বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের যাওয়ার উপায়
দেশ-বিদেশের যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি হতে চলেছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আজকের এই পোস্টে আমি আলোচনা করেছি বাংলাদেশের তথা এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ সাফারি পার্ক বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক গাজীপুর সম্পর্কে। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনারা ধৈর্য সহকারে পড়বেন এবং বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আদ্যোপান্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন।
আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের যে যে বিষয়গুলো জানতে পারবেন তা এক নজরে দেখে নিন। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অবস্থান, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক টিকেটের মূল্য, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের মোবাইল নাম্বার, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কবে বন্ধ থাকে, গাজীপুর সাফারি পার্কে কিভাবে যাব এই বিষয়গুলো।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।
বাংলাদেশে বর্তমানে যে কয়টি সাফারি পার্ক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। এটি ভ্রমণ পিপাসুদের বিনোদনের একটি অন্যতম মাধ্যম।
বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ করে ঈদ উৎসব, পহেলা বৈশাখের উৎসব, সরকারি ছুটির দিনগুলো তে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আগন্তুক দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় এর লক্ষ্য করা যায়। আপনিও পরিবার পরিজনসহ ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ সাফারি পার্ক বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক গাজীপুর।
আরো পড়ুনঃগাজীপুর জেলার ৭টি দর্শনীয় স্থানসমূহ
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমি বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের আদ্যপ্রান্ত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আশা করি আপনারা পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করা যাক।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অবস্থান।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা জেলার উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জেলা গাজীপুর। গাজীপুর জেলা শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র সর্ববৃহৎ সাফারি পার্ক বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।
রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে ৪০ কিলোমিটার এগোলেই বাঘের বাজার নামক স্থান রয়েছে। এখানে নেমে ৩ কিলোমিটার পশ্চিমে গেলে আপনি দেখতে পাবেন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের আয়তন প্রায় ৩৬৯০ একর। সুবিশাল এই জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষ করে থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ার সাফারি পার্কের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। দর্শনার্থীদের ভ্রমণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কটিকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে গড়ে তোলা হয়েছে। যেমন-
বঙ্গবন্ধু স্কয়ার
সাফারি পার্কের উন্নতম একটি আকর্ষণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। সাফারি পার্কের ৩৮ একর জায়গা নিয়ে এই স্কয়ার তৈরি করা হয়েছে। এই স্কয়ারের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন স্থাপনা অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।
আরো পড়ুনঃঘুরে আসুন ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান
বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পার্কিং এলাকা, প্রশাসনিক ভবন, আকর্ষণীয় বঙ্গবন্ধু মুরাল, সুসজ্জিত প্রধান ফটক, পানির ফোয়ারা ও লেক, ডিসপ্লে ম্যাপ, তথ্য কেন্দ্র, বিশ্রামাগার, ডমিটরি, মিউজিয়াম ও ইকো রিসোর্ট ইত্যাদি। একজন দর্শনার্থী বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রবেশের শুরুতেই এই দর্শনীয় স্থানসমূহ বা স্থাপনা গুলো দেখতে পাবেন।
কোর সাফারি
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয়, রোমাঞ্চকর ও লোমহর্ষকর এরিয়া হচ্ছে কোর সাফারি। এই অংশটি ১২১৭ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত হয়েছে। এই অংশে দর্শনার্থীরা পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারে না। বিভিন্ন হিংস্র জীবজন্তুদের অবাধ বিচরণের অংশ।
কোর সাফারি পার্কে ঘুরে বেড়ানোর জন্য দুটি জিপ ও দুটি মিনি বাস রাখা হয়েছে, নির্দিষ্ট ফি প্রদান সাপেক্ষে এই গাড়িতে করেই এই অংশটি আপনাকে ঘুরে বেড়াতে হবে। এককভাবে কোন প্রকার নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের এই অংশে দর্শনার্থীদের প্রবেশ সম্পুর্নরূপে নিষিদ্ধ।
কেননা এই অংশের রয়েছে বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, আফ্রিকান চিতা, হরিণ, গরাল, হাতি সহ অন্যান্য হিংস্র জীবজন্তু। কোর সাফারি পার্কে বিভিন্ন ওয়াজ টাওয়ার এবং কাচের দেওয়ালের বেষ্টনীর মধ্যে একটি রেস্তোরা তৈরি করা হয়েছে যে রেস্তোরায় খাবার টেবিলে বসে খুব সহজে হিংস্র জীবজন্তু বিশেষ করে সিংহ, বাঘ, ভাল্লুক এগুলো দেখা যায়। এটি বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের অন্যতম একটি আকর্ষণ।
সাফারি কিংডম
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের এই অংশটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। সাফারি কিংডম অংশে বিভিন্ন জীবজন্তু ছোটখাটো খাঁচায় আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। দর্শনার্থীরা পায়ে হেঁটে নিজেদের সুবিধামতো এই এলাকাটি ঘুরে দেখতে পারবেন। সাফারি কিংডম এই অংশটি ৫৫৬ একর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃফ্যান্টাসি কিংডম ক্রিকেট মূল্য ২০২৪
সাফারি কিংডম অংশের রয়েছে দেশ-বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন প্রজাতির হরেক রকমের পাখি, ময়ূর, মাছ সহ অন্যান্য জীবজন্তু। ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা এই অংশটি প্রাণ ভরে উপভোগ করে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি জীবজন্তু পশুপাখি ছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গাছ-গাছালি রয়েছে যা সাফারি পার্কের সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক গাজীপুর টিকেট মূল্য।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রবেশ মূল্য দেশি-বিদেশী দর্শণার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা নির্ধারণ করা হয়েছে। একজন দেশি সাধারণ দর্শনার্থীর জন্য প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা ১৮ বছরের নিচে হলে ২০ টাকা এবং বিদেশি সাধারণ দর্শনার্থীর প্রবেশ মূল্য ৫ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফরে আগতদের জন্য স্পেশাল প্রবেশ ফি রয়েছে।
যদি শিক্ষা সফরের আশা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৪০-১০০ জন হয় তাহলে সবার প্রবেশ ফি ৪০০ টাকা যদি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ এর বেশি হয় তাহলে প্রবেশ মূল্য ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি হলো শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রবেশের টিকেটের মূল্য। এরপর অন্যান্য অংশে প্রবেশ করতে হলে আপনাকে আলাদা আলাদা ভাবে টিকিট করতে হবে। যেমন-
কোর সাফারি পার্কে প্রবেশের ফি-
কোর সাফারি পার্কে যেখানে খোলা পরিবেশে জীবজন্তু ঘুরে বেড়ায় তার মাঝ দিয়ে জিপ অথবা মিনি বাসে ঘুরে জীবজন্তু দেখতে জনপ্রতি ১৫০ টাকা প্রদান করতে হবে। বাসে করে কমপক্ষে ২০ মিনিট ঘুরে আপনি কোর সাফারি পার্কের এই অংশটি দেখতে পাবেন।
এছাড়া সাফারি কিংডম পার্কে প্রবেশ করতে তাকে আলাদাভাবে টিকিট করতে হবে।
পার্কিং খরচ
প্রতিটি বাস, কোচ বা ট্রাক এর পার্কিং ভাড়া ৪০০ টাকা।
মাইক্রোবাস বা মিনিবাসের পার্কিং ভাড়া ২০০ টাকা।
জিপ প্রাইভেট কারের পার্কিং ভাড়া ১০০ টাকা।
অটো রিক্সা বা সিএনজি পার্কিং ভাড়া ৫০ টাকা।
মোটরসাইকেল পার্কিং ভাড়া ২৫ টাকা।
পার্কিং ভাড়া কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত তাই এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এর মোবাইল নাম্বার।
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর বিভিন্ন তথ্য সাধারণ এর জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য জানার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এই প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল নাম্বার, ফেসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইট উন্মুক্ত করে রাখে। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নাম্বার, ওয়েবসাইট নিচে উল্লেখ করা হল-
বন বিভাগ, আগারগাঁও, ঢাকা।
মোবাইল +৮৮-০১৭২৭৩২৯৮১৬
পিকনিক, স্পট বুকিং ও অন্যান্য প্রয়োজনে: ০১৯৭৩-০০০০৪৪,০১৮২৩-০০০০৪৪,০১৮২৩-০০৪৪৮৪
ওয়েবসাইট: safariparkgazipur.info.bd
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কবে বন্ধ থাকে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক সপ্তাহের ৬ দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। সপ্তাহের মঙ্গলবার এই পার্ক বন্ধ থাকে। সাফারি পার্কের আয়তন বিশাল আপনি মনোযোগ সহকারে সবগুলো অংশ দেখতে চাইলে প্রায় সারাদিন লেগে যেতে পারে তাই হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে সকাল সকাল বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়বেন।
সাধারণত শীতকালে এই পার্ক ভ্রমণের উপযুক্ত সময় বলে আমি মনে করি। গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড তাপদাহ ও গরম অনুভূত হয় তাই এই সময়টি সাফারি পার্ক ভ্রমণ করা আরামদায়ক নয়।
গাজীপুর সাফারি পার্ক কিভাবে যাব।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের যে কোন জেলা থেকে বাস ট্রেন ও অন্যান্য পরিবহনযোগে প্রথমে আপনাকে গাজীপুরে আসতে হবে। এই বিষয়ে এখন বিস্তারিত আপনাদের জানাবো।
বাসের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের যে সকল বাস যমুনা সেতু হয়ে চলাচল করে এই বাসে করে প্রথমে আপনাকে গাজীপুর জয়দেবপুর চৌরাস্তায় আসতে হবে। এরপর ময়মনসিংহ ও মাওনা গামী যে কোন বাসে, লেগুনা, সিএনজি করে আপনাকে বাঘের বাজার আসতে হবে এরপর সেখান থেকে অটো রিকশা যোগে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে যেতে পারবেন।
সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল বিভাগের দর্শনার্থীরা বাসযোগে প্রথমে সায়দাবাদ অথবা মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে আসতে হবে। এরপর মহাখালী বাস স্ট্যান্ড থেকে ময়মনসিংহ গামী বাসে করে বাঘের বাজার আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে অটো রিক্সা যোগে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আসতে পারবেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আসতে চাইলে তাদেরকে ঢাকায় প্রবেশ করতে হবে না। ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা গামী বাসে করে বাঘের বাজার নামতে হবে। এরপর সেখান থেকে অটো রিকশাযোগে সাফারি পার্কে যেতে পারবেন।
ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা।
রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, খুলনা, যশোর অর্থাৎ পশ্চিমাঞ্চলীয় যে সকল আন্তঃনগর ট্রেন যমুনা সেতু হয়ে ঢাকা চলাচল করে এই ট্রেনে কোন দর্শনার্থী সাফারি পার্কে আসতে চাইলে তাকে জয়দেবপুর অথবা ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে নামতে হবে।
এরপর সেখান থেকে গাজীপুর জয়দেবপুর চৌরাস্তায় যেতে হবে। তারপর বাস অথবা সিএনজি অথবা লেগুনা যোগে বাঘের বাজার যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে যেতে পারবেন।
সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ অর্থাৎ পূর্বাঞ্চলীয় ট্রেন যোগে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আগত দর্শণার্থীদের ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে নামতে হবে। এরপর সেখান থেকে বাস অথবা ট্রেনে করে আপনাকে জয়দেবপুর স্টেশনে আসতে হবে।
এরপর বাস সিএনজি লেগুনা যোগে বাঘের বাজার যেতে হবে। এরপর সেখান থেকে অটোরিকশায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে যেতে পারবেন।
পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনে আগত দর্শনার্থীরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে আসতে চাইলে প্রথমে তাকে কমলাপুর স্টেশনে নামতে হবে। এরপর সেখান থেকে ট্রেনে করে আপনাকে জয়দেবপুর রেলস্টেশনে আসতে হবে।
এইবার সিএনজি অথবা লেগুনা করে আপনাকে জয়দেবপুর চৌরাস্তায় আসতে হবে। এরপর বাস সিএনজি লেগুনায় বাঘের বাজার আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে অটো রিক্সায় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে যেতে পারবেন।
থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা।
ঢাকা বিভাগের বা ঢাকা আশপাশের জেলাগুলো থেকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক গাজীপুর ভ্রমণ শেষে আপনি সহজেই আপনার নিজ গন্তব্যে ফিরে আসতে পারবেন কিংবা আপনি চাইলে সেখানে রাত্রি যাপন করতে পারেন। কিন্তু দূর-দূরান্ত থেকে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ কক্সবাজার, সিলেট এই অঞ্চল থেকে আগত দর্শনার্থীরা এক দিনেই বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ঘুরে দেখে আবার ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।
দূর দূরান্তের দর্শনার্থীদের জন্য বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে রিসোর্ট এর ব্যবস্থা রয়েছে এক্ষেত্রে আপনাকে বাড়তি টাকা গুনতে হবে তবে আপনি চাইলেই জয়দেবপুর বিভিন্ন বেসরকারি হোটেলে রাত্রে যাপন করে সকালে আবার আপনার গন্তব্যে ফিরে আসতে পারবেন। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে খাওয়ার তেমন একটা সুব্যবস্থা নেই এখানে আশেপাশে যে কয়টি হোটেল এবং রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে সেগুলোতে খেতে চাইলে আপনাকে বাড়তি টাকা গুনতে হবে।
শেষ কথাঃ
আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা দুটি লাইন দিয়ে আজকের এই পোস্টটি শেষ করব। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতা লিখেছেন,“ থাকবো না আর বদ্ধ ঘরে দেখবো এবার জগৎটাকে” প্রিয় পাঠক, কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতার অংশটুকু মনে প্রাণে ধারণ করে জগত দেখার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ুন।
আপনি যত বেশি দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াবেন তত আপনার জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। আর হ্যাঁ! যদি আপনি দলবেঁধে না বের হতে পারেন তাহলে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার অংশটুকু পড়ে নিন,“ যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে”।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url