কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
আপনারা অনেকেই জেনে ও না বুঝে নিয়মিত কালোজিরা খেয়ে থাকেন। আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মধ্য দিয়ে যারা এখনো নিয়মিত কালোজিরা খাওয়া শুরু করেন নাই তারা কালোজিরা খাওয়া শুরু করবেন। কেননা আজকের এই আলোচনায় কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।পাশাপাশি আপনারা আরো জানতে পারবেন প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত, কালোজিরা তেলের ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে।
কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা।
ওষুধি গুণসম্পন্ন কালোজিরা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে। যেমন অনেকেই রয়েছেন কালোজিরা ভর্তা করে খান। এরপর কালোজিরা শুকিয়ে ব্লেন্ডার করে বিভিন্ন পানীয়র সাথে যেমন- দুধ, মধু, ফ্রেশ পানি ও চায়ের সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। আবার অনেকেই সেদ্ধ করে এর সঙ্গে পেঁয়াজ রসুন অন্যান্য মশলা যোগ করে ভর্তা করে খান।
অনেকেই কালোজিরা কাচায় চিবিয়ে খেয়ে থাকেন। আপনি যেভাবেই কালোজিরা খান না কেন কালোজিরার ঔষধি গুণ কোন পরিবর্তন হয় না। তবে অনেকেই জানতে চান যে কালোজিরা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।
এই পোষ্টের নিচের অংশে যেহেতু কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তাই এ পর্যায়ে এই বিষয়টি নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাই না। তবে সংক্ষিপ্ত আকারে কালোজিরা কাঁচা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা নিচে তুলে ধরা হলো-
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- হজম শক্তি বাড়ায়।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- শ্বাসকষ্টের প্রকোপ কমায়।
- ঠান্ডা জড়িত সর্দি কাশি জ্বর সারাই।
- স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে।
- শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- নারী পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে।
প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত।
অনেকেই বলে থাকেন প্রতিদিন 100 গ্রাম কালোজিরা খান, 50 গ্রাম কালোজিরা খান, আসলে এটি সঠিক করে বলা মুশকিল। আপনি প্রতিদিন কি পরিমান কালোজিরা খেতে পারবেন তা নির্ভর করবে আপনার হজম শক্তির উপরে। কেননা আপনি যদি কালোজিরা খেয়ে হজম করতে না পারেন তাহলে বদহজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেবে।
আরো পড়ুনঃ খাওয়ার কতক্ষণ পর ব্যায়াম করা উচিত
তাই আপনি নিজেই নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনার কি পরিমানের কালোজিরা খাওয়া প্রয়োজন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কোন পরামর্শ নিতে হয় না। তবে সাধারণভাবে এ কথা বলা যায় যে প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে বা সন্ধ্যায় ১ চা চামচ কালোজিরা এর সাথে সমপরিমাণের মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
কালোজিরা ভেজে ব্লেন্ডার করে নিয়ে এর সঙ্গে দুধ মিশিয়ে সকালে এবং বিকেলে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা।
পবিত্র ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন হাদিস দ্বারা এটি উদ্ধৃত হয়েছে যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,‘ মৃত্যু ছাড়া এমন কোন রোগ নেই কালিজিরাই যার আরোগ্যতা নেই।’ ( মুসলিম শরীফঃ হাদিস নাম্বারঃ ৫৬৬১)
অন্য আরেকটি হাদিসে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণনা করেছেন,‘ যখন রোগ যন্ত্রণা খুব বেশি কষ্টদায়ক হয় তখন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা নিয়ে খাবে তারপর পানি ও মধু সেবন করবে।’
এই দুটি হাদিস দ্বারা একথা প্রমাণিত হয় যে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা কতটা অপরিসীম যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এবার আসুন আমরা কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
এলার্জি ও শ্বাসকষ্ট দূরীকরণঃ
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা এলার্জি এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভোগেন। প্রতিদিন সকালে অথবা তিন বেলা আহারের পর সামান্য পরিমাণ কালোজিরা হাতের তালুতে নিয়ে চিবিয়ে খেলে এলার্জি ও শ্বাসকষ্ট ভালো হয়ে যায় এর সঙ্গে মধু খেলে এর কার্যকারিতা আরো বৃদ্ধি পায়।
হজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূরীকরণঃ
কালোজিরা হজম শক্তি বৃদ্ধি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূরীকরণে দারুন কাজ করে। প্রতিদিন ১-২ চা চামচ কালিজিরা বেটে পানির সঙ্গে মিশে খেলে এক মাসের মধ্যে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে পাশাপাশি পেট ফাঁপা ও দূর হবে।
সর্দি জ্বর ও মাথাব্যথা দূরীকরণঃ
জ্বর, সর্দি, মাথা ব্যথা রোগে অসুস্থ হলে সঙ্গে কাশি থাকলে কালিজিরা মধু ও তুলসীপাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন একবার করে খেলে এসব ভালো হয়ে যায়। এছাড়া কালিজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে সর্দি বসে যায়। যখন কারো সর্দি হয় তখন নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয় এ অবস্থায় কিছু কালিজিরা শুকনো পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে বেঁধে সুখতে থাকলে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
প্রসূতি মায়েদের ক্ষেত্রেঃ
যেসব মায়েরা তাদের বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ান তারা যদি প্রতিদিন রাতে শোবার আগে কালিজিরা মিহি করে গরুর দুধের সঙ্গে মিশে পান করে, দুধের প্রবাহ বেড়ে যায়। এছাড়া চাইলে মায়েরা কালোজিরার ভর্তা ভাতের সঙ্গে খেলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।
স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করেঃ
নিয়মিত কালিজিরা খেলে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এর ফলে স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পায়। যেসব সন্তানের পিতা-মাতা মনে করে যে তাদের সন্তানের স্মরণশক্তি কম তারা চাইলেই নিয়মিত সন্তানদের কালোজিরা খাওয়াতে পারেন। আমাদের দেশের স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী ভাই ও বোনেরা নিয়মিত কালোজিরা খেলে তাদের স্মরণ শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে এতে করে পড়াশোনায় মনোযোগের সৃষ্টি হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ
যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তারা নিয়মিত কালোজিরা খেলে ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রতিদিন এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশে সকালবেলা খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
যৌন দুর্বলতা দূরীকরণঃ
কালোজিরা যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া স্নায়বিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি একটি উপকারী ঔষধ। কালোজিরা পুরুষদের শুক্রাণুর ঘনত্ব বৃদ্ধি করে।
দাঁতের ব্যথা দূরীকরণঃ
দাঁতের ব্যথা হলে মাড়ি ফুলে গেলে বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে কালোজিরা তা কমাতে সাহায্য করে। পানিতে কালোজিরা দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে পানির তাপমাত্রা কমে গেলে তা দিয়ে গড়গড়া করলে দাঁতের মাড়ির ব্যথা কমে যায় এবং মাড়ির ফোলা ও রক্ত পড়া বন্ধ হয়। এছাড়া জিহবা তালু ও মুখের জীবাণু ধ্বংস হয়।
শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশঃ
শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশ বৃদ্ধিতে কালোজিরার রয়েছে বিশেষ গুণ। তাই নিয়মিত আপনার সন্তানকে কালোজিরা খাওয়াতে পারেন শিশুরা যেহেতু মিষ্টি বেশি পছন্দ করে তাই কালোজিরার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে।
চর্মরোগ ভালো করেঃ
কালোজিরা খেলে রক্ত পরিষ্কার থাকে তাই শরীরে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ হয় না। চুলকানি ঘা পাচরা ইত্যাদি জাতীয় চর্মরোগ থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত কালোজিরা খেতে হবে। অন্যদিকে কালোজিরার তেল আপনার শরীরে যে স্থানে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে সেখানে মালিশ করলে দ্রুত চর্মরোগ ভালো হয়ে যায়।
কালোজিরার অন্যান্য উপকারিতাঃ
- স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- খাবারের রুচি বাড়ায়।
- ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, যকৃতের বিষক্রিয়া রোধ করে।
- টিউমার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।
- দেহের অবসান, দুর্বলতা, নিষ্ক্রিয়তা ও অলসতা দূর করে।
- বয়স হলে অনেকের হাত পা ফুলে যায় নিয়মিত কালোজিরা খেলে এ রোগ থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
- দেহের কোন জায়গায় কেটে গেলে বা ক্ষত হলে কাটা ছেঁড়া বা ক্ষতস্থান দ্রুত সারিয়ে তুলতে নিয়মিত কালিজিরা খাওয়া যেতে পারে।
- নিয়মিত কালোজিরা খেলে চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
- কালোজিরা খাওয়ার একটি বিশেষ গুণ হল নিয়মিত তারুণ্য ধরে রাখে বয়সের ছাপ সহজে ধরা পড়ে না।
- কালোজিরায় রয়েছে শরীরের রোগ জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা ফোড়া সংক্রামক রোগ বা ছোঁয়াচে রোগ হয় না।
- নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ার ফলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সতেজ হয়ে ওঠে সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে কালোজিরায় রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, ক্যান্সার প্রতিরোধক গেরোটিন ও শক্তিশালী হরমোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাঁচক এনজাইম ও অম্ল নাশক উপাদান।
পরিশেষে বলা যায় যে, এই অল্প পরিসরে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা খুবই মুশকিল। কেননা কালোজিরা এমন একটি ভেষজ উদ্ভিদ ও মসলা জাতীয় খাবার যার ভিতরে সকল রোগের প্রতিষেধক ও রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা সম্পন্ন ওষুধি গুণ রয়েছে।
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়।
কালোজিরা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা আপনারা অনেকেই শুনেছেন। আপনি যদি পরিমাণ মতো কালোজিরা খান তাহলে এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুব একটা দেখা যায় না। তবে আপনারা প্রত্যেকেই জানেন যে কোন খাবার, ঔষধ বা কোন কিছুর অতিরিক্ত ব্যবহার এর ফলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় কালোজিরা খাওয়ার ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম নয়।
এখন চলুন আপনাদের সামনে কালোজিরা খাওয়ার কোন ক্ষতিকর দিক আছে কিনা এটি নিয়ে আলোচনা করা যাক-
অতিরিক্ত কালোজিরা খাওয়ার ফলে অনেকের পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও বদ হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত কালোজিরা খেলে এই সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা ফুলের মধু চেনার উপায়
তাই যারা অতিরিক্ত এলার্জির সমস্যায় ভুগেন ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে পরিমাণ মতো কালোজিরা খেতে পারে। অতিরিক্ত কালোজিরা খেলে মহিলাদের অসময়ে গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে।
কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়।
প্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে কালোজিরা খেলে কি গ্যাসের সমস্যা হয়। এক কথায় যদি বলতে হয় তাহলে বলা যায় যে, কালোজিরার অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে অনেকের পেটে গ্যাসের সমস্যা হয়। তাছাড়া বদ হজমের সমস্যা ও হতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণের কালোজিরা নিয়মিত খাবেন।
এতে করে আপনার স্বাস্থ্যের সার্বিক উন্নতি ঘটবে। শারীরিক পরিশ্রম করার ক্ষেত্রে আপনার শরীরের শক্তি যোগাবে কালোজিরা। কালোজিরার পুষ্টিগুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
রাতে কালোজিরা খেলে কি হয়।
আপনি সকাল বিকাল রাত্রে দুপুরে যেকোনো সময় কালোজিরা খেতে পারেন। এতে করে কোন সমস্যা হবে না। আমাদের অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে কালোজিরা রাত্রে খেলে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। একথা সম্পূর্ণ ভুয়া, মিথ্যা এবং বানোয়াট। কালোজিরা খাওয়ার উত্তম সময় হলো সকালে খালি পেটে এবং রাত্রে ভর পেটে ঘুমাতে যাওয়ার আগে।
এতে করে এর উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা সরাসরি শুধু কালোজিরা খেতে পারেন না স্বাদে তিতা লাগে তাই আপনি চাইলেই এর সঙ্গে মধু এবং দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন।
কালোজিরা তেল খাওয়ার নিয়ম।
কালোজিরার তেল খাওয়ার নিয়ম বা ব্যবহার সম্পর্কে এখন আমি আপনাদের জানাবো। কালোজিরার তেল আয়ুর্বেদী ঔষধ হিসেবে বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই তেল আপনি অন্য কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া সরাসরি শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যবহার করতে পারেন।
কালোজিরার তেল মধু ও চায়ের সাথে মিশিয়ে দিনে ৩ বার পান করা যায়। এক চা চামচ কালোজিরা তেল এক চা চামচ মধু এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে মিশ্রণ করে খেতে পারেন। এর ফলাফল সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথা ব্যাথা, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমায়।
আরো পড়ুনঃ খালি পেটে গাজর খাওয়ার উপকারিতা
কালোজিরার তেল ১ চা চামচ ও তুলসী পাতার রস ২ চা চামচ সহ মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি ভালো হয়ে যায়। কালোজিরা তেল ১ চা চামচ ও রসুনের রস ২ চা চামচ মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
একটি বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে কালোজিরার তেল খাওয়ার পর পানি এবং অন্যান্য পানিয় দ্রব্য খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে করে কালোজিরার তেলের গুনাগুন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আশা করি উপরের আলোচনা থেকে আপনারা কালোজিরার তেল খাওয়ার কিছু নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলেন।
শেষ কথাঃ
আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লেন তারা অবশ্যই কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও বিভিন্ন ব্যবহারবিধি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। নিয়মিত পরিমান মত কালোজিরা খেলে আপনার শরীরে যে কোন রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সর্বশেষ একটি কথার মধ্য দিয়ে আজকের এই আর্টিকেল লেখাটি শেষ করব। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম বলেছেন,‘ কালোজিরা হলো মৃত্যু ব্যতীত, সকল রোগের ঔষধ’।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url