বাংলাদেশের সেরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
প্রতিবছর এস.এস.সি পরীক্ষার পর এক শ্রেণীর শিক্ষার্থীর আকাঙ্ক্ষা থাকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার জন্য। কিন্তু কোমলমতি এসব শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বাংলাদেশের সেরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোর নাম না জানা থাকার কারণে অনেকে তুলনামূলক কম সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হয়ে থাকে যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনের প্রভাব ফেলে। আজকের আর্টিকেলে আমি বাংলাদেশের সেরা বেশ কয়েকটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নাম ও অন্যান্য তথ্য তুলে ধরবো।আজকের এই আর্টিকেলটি আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বাংলাদেশের সেরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নাম ও অন্যান্য তথ্য জানতে পারবেন। যা এই সব প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের সেরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
প্রিয় পাঠক চলুন শুরুতেই জেনে নিন বাংলাদেশের সেরা বেশ কয়েকটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নাম তারপর নিচের অংশে আমরা জানবো এইসব প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য।
- ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -১
- চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-২
- সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-৩
- কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট -৪
- বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-৫
- ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-৬
- বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-৭
- খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -৮
- রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -৯
- পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -১০
- রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -১১
- দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -১২
- ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -১৩
- ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -১৪
- যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -১৫
- কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট-১৬
- টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট -১৭
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশের সেরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোর নাম বলতে গেলে শুরুতেই চলে আসে ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ও সুনামধন্য সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হচ্ছে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
রাজধানী কেন্দ্রিক এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সুনামের সাথে তার শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সারা দেশের শিক্ষার্থীদের একটি চাহিদা থাকে ঢাকা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার জন্য। ১৯৫৫ সালে তৎকালীন পাকিস্তান আমলের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।
পাকিস্তান আমলে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নাম ছিল ইস্টবেঙ্গল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। শুরুতে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ডিপ্লোমা স্তরের ৩ বছর মেয়াদী কোর্স চালু হয়।
বর্তমানে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ১২ টি টেকনোলজিতে শিক্ষার্থীর ভর্তি করানো হয়।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিভাগঃ কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, সিভিল, মেকানিক্যাল, অটোমোবাইল, আর্কিটেকচার, কেমিক্যাল, ফুড, এনভায়রনমেন্টাল, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং, পাওয়ার।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবস্থানঃ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট তেজগাঁও শিল্প এলাকায় অবস্থিত। এর উত্তরে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ এ কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় এবং পশ্চিমে ঢাকা- টঙ্গী মহাসড়ক রয়েছে।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ১২
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ১৩৫০
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ১০,৮০০ প্রায়
- টেলিফোন নম্বরঃ ০১৭২০-৯০১০৮০
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ০৫
- আয়তনঃ ২৭ একর
- ওয়েবসাইটঃhttps://dhaka.polytech.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/dhakapolytechnic.bd/
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোর মধ্যে সেরা যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সারিতে রয়েছে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল ত বটেই বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে ইচ্ছুক থাকেন।
কেননা এটি একটি সেরা কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে ১৯৬২ সালের প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭টি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীগণ প্রতি পর্বে ৬৫% শিক্ষার্থী সরকার থেকে বৃত্তি পায়।
এছাড়া বিশ্ব ব্যাংক থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা প্রতি পর্বে ৪৮০০ টাকা করে বৃদ্ধি পায়। আবার প্রতিটি বিভাগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং চলাকালে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মাসিক ভাতা পায়। এতে করে গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীগণ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পায়।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ
সিভিল,কম্পিউটার,ইলেকট্রনিক্স,ইলেকট্রিক্যাল,মেকানিক্যাল,পাওয়ার,ইনভাইরনমেন্টাল।
চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবস্থানঃ চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট টি চট্টগ্রাম শহরের নাসিরাবাদ এলাকায় অবস্থিত। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্বে রয়েছে বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৭
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৬৫০
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৪২০০ প্রায়
- টেলিফোন নম্বরঃ ০২-৪১৩৮০০৬৮
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ০৩
- আয়তনঃ ৩৫ একর
- ওয়েবসাইটঃ chattogram.polytech.gov.bd
- ফেসবুক পেজঃ facebook.com/ctgpoly.cpi
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশের পূর্ণভূমি বলে পরিচিত সিলেট। এই সিলেটের অন্যতম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫৫ সালে ফোর্ড ফাউন্ডেশন ঢাকা, রংপুর, বগুড়া, পাবনা ও বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাথে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ বছর মেয়াদী কোর্স করানো হতো।
বর্তমানে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৭টি বিভাগে ৪ বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগের নামঃ বর্তমানে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ৭টি বিভাগ চালু রয়েছে। যেমন- সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স, পাওয়ার, ইলেক্ট্রোমেডিকেল।
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবস্থানঃ ৩৬০ আউলিয়ার দেশ বলে পরিচিত সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বড়ইকান্দি এলাকায় সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অবস্থিত। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে সিলেটের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন- সিলেট সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ ও সরকারি বাণিজ্য মহাবিদ্যালয় অন্যতম।
সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৭
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৬৫০
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৪৫০০ প্রায়
- টেলিফোন নম্বরঃ ০৮২১-৭১৬৩৭২ , ০২-৯৯৬৬৬
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ০৩
- আয়তনঃ ১৮ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://sylhet.polytech.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/sylhetpoly/
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট।
বাংলাদেশের সেরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোর মধ্যে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অন্যতম বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ১৯৬২ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন ইতিহাস সমৃদ্ধ দর্শনীয় স্থান কুমিল্লার শালবন বিহারের সবুজ বেষ্টিত নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে অবস্থিত কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
শুধু তাই নয় শিক্ষার গুণগত মান ভালো হওয়ার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় ও দেশ সেরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মর্যাদা লাভ করেছে। বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দশটি বিভাগে দুইটি শিফটে ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি করানো হয়
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ কুমিল্লা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ৬টি বিভাগ রয়েছে। যেমন- সিভিল, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স, পাওয়ার, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল।
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবস্থানঃ কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এটি কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে কোর্টবাড়িতে অবস্থিত।
প্রায় ২৬ একর জায়গা জুড়ে কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নির্মিত হয়েছে। কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আশপাশে রয়েছে নামকরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যেমন- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট কলেজ ও কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ।
কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৬
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৫০০
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৪০০০ প্রায়
- ফোন নম্বরঃ ০৮১৭-৬০৭৭
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ০৩
- আয়তনঃ ২৬ একর
- ওয়েবসাইটঃ cumilla.polytech.gov.bd
- ফেসবুক পেজঃ facebook.com/groups/cumilla/poly.gov.bd
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশের জেলা পর্যায়ের সবচেয়ে পুরনো এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ একটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হচ্ছে ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। ১৯৬৪ সালে ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পরেই ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবস্থান।
ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, কম্পিউটার, এ. আই. ডি. টি।
ফেনী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবস্থানঃ ফেনী শহর হইতে উত্তর-পূর্ব দিকে পুরাতন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে ফেনী পৌরসভার মধ্যে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান।
ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৬
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৫০০
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৪০০০ প্রায়
- ফোন নম্বরঃ 01196-478879,02-334474030
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ০৩
- আয়তনঃ ১৫ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://feni.polytech.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/fpi.fen/
বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
১৯৬২ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যে ১৬ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় তার মধ্যে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অন্যতম। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণবঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
বরিশাল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের কাছে নির্ভরযোগ্য একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। শুরুতে ১টি বিভাগ নিয়ে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালু হলেও বর্তমানে ৮টি বিভাগ এই শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রতিবছর এই ৮টি বিভাগে ২টি শিফটের প্রায় ১৬০০ শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ রয়েছে। কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে আবশ্যিকভাবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ব্যবস্থাপনা, সমাজবিজ্ঞান, শারীরিক শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে পাঠদান করা হয়। যা অকারিগরি বিভাগ এর মধ্যে অন্তর্গত।
১৯৯৫ সালের বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হয়ে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ কম্পিউটার, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, ইলেক্ট্রোমেডিকেল, ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট।
বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবস্থানঃ আলেকান্দা, বরিশাল।
বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৮
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৮০০
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৬০০০ প্রায়
- ফোন নম্বরঃ
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ০৩
- আয়তনঃ ১২.৫ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://barishalpoly.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/BarishalPolytechnicInstitute/
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সুন্দরবনের কুল ঘেঁষে গড়ে ওঠা বিভাগীয় শহর খুলনার একটি পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
শিল্পনগরী খুলনার কারিগরি শিক্ষার প্রসারে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ব্যাপক অবদান। শিল্পসমৃদ্ধ শহর হওয়ার কারণে এখানে প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদের ব্যাপক চাহিদা থাকায় খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর ভর্তির একটা চাহিদা থাকে।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে প্রতিবছর ৯টি টেকনোলজিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হয়। প্রতি বছর প্রত্যেকটি টেকনোলজিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে ভাতা প্রদান করা হয়।
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ কম্পিউটার, সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, পাওয়ার, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, আইপিসিটি,ইএনভিটি,আর এ সি।
খুলনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৯
- অবস্থানঃ খালিশপুর শিল্প এলাকা, খুলনা।
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৬০০
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৪০০০ প্রায়
- ফোন নম্বরঃ
- হোস্টেল সংখ্যাঃ
- আয়তনঃ ২২ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://khulna.polytech.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/love.kpi/
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
উত্তরের শিক্ষা নগরী বলে খ্যাত রাজশাহী শহরের একটি পুরাতন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রাজশাহীর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। রাজশাহী বিভাগের যে কয়টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে রাজশাহী সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চার বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিংকোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী নগরীর সপুরাতে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। বর্তমানে এটি একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আশপাশের জেলাগুলোর শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার ব্যাপক চাহিদা থাকে।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউ এর বিভাগঃ
কম্পিউটার,ইলেকট্রিক্যাল,সিভিল,মেকানিক্যাল,পাওয়ার,ইলেকট্রনিক্স,ইলেকট্রোমেডিকেল,
মেকাট্রনিক্স।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবস্থানঃ রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর রাজশাহী শহরের মধ্যে অবস্থিত। এটি রাজশাহী নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্ব পাশে অবস্থিত। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দক্ষিণে রয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড স্কুল এন্ড কলেজ এবং রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম।
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ- বিভাগঃ ৮
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৫৫০
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৪২০০ প্রায়
- ফোন নম্বরঃ ০১৯৯২০১২৬৫২
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ৩
- আয়তনঃ ১৫ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://rajshahi.polytech.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/RPI23105/
বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের রাজধানী হিসেবে খ্যাত বগুড়া জেলার অন্যতম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৬২ সালে কার্যক্রম শুরু করে। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বগুড়া পুলিশ লাইন এর বিপরীতে শেরপুর রোডে অবস্থিত।
অত্যন্ত প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম মনোরম পরিবেশে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৮টি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম একটি স্বনামধন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট হিসাবে গড়ে উঠেছে।
১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০৪, ২০১৫, ২০১৯, ২০২২, ২০২৩ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় বাংলাদেশের একটি শ্রেষ্ঠ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৭
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৫৫০
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৪৮০০ প্রায়
- ফোন নম্বরঃ ০৫১৬৬১৫২
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ৪
- আয়তনঃ ২০ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://bogura.polytech.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/Bogurapoly/
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
রাজশাহী বিভাগের অন্যতম একটি বৃহৎ জেলা পাবনার রয়েছে শিক্ষা সহ অন্যান্য বিষয়ে ব্যাপক পরিচিতি। পাবনা জেলার অন্যতম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস।
১৯২৪ সালে তৎকালীন তাড়াশের জমিদার স্ত্রী বনমালী রায় কর্তৃক বর্তমান নগরবাড়ি মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে পাবনা শহরে বিএল ইলিয়ট টেকনিক্যাল স্কুল নামে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৬০ এর দশ থেকে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসাবে পূর্ব পাকিস্তানের অনেক জেলাতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয় তারই অংশ হিসেবে পাবনা জেলাতে ১৯৬২ সালে টেকনিক্যাল স্কুল টি পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে শিক্ষার্থীর ভর্তি করানো হয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি উত্তরবঙ্গের একটি উন্নত মানের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ
কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, ইনভাইরনমেন্ট, আর্কিটেকচার, পাওয়ার, ইলেকট্রনিক্স, রেফ্রিজারেটর এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং।
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবস্থানঃ পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পাবনা শহরের গাংকলায় অবস্থিত। এর উত্তরে রয়েছে ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, দক্ষিণে কারিগরি প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয় এবং পূর্বদিকে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের ক্যাম্পাস।
পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৮
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৮৫০
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৫০০০ প্রায়
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ২
- আয়তনঃ ২০ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://ppi.pabna.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/groups/221518081943369/
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
উত্তরের জনপদ বিভাগীয় শহর রংপুরের একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দের রয়েছে ব্যাপক সদর কদর।
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে রয়েছে সুদীর্ঘ এক ইতিহাস ১৮৮২ সালে প্রযুক্তি শিক্ষার দক্ষ জনসম্পদ তৈরীর লক্ষ্যে ডেইলি ব্রিজ গোবিন্দ লাল টেকনিক্যাল স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬২ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক রংপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬৮ সালে নতুন করে এই প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয় রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ২০২৪ সালের জাতীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ কারিগরি পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে হ্যাপি অর্জন করে সুনাম অর্জন করে
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৭টি বিভাগের শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। যেমন- কম্পিউটার, তড়িৎবিদ্যা, তড়িৎ প্রকৌশল, যন্ত্রকৌশল, পুর কৌশল, শক্তি প্রকৌশল ,ইলেকট্রোমেডিকেল।
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবস্থানঃ রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট জাতীয় পর্যায়ে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রংপুর শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে জুম্মা পারায় অবস্থিত এর বিপরীত পাশে রয়েছে বিভাগীয় কারিগরি শিক্ষা বোর্ড।
রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৭
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৬৫০
- মোবাইলঃ০১৭১১-৪৮৬৬৬৬
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৩৫০০ প্রায়
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ৩
- আয়তনঃ ৩৩ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://rangpur.polytech.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/groups/rangpurpolytechnic/
দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং উন্নত মানের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট যা ১৯৬৪ সালের প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার জেলা সদরে ১৬ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করে এইগুলোর মধ্যে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অন্যতম।
দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ ১৯৬৪ সালের সিভিল এবং পাওয়ার টেকনোলজি নিয়ে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর যাত্রা শুরু হয় পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে আরও বেশ কয়েকটি টেকনোলজি যুক্ত হয় বর্তমানে মোট ছয়টি টেকনোলজিতে দুইটি শিফটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হচ্ছে।
দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবস্থানঃ প্রায় ২২ একর জায়গার উপর নির্মিত বিশাল অবকাঠামোর এই প্রতিষ্ঠানটি খোলামেলা ফলাফল মুক্ত অসংখ্য বৃক্ষরাজিতে সুসজ্জিত মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে। দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দক্ষিণ বালুবাড়ীতে অবস্থিত। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দক্ষিণ পাশ দিয়ে গেছে ঢাকা দিনাজপুর রেলপথ পশ্চিম পাশ দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে।
দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৬
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৫৫০
- মোবাইলঃ
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৩৫০০ প্রায়
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ৩
- আয়তনঃ ২২ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://dinajpur.polytech.gov.bd/-
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/DPI24MKR/
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের একটি পুরাতন জেলার নাম ময়মনসিংহ পরবর্তীতে এটি বিভাগে উত্তীর্ণ করা হয়। ময়মনসিংহ বিভাগের অন্যতম একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ময়মনসিংহ সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৬৩ সালে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়।
বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করতে ২টি শিফটে ৭টি বিভাগের শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবহনের জন্য একটি মাইক্রোবাস রয়েছে ২০০২ সালের জাতীয় পর্যায়ের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোর মধ্যে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় পুরস্কার পায়। কাজেই এটি একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, পাওয়ার, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, ইলেক্ট্রোমেডিকেল।
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবস্থানঃ ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহ শহরের মাসকান্দার এলাকায় অবস্থিত। মোট ২৪ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা -ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে দুটি অংশে বিভক্ত করেছে।
সড়কের পূর্ব পাশে একাডেমী ভ্রমণ এবং অপর পাশে খেলার মাঠ কুকুর সহ অন্যান্য ছাত্রাবাস গুলো রয়েছে। উত্তর দিকে রয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল দক্ষিণে টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার।
ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৭
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৮০০
- মোবাইলঃ ০১৮৮২-৪৭৭০০৩
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৬৫০০ প্রায়
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ৩
- আয়তনঃ ২৪ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://mpi.polytech.gov.bd/
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ঢাকা বিভাগের অন্যতম একটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সেই সময় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল ফরিদপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে ফরিদপুর টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়।
ফরিদপুর পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার বছর মেয়াদে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং করছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় বর্তমানে এই বিভাগে যেসব বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসব বিভাগ চালু রয়েছে। যেমন-রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং,ইলেকট্রিক্যাল,সিভিল,কম্পিউটার,পাওয়ার,যন্ত্রকৌশল।
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবস্থানঃ ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শহরের বায়তুল আমানে অবস্থিত। এর বিপরীত পাশে রাজেন্দ্র কলেজ অবস্থিত।
ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৬
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৬০০
- মোবাইলঃ ০৬৩১-৬৩৫৯৮
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৩৮০০ প্রায়
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ৩
- আয়তনঃ ২৪ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://polytechnic.faridpur.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃhttps://www.facebook.com/groups/2624242601196787/
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
খুলনা বিভাগের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা যশোর জেলা। এই জেলায় ১৯৬৪ সালে প্রথম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে সিভিল এবং পাওয়ার এই দুটি টেকনোলজি নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সর্বমোট ৭টি টেকনোলজি চালু হয়েছে।
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর মোট ৭টি বিভাগ রয়েছে। যেমন-কম্পিউটার, টেলিকমিউনিকেশন, সিভিল, পাওয়ার, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল।
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবস্থানঃ যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট টি জেলা শহরের শেখহাটি গ্রামে নিউটাউনে কাছে অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় ১৫ একর।
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৭
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৬০০
- মোবাইলঃ 0421-68536
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৩০-০০ প্রায়
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ২
- আয়তনঃ ১৫ একর
- ওয়েবসাইটঃ https://polytechnic.jessore.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃhttps://www.facebook.com/jpi.edu.bd/?locale=bn_IN
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মীর মোশারফ হোসেন, কাঙাল হরিনাথ, বাঘাযতীন প্রমূখ এর পদচারনায় ধন্য সাংস্কৃতিক ভূমি কুষ্টিয়া। লালন সাঁইজির স্মৃতি বিজড়িত স্থান কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়ার একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ১৯৬৪ সালে মাত্র দুটি টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই প্রতিষ্ঠান ও যাত্রা শুরু করে।
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে চার বছর মেয়াদী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সকল ট্রেডে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় সেগুলো হচ্ছে কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, সিভিল, পাওয়ার।
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অবস্থানঃ কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শহরের প্রাণকেন্দ্র মীর মোশারফ হোসেন সড়কের কাটাইখানা মোড়ে অবস্থিত।
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৬
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৬০০
- মোবাইলঃ ০১৬১৫-৭০১১৪৬
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৩৬০০
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ৩
- আয়তনঃ
- ওয়েবসাইটঃ https://kushtia.polytech.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/KushtiaPolytechnicInstitute/?locale=bn_IN
টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশের যে সকল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলো সেরাদের তালিকায় রয়েছে তার বেশির ভাগে দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তবে এক্ষেত্রে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কিছুটা ব্যতিক্রম।
১৯৯১ সালে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় যা অন্যান্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তুলনায় নবীন বলা চলে। টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের অন্যতম একটি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এই ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার জন্য আসে।
টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর বিভাগঃ টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাত্র ১টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে প্রায় ৭টি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই সকল বিভাগে শিক্ষার্থী করানো হয়। যে সকল ট্রেডে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় সেগুলো হচ্ছেকম্পিউটার,সিভিল,ইলেকট্রিক্যাল,মেকানিক্যাল,টেলিকমিউনিকেশন,
কনস্ট্রাকশন,ইলেকট্রনিক্স।
টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবস্থাঃ টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট টাঙ্গাইল শহর থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার উত্তরে নতুন বাস টার্মিনালে অবস্থিত। টাঙ্গাইল -ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান। অত্যন্ত সুন্দর মনোরম পরিবেশে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে ।
এই প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস রয়েছে যেমন বাংলাদেশ বন বিভাগের অফিস বিএডিসির অফিস।
টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অন্যান্য তথ্যঃ
- বিভাগঃ ৭
- শিফটঃ ২
- আসন সংখ্যাঃ ৫৫০
- মোবাইলঃ ০৯২১-৬৩২৩৭
- বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যাঃ ৩৬০০
- হোস্টেল সংখ্যাঃ ২
- আয়তনঃ
- ওয়েবসাইটঃhttps://tangail.polytech.gov.bd/
- ফেসবুক পেজঃ https://www.facebook.com/tpigov/
শেষ কথাঃ
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা ও শ্রদ্ধেয় অভিভাবক আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশের সেরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলো নামের যে তালিকা দেয়া হয়েছে তা নিত্যান্তই লেখকের বিবেচনা প্রসূত। এখানে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলো নামের যে তালিকার সিরিয়াল করা হয়েছে তার দ্বারা এ সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষার মান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চয়তা বিধান করে না।
শুধুমাত্র লেখার জন্যই সিরিয়াল গুলো করা হয়েছে। বাংলাদেশের যে সকল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলো রয়েছে শিক্ষার মান অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দিক থেকে প্রায় প্রত্যেকটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট পর্যায়ের।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url