয় না। চিয়া সিড সাদা, কালো এবং তিলের মত ছোট আকারের হয়ে থাকে। চিয়া সিড এর ফলন হেক্টর প্রতি ১২৫০ কেজি থেকে ২০০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
চিয়া সিড এর পুষ্টি গুণ।
এতক্ষন আমরা চিয়া সিড কি? দেখতে কেমন এর আদি নিবাস কোথায় এই বিষয়টি জানলাম। এবার মহা ঔষধি গুনসম্পন্ন চিয়া সিড এর পুষ্টি গুণ সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। আসুন চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে কিছু ধারনা নেয়া যাক-
ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (USDA) এর তথ্য মতে,
চিয়া সিড এ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, তামা, পটাশিয়াম রয়েছে।
চিয়া সিড এর পুষ্টির আনুপাতিক হার একটি টেবিলের মাধ্যমে নিচে তুলে ধরা হলো।
প্রতি 100 গ্রাম চিয়া সিডে রয়েছে,
তথ্যসূত্রঃ ইউনাইটেড স্টেট ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (USDA)
প্রোটিনঃ চিয়া সিডে রয়েছে দুধের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম, মুরগির ডিমের চেয়ে তিন গুণ বেশি প্রোটিন, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালং শাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম ।
ফাইবারঃ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ১০০ গ্রাম চিয়া সিটে ৩৪.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে।
অমেগা-3 ফাটি অ্যাসিডঃ এতে রয়েছে শ্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি পরিমাণে ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ১০০ গ্রাম চিয়া সিডে প্রায় ১৭.৮ গ্রাম অমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
আরো পড়ুনঃ খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্যায়াম করা উচিত
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ভিটামিন ও মিনারেলঃ চিয়া সিডে রয়েছে ভিটামিন বি১ , বি২, বি৩, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস, আইরন, দস্তা ইত্যাদি রয়েছে।
ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চিয়া সিডকে বলা হয় সুপার ফুড। সেই প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের খাদ্য তালিকায় চিয়া সিড খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। এটি এক ধরনের শস্য জাতীয় উদ্ভিদের বীজ। এটি দেখতে অনেকটা তিলের দানার মত।ধারণা করা হয় প্রাচীন আজটেক জাতি তাদের প্রধান খাদ্য তালিকায় চিয়া সিডকে কে খাদ্য হিসেবে রাখতো। এই উদ্ভিদটি সাধারণত মরুভূমিতে বেশি জন্মায়, আমেরিকা ও মেক্সিকোতে এক ধরনের গাছ জন্মায় যা আপনারা উপরে জেনেছেন। এ পর্যায়ে আমি ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
আরো পড়ুনঃ পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার উপকারিতা
চিয়া সিড তিলের দানার মত ছোট ছোট বীজ এগুলোকে পানিতে ভেজালে ফুলে জেলির মত হয়ে যায় যা হজমে সাহায্য করে। তাই এগুলোকে ভিজিয়ে খাওয়াই উত্তম। এছাড়া চিয়া সিড বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। যেহেতু চিয়া সিডের নিজস্ব কোন স্বাদ নেই।
- তাই এটা বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- সকালে ব্রেকফাস্ট এর সাথে দুধ, দই, সালাদ র সাথে মিশিয়ে এটা খাওয়া যায়।
- এক গ্লাস পানিতে ২চা চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে সকালে তা খেতে পারেন।
- চিয়া সিড দিয়ে রুটি কেক তৈরি করে খেতে পারেন।
- ওটসের সাথে মিশিয়ে চিয়া সিড খেতে পারেন।
- এটি ফলের রস বা জুসের সাথে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা এক টুকরো আদা এক গ্লাস পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে পানি ছেকে সেই পানিতে ২ চা চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রেখে ৩০ মিনিট পর খেতে পারেন এতে গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর হবে।
এছাড়া আপনারা যারা দ্রুত ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা চাইলেই সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানির সাথে ২ চা চামচ চিয়া সিড ও ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে খেতে পারেন এতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। মিশ্রণ তৈরি করার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে স্বাভাবিক পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এরপর লেবুর রসের সাথে মিশ্রণটি তৈরি করতে হবে।
আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেন চিয়া সিড খেলে ওজন কমে কিনা? এর উত্তরে বলা যায় অবশ্যই চিয়া সিড খেলে ওজন কমে। কেননা চিয়া সিড এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম সমস্যা দূর করে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া চিয়া সিড লেবুর মিশ্রণ শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে মেটাবলিক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে যা শরীরের ওজন দ্রুত কমাতে সহায়ক।
চিয়া সিড খেলে কি হয়।
চিয়া সিড খুবই উপকারী একটি ভেষজ উদ্ভিজ্জ দানাদার শস্যজাতীয় এক ধরনের বিশেষ খাদ্য যা পানিতে ভিজিয়ে ও অন্যান্য বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া হয়ে থাকে। আমেরিকা অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে এই শস্য দানা ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। অতি প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে এই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন শস্যদানা খাদ্য তালিকায় ব্যবহার হয়ে আসছে।
- চিয়া সিড খেলে কি হয় এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় চিয়া সিড খেলে,
- আমাদের শরীরে শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়,
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়,
- রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে,
- হাড় শক্তিশালী ও মজবুত করে,
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে,
- কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়,
- শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়,
- শরীরের হাড়ের ব্যথা যদি থাকে সেটা দূর করতে সহায়তা করে,
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে,
- ঘুম ভালো হওয়াতে সহায়তা করে
চিয়া সিড খেলে আরো কি কি উপকার পাওয়া যায় এই বিষয়ে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা আলোচনার অংশে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা।
হার্টকে সুস্থ রাখেঃ চিয়া সিড এ থাকা ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় যা হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে।
কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে যা বডির কোষগুলোকে গঠনে সাহায্য করে এতে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কর্মক্ষমতা বেড়ে যায়
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
হজম শক্তি বাড়ায়ঃ চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এতে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ চিয়া সিডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় তা খাবার দ্রুত হজম করে যা শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না। ফলে এটি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ চিয়া সিড বডিতে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হাড় মজবুত করেঃ চিয়া সডে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস রয়েছে তাই এটি হারকে মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করে।
- এটি শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ বের হতে সাহায্য করে।
- চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখে ফলে কোলন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
- এটি চুল, ত্বক ও নখের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
- প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করে। বিশেষ করে পেটের গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করে।
- হাড়ের ব্যথা দূর করতে ভূমিকা রাখে।
- ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
- ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
চিয়া সিড এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
প্রিয় পাঠক আপনারা সকলেই জানেন যে কোন খাদ্যের গ্রহণের ফলে উপকার রয়েছে এর পাশাপাশি তার কিছু ক্ষতিকর প্রভাব, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতাও রয়েছে। আলোচনার এ পর্যায়ে আমি চিয়া সিড এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা সম্পর্কে কিছু কথা আপনাদের বলব।
প্রথম ক্ষতিকর বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেটি রয়েছে সেটি হল বেশি পরিমাণে চিয়া সিড খেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
দ্বিতীয় যে ক্ষতিকর প্রভাব মানব দেহে পরতে পারে সেটি হল পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই সীমিত পরিমাণের খাওয়া উচিত।
অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যেতে পারে।
চিয়া সিড দেহের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ কমায় তাই অতিরিক্ত চিয়া সিড খাওয়ার ফলে রক্তচাপ বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে।
সর্বোপরি চিয়া সিড খাওয়ার ফলে শারীরিক যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় সঙ্গে সঙ্গে তা খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন। আশা করি, চিয়া সিড খাওয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।
চিয়া সিড ও তোকমা এর মধ্যে পার্থক্য।
আমরা অনেকেই চিয়া সিড ও তোকমা এর মধ্যে পার্থক্য করতে গিয়ে ভুল করে থাকি। অনেকে চিয়া সিড কে তোকমা মনে করে যা মোটেও ঠিক নয়। চিয়া সিড আর তোকমা এক নয়। চিয়া সিড আর তোকমা দেখতে অনেকটা একই রকমের মনে হলেও সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য রয়েছে।
যেমন- চিয়া সিড দেখতে গোলাকার বাদামি ধূসর অনেকটা তিলের মত সাদা কালো রঙের মিশ্রণে হয় অন্যদিকে তোকমা দানা দেখতে সামান্য লম্বা গোলাকার কালো ও বাদামি রঙের হয়ে থাকে। এছাড়া পুষ্টি গুণের দিক দিয়েও তোকমার চেয়ে চিয়া সিড এর পুষ্টি গুনাগুন তুলনামূলক বেশি।
শেষ কথাঃ
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা চিয়া সিড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলেন। স্থূলকার ব্যক্তির ওজন কমাতে নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার একটি আদর্শ খাবার হতে পারে। তবে তা পরিমিত পরিমাণের খেতে হবে বেশি পরিমাণে খেলে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
মনে রাখবেন শুধুমাত্র চিয়া সিড খেলেই শারীরিক ওজন কমে আসবে এর নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয় এর পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম খাদ্যাভাসের নিয়ন্ত্রণ ও একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করতে পারলে শারীরিক ওজন দ্রুত কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
আজকের এই পোস্টটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনার চিয়া সিড খাওয়ার ইচ্ছা বা প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বা পাবে। আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের নিকট এই তথ্যগুলো শেয়ার করবেন।
সাধারণ কিছু প্রশ্ন ও উত্তর।
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটুক চিয়া সিড খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ ১০০ গ্রাম।
প্রশ্নঃ চিয়া সিড খাওয়ার সময়।
উত্তরঃ প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
প্রশ্নঃ চিয়া সিড এর বাংলা নাম।
উত্তরঃ চিয়া বীজ।
প্রশ্নঃ চিয়া সিড আদি নিবাস কোথায়?
উত্তরঃ মধ্য আমেরিকা মরুভূমি অঞ্চল।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url