কালোজিরা ফুলের মধু চেনার উপায়
আপনারা অনেকেই আছেন যারা সারা বছর মধু খেয়ে থাকেন, আবার আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা শুধুমাত্র শীতকালে মধু খান। কেউ কেউ মধুর সঙ্গে অন্যান্য কিছু মিশিয়ে খান। যেমন- মধুর সঙ্গে সবচেয়ে বেশি যেটা মিশিয়ে খাওয়া হয় তা হল কালোজিরা এবং দুধ। এছাড়া মধুর চাও পান করা হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন ফুলের মধু পাওয়া যায় আজকে আমার আলোচ্য বিষয় কালোজিরা ফুলের মধু চেনার উপায়।প্রিয় পাঠক, কালোজিরা ফুলের মধু চেনার উপায় জানার পাশাপাশি আপনারা আরো জানতে পারবেন কালোজিরা মধু খেলে কি হয়? কালোজিরা মধু খাওয়ার নিয়ম। কোন ফুলের মধু সবচেয়ে ভালো ও সকালে খালি পেটে কালোজিরা ও মধু খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে।
কালোজিরা ফুলের মধু।
আমাদের দেশের গ্রামগঞ্জে বা বনাঞ্চল এলাকায় দেখা যায় মৌমাছি বড় বড় গাছের ডালে মৌচাক বানিয়ে বিভিন্ন ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে সেখানে জমা করে। মৌয়ালরা একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাছের ডাল থেকে মধুর চাক কেটে সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করে। এটাই মূলত কাঁচা মধু বা ইংরেজিতে যাকে বলা হয় হানি।
বাজারে এই ধরনের মধুর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক কিন্তু বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সনাতন পদ্ধতির মৌমাছির চাক কেটে যেভাবে মধু সংগ্রহ করা হতো এটা আর তেমন দেখা যায় না। আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগেও আমাদের দেশে বাণিজ্যিকভাবে মৌমাছির চাষ হতো না কিন্তু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে শীতকালে মৌমাছি চাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদন করা হয়।
যেমন সরিষার ফুলের মধু, কালোজিরা ফুলের মধু, লিচু ফুলের মধু।বাংলাদেশের চার প্রকারের মধু সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ও উৎপাদিত হয়। যেমন- সরিষা ফুলের মধু, কালোজিরা ফুলের মধু, লিচু ফুলের মধু এবং সুন্দরবনের মধু। বাংলাদেশের সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসের কালোজিরা ফুলের মধু সংগ্রহ করা হয়।
মাঠে যখন প্রচুর পরিমাণে কালোজিরার ফুল পড়তে শুরু করে তখন মৌ -চাসীরা বিস্তীর্ণ কালোজিরা চাষের মাঠে তাদের মৌ বাক্স গুলো কালোজিরার বিশাল ক্ষেতের পাশে স্থাপন করে। যখন কালোজিরা ফুল ফুটতে শুরু করে সাথে সাথেই মৌমাছিরা ওইসব ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহ করে ও বাক্সে জমা রাখে।
আরো পড়ুনঃ ব্রেন টিউমার হওয়ার কারণ ও লক্ষণসমূহ কি কি
এভাবেই তৈরি হয় সম্পন্ন প্রাকৃতিক কালোজিরা ফুলের খাঁটি মধু। আজকাল বাজারে যেসব মধু পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই চাষের মধু। আজকে আমি আলোচনা করব কালোজিরা ফুলের মধু নিয়ে। আশা করি এই পোস্টটি আপনাদের জন্য হতে চলেছে খুবই উপকারী।
কালোজিরা ফুলের মধু চেনার উপায়।
আলোচনার অংশে অংশে আমি কালোজিরা ফুলের মধুর দাম নিয়ে আপনাদের বলব। আলোচনার এই অংশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা কালোজিরা ফুলের মধু না চেনার কারণে বাজারে মধু কিনতে গিয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
তাই বলবো আলোচনার এই অংশটি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন এবং মনে রাখার চেষ্টা করবে। তাহলে মধু কিনতে গিয়ে আর প্রতারণার শিকার হতে হবে না। তো চলুন প্রিয় পাঠকরা এইবার কালোজিরা ফুলের মধু চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
- কালোজিরা ফুলের মধুর দেখতে অনেকটা কালচে রঙের হয়।
- এটা খেতে খেজুরের গুড়ের মত লাগে ঘ্রাণ খেজুরের রসের সাথে মিলে যায়।
- কালোজিরা ফুলের মধু জমে যেতে দেখা যায় না। তবে এর সঙ্গে অন্যান্য ফুলের মধু মিশ্রণ ঘটালে সামান্য জমে যেতে পারে।
- কালোজিরা ফুলের মধু যদি কিছুটা পাতলা হয় তাহলে ফেনা দেখা যেতে পারে। তবে এই ফুলের মধু ঘনত্ব বেশি হলে ফেনা দেখতে পাবেন না।
- ঘনত্বের দিক দিয়ে গাঢ় ও পাতলা উভয় ধরনের হয়।
কালোজিরা ফুলের মধুর দাম।
মধু খাওয়ার চাহিদা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় শীতকালে। কেননা এই সময় মধু খেলে মানুষের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসে তবে অন্যান্য সময় যে মধু খাওয়ার প্রচলন মানুষের মধ্যে নেই এটা বলা যাবে না। শীতকাল ছাড়াও অনেকেই সারা বছরই কমবেশি মধু খেয়ে থাকে। মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ঔষধি গুণে ভরপুর বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান।
বাজারে মধু কিনতে গেলে আমরা অনেকেই দাম নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাই। আসলে মধুর দাম নির্ভর করে এর উৎপাদন খরচের উপর এছাড়া মধু উৎপাদনের এলাকার উপর নির্ভর করে এর দাম কত হবে। যেমন সুন্দরবন, মধুপুর বন, পাহাড়ি বনাঞ্চলের মধুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকায় এসব এলাকায় উৎপাদিত মধুর দাম অনেক বেশি হয়।
আমি যেহেতু আজকে কালোজিরা ফুলের মধু নিয়ে আলোচনা করছি তাই আপনাদের এই মধুর দাম সম্পর্কে এখন বলব।
আরো পড়ুনঃ টিউমার চেনার উপায় ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে
সরিষা ফুলের মধু এবং লিচু ফুলের মধুর চেয়ে কালোজিরা ফুলের মধুর দাম কিছুটা বেশি। আবার সুন্দরবন ও অন্যান্য বনের মধুর চেয়ে কালোজিরা ফুলের মধুর দাম কিছুটা কম। সাধারণত বাজারে 1 কেজি কালোজিরা ফুলের মধুর মূল্য 1200 থেকে 1300 টাকা মত আবার গ্রামাঞ্চলে এই দাম কিছুটা কম আছে।
কালোজিরা ফুলের মধু খেলে কি হয়?
বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিসের ওয়েবসাইটের তথ্য মতে রোগ নিরাময়ের জন্য মধুর কখনো এককভাবে আবার কখনো অন্যান্য ভেষজ ওষুধ ওষুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগহতে রক্ষা পাওয়া যায়।
আপনারা অনেকেই আছেন যাদের সারা বছর কম বেশি সর্দি ও ঠান্ডা জড়িত সমস্যা লেগেই থাকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি চাইলে চায়ের সঙ্গে মধু ও আদার রস মিশিয়ে খেলে খুব সহজেই সর্দি ও ঠান্ডা জড়িত রোগ ভালো হয়ে যায়।
আবার তুলসী পাতার এক চা চামচ রস ও সমপরিমাণ মধু খেলে অল্প সময়ের মধ্যে কাশির সমস্যা দূর হয়। শীতকালে গলার স্বর ডেবে গেলে হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে গড়গড়া করলে গলার স্বর বৃদ্ধি পায়। এক চা চামচ আদার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে সকাল-সন্ধ্যা বেলা খেলে সর্দি সেরে যায় এবং ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
অনেক শিশু রয়েছে যারা খেতে চায় না ফলে ওজন ও বৃদ্ধি কম, এসব শিশুদের দৈহিক গঠন, রুচি ও ওজন বৃদ্ধি জন্য প্রত্যেকদিন এক চা চামচ মধুর গরম দুধ ও গরম পানির সঙ্গে রাতের খাবারের সঙ্গে খেলে এসব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
আমাদের শরীরের অনেকেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে অতি অল্পতেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এই ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা নিয়মিত কালোজিরার ফুলের মধু খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং কোন রোগ সহজে আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না।
নিয়মিত মধু খেলে আপনার-আমার সকলের দৃষ্টি শক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পাবে তাই অতি প্রাচীনকাল থেকে মধু খাওয়ার প্রবণতা আমাদের মধ্যে রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদী ও ইউনানী চিকিৎসা ব্যবস্থায় মধু খাওয়ার কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে। যারা ছোটবেলা থেকে নিয়মিত মধু পান করবে তাদের বার্ধক্য দেরিতে আসবে।
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তারা কালোজিরা ফুলের মধু খেতে পারেন। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে আপনার শরীর থেকে অনেক সময় অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় হয় এটা পূরণের জন্য ব্যায়াম করার নির্দিষ্ট সময় পর অবশ্যই মধু খাওয়া উচিত।
নিয়মিত মধু খাওয়ার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে ফলে শরীর হয়ে ওঠে সুস্থ সতেজ এবং কর্মকম। শীতকালে তাই আমাদের দেশের মানুষ বেশি বেশি মধু খায় যাতে শরীরে কম কম শীত অনুভূত হয়।
এছাড়া কালোজিরার মধু নিয়মিত পান করলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজম শক্তি বাড়ায়, কোলেস্টরেল কমায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে অ্যালার্জির প্রভাব কমায় ও ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
কালোজিরা ফুলের মধু খাওয়ার নিয়ম।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুই বেলা করে কালিজিরা ফুলের মধু খাওয়া উচিত। বিশেষ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একবার দুই চা চামচ কালোজিরার ফুলের মধু খাওয়া যেতে পারে। তবে চাহিদা অনুযায়ী রাতের খাবার শেষে ৩০ অথবা ৪০ মিনিট পর এই মধু খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
শিশু এবং গর্ভবতী মহিলা যারা রয়েছেন তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মধু খেতে হবে। আরেকটি কথা অবশ্যই আপনাদের মনে রাখতে হবে কালোজিরার মধুতে রয়েছে ও অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ঔষধি গুন।
আরো পড়ুনঃ কি খেলে টিউমার ভালো হয়ে যায় এই সম্পর্কে
অনিয়মিত বা ভুল ব্যবহারের ফলে এটা অনেক সময় শারীরিক ক্ষতির কারণও হতে পারে। কালিজিরার মধু খালি খাওয়া যায় এবং অন্যান্য খাবার গ্রহণের সময় তার সঙ্গে মিশিয়ে কালোজিরার ফুলের মধু খাওয়া যায়।
কোন ফুলের মধু সবচেয়ে ভালো।
আমাদের দেশে সারা বছর বিভিন্ন সুপার শপে বড় বড় কোম্পানির মধু পাওয়া যায়। আবার হাটে বাজারে ফুটপাতের বিভিন্ন জায়গার হকাররা বিভিন্ন ধরনের মধু বিক্রি করে। আমরা অনেকেই এসব জায়গা থেকে মধু কিনে থাকি। আমাদের অনেকের মধ্যেই এক ধরনের প্রশ্ন জাগে যে কোন ফুলের মধু সবচেয়ে ভালো।
কেননা বাজারে বিভিন্ন মৌসুম ভিত্তিক বিভিন্ন ফুলের মধু পাওয়া যায়। যেমন- সরিষা ফুলের মধু, লিচু ফুলের মধু, কালোজিরা ফুলের মধু, আমের মুকুলের মধু। কয়েকজন মধু বিক্রেতা ও মধু উৎপাদনকারী খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, প্রত্যেক ফুলের মধুর ভালো কারণ প্রত্যেক ফুলের মধুই প্রাকৃতিক মধু মৌমাছি দ্বারা সংগৃহীত।
তবে প্রত্যেকটি ফুলের মধু ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য হয়। যেমন- স্বাদে ঘ্রাণে ও ঘনত্বে ইত্যাদিতে। সাধারণভাবে বলা যায় যে মধু যেই ফুলেরই হোক না কেন তা যদি খাঁটি হয় অর্থাৎ ভেজালমুক্ত হয় তাহলে সেটি ভাল মধু।
সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করতে মধু ও কালোজিরা একসঙ্গে খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে বহুগুণ। নিয়মিত কালোজিরা সঙ্গে মধু খেলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গ সতেজ ও শক্তিশালী হয়। যে কোন রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত রাখে এবং দেহের সার্বিক উন্নতি করে।
কালোজিরা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এর সঙ্গে যদি মধু মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে এর কার্যকারিতা আরো বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে মধু ও কালোজিরা নিয়মিত খেলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে শারীরিক অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে যা আপনি নিজে নিজেই অনুভব করতে পারবেন।
কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা কোন নিয়মে খেতে হয়। প্রতিদিনের মতো সকালে ঘুম থেকে উঠে কোন কিছু খাওয়ার আগে সামান্য একটু কালি কালোজিরা ও মধু হাতের তালুতে নিয়ে চিবিয়ে খেয়ে এরপর পানি পান করুন। এভাবে নিয়মিত বেশ কয়েকদিন খেতে থাকুন।
এছাড়া আপনি চাইলেই কালোজিরা সামান্য ভেজে গুঁড়ো করে নিয়ে এর সঙ্গে দুধ ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। কালোজিরা চিবিয়ে খেলে এর স্বাধে কিছুটা ঝাজ আসতে পারে তাই এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু।
আমাদের দেশে সাধারণত দুই প্রকারের মধু পাওয়া যায়। চাষ করা মধু আর প্রাকৃতিক মধু। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক মধুর একমাত্র উৎস সুন্দরবন। মৌয়ালরা সেটা সংগ্রহ করে ও তা সারাদেশে বাণিজ্যিকভাবে বিপন্ন করে থাকে। এর বাইরে আমরা গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে ছোট ছোট বনাঞ্চলে মৌমাছির চাক দেখতে তা থেকে সামান্য কিছু মধু যোগান আসে।
সুন্দরবনের অন্তত সাত রকমের ফুলের মধু হয়ে থাকে। সুন্দরবনে ফুল ফুটতে শুরু করে মার্চ মাস থেকে, এই সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে মধু আহরণ করে সুন্দরবন এ আসতে থাকে মৌমাছির ঝাক আর মধু আহরণের জন্য বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয়। বন বিভাগের অনুমতি পাওয়ার পর মৌয়ালরা সুন্দরবনের একযোগে মধু আহরণ শুরু করে।
সুন্দরবন থেকে প্রথমে আসে খলিশা ফুলের মধু। খলিশা নামক একপ্রকার গাছের ফুল থেকে মৌমাছিরা এই মধু সংগ্রহ করে মৌচাকে জমা করে। সুন্দরবনে যখন খলিশা ফুল ফোটে তখন অন্য সব গাছে মুকুল থাকলেও ফোটে না। সুন্দরবনের অন্যান্য ফুলের মধু থেকে খলিশা ফুলের মধুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি কিন্তু উৎপাদন কম হয়, তাই এই ফুলের মধুর দাম ও কিছুটা বেশি।
খলিসা ফুলের মধু একটু সাদা রঙের হয় মিষ্টিও বেশি। এরপর পর্যায়ক্রমে সুন্দরবন থেকে গড়ান, পশুর, কেওড়া ডাইন ফুলের মধু সংগ্রহ করে। সুন্দরবনের মধুর একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই বনের মধুতে একটা বুনো বন্ধু থাকে যেটা অন্য কোন জায়গার মধুতে পাওয়া যায় না।
লেখক এর মন্তব্যঃ
উপরের আলোচনা থেকে কালোজিরা ফুলের মধু চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করেছেন আশা করছি এই পোস্টটি যত্ন সহকারে পড়ার পর আপনার আর কালোজিরা ফুলের মধু চিনতে ভুল হবেনা এবং কেনার সময় প্রতারিত হতে হবে না। আসুন আমরা নিয়মিত মধু পান করি দেহকে সুন্দর ও সুস্থ রাখি কারণ দেহ সুন্দর সুস্থ থাকলে আমাদের মনও ভালো থাকবে।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url