পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে
বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে যেসব ফল উৎপন্ন হয় তার সিংহভাগই গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায়। গ্রীষ্মকালীন একটি সুস্বাদু ফল হচ্ছে আম। আজকের এই পোস্ট অত্যন্ত মূল্যবান হতে চলেছে যারা জানতে চান পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে।এই পোস্টটি যারা ধৈর্য সহকারে পড়বেন তারা আরো জানতে পারবেন আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা, কাঁচা আমের কোন এসিড থাকে, বেশি আম খাওয়ার উপকারিতা বা ক্ষতিকর দিক এবং বাংলাদেশের সেরা আমের জাত সম্পর্কে।
পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে।
গ্রীষ্মকালীন অতি পরিচিত একটি ফলের নাম আম। বাংলাদেশের সব জায়গাতেই কমবেশি আম উৎপন্ন হলেও দেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলাতে সবচেয়ে বেশি আম উৎপন্ন হয়। আলোচনার এই অংশে আপনারা জানতে পারবেন পাকা আম খেলে শরীরের কি কি ভিটামিনের অভাব পূরণ হয় এই সম্পর্কে।
পাকা আমে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন থাকে অন্যান্য ফলের তুলনায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমে ২৭৪০ মাইক্রগ্রাম ক্যারোটিন, ২০ গ্রাম শ্বেতসার, ১৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১.৩ আয়রন, ১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৯ মিলিগ্রাম রিভোফ্লোবিন, ০.০৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.৫ গ্রাম খুনিজ লবণ, ১ গ্রাম প্রোটিন ও ০. ৭ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন- এ এর ২০ শতাংশ চাহিদা পাকা আমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব। পাশাপাশি পাকা আমে আছে শর্করা, ভিটামিন বি-১, বি-২, থায়ামিন, ভিটামিন, আইরন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস।
আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা।
গ্রীষ্মকালীন সহজলভ্য ফলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আম। আম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। বর্তমানে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও আম রপ্তানি করা হচ্ছে। আমের পুষ্টি ও উপকারিতা রয়েছে ব্যাপক। পুষ্টির চাহিদা ও উপকারিতার কথা মাথায় রেখে আমের মৌসুমের প্রাত্যহিক খাদ্য তালিকায় প্রত্যেকেই আম রাখার চেষ্টা করে। আমের উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমি আপনাদের জানাবো।
- আমে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে।
- আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- পাকা আম স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- হৃদযন্ত্র সচল রাখে।
- পানি শূন্যতা প্রতিরোধ করে।
- শরীরের শক্তি যোগায়।
- আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- সর্দি কাশির মত সমস্যা কম হয়।
- পাকা আম শরীরের রক্তের কোলেস্টরলের এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
- ত্বক ও চুলের যত্নে পাকা আম অত্যন্ত উপকারী।
- আমে পর্যাপ্ত পরিমাণের ভিটামিন সি থাকে বিশেষ করে কাঁচা আমের যা আমাদের শরীরের ভিটামিন সি জনিত রোগ থেকে মুক্তি দেয়।
প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আম থাকলে আপনার রক্তচাপ যেমন নিয়ন্ত্রণে থাকবে তেমনি ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রেও অল্প পরিমাণের আম শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পাকা আমের কার্যকারিতা অনেক বেশি।
কাঁচা আমে কোন এসিড থাকে।
আম এমন একটি ফল যেটি কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। কাঁচা আম কিছুটা টক জাতীয় হয়ে থাকে তাই অনেকেই কাঁচা আম খেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না তবে কাঁচা আমের আচার ভর্তা তরকারি সবাই পছন্দ করে। পাকা আম খুবই সুমিষ্ট এবং খেতে অনেক মজা। কাঁচা আমে কোন কোন এসিড থাকে তা অনেকেই জানতে চেয়েছেন তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়া যায়
কাঁচা আমের প্রচুর পরিমাণে অক্সালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড, ম্যালিক এসিড ও সাকসেনিক এসিড থাকে। কাঁচা আম আমাদের দেহের রক্ত পরিষ্কার করে, খাবারের রুচি বৃদ্ধি হয়, চর্মরোগ ভালো করে, ক্যান্সার ও কিডনির সমস্যা দূর করে।
বেশি আম খাওয়ার অপকারিতা।
আম সুস্বাদু মিষ্টি এবং লোভনীয় একটি ফল যার কারণে অনেকেই বেশি পরিমাণের এই ফলটি খেয়ে থাকেন। যে কোন ফল বেশি পরিমাণে খেলে তার একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আমাদের দেহের লক্ষ্য করা যায় আম এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। এবার আম খাওয়ার অপকারিতা বা ক্ষতিকর দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
রক্তে শর্করা বৃদ্ধি
সুমিষ্ট এবং সুছ সাধু এই ফল একটি প্রাকৃতিক চিনির উৎস কারণ আমে দ্রুত চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে বিশেষজ্ঞদের মতে প্রাকৃতিক সিনিয়র ডায়াবেটিস অন্যান্য জীবনযাত্রার ব্যাধির ক্ষেত্রে সাধারণ চিনির মতোই কাজ করে সুতরাং আম খাওয়ার সময় ও পরিমান এর দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগী যারা রয়েছেন তারা আম খাওয়ার সম্পর্কে অবশ্যই সচেতন হতে হবে
এলার্জির বৃদ্ধি পেতে পারে
অতিরিক্ত আম খেলে এলার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে বিশেষ করে যদি কেউ সিনথেটিক উপাদানের প্রতি সংবেদনশীল হয় তাহলে তার এলার্জির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে অত্যন্ত অস্বস্তিদায়ক হতে পারে
শরীরের ওজন বৃদ্ধি
বেশি পরিমাণের আম খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে এর কারণ হলো অন্যান্য খাবারের তুলনায় আমি ফাইবার কম ও প্রাকৃতিক শর্করার পরিমাণ বেশি এবং ক্যালরি বেশি থাকে যা ওজন বাড়াতে সহায়তা করে আপনি যদি আপনার দেহকে সঠিক মাত্রায় ওজনে রাখতে চান তাহলে পরিমাণ মতো আম খেতে হবে
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
বেশি পরিমাণের আম খেলে পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এর কারণে পেটে হজম শক্তি কমে যেতে পারে, পেট ফাঁপা এবং পাতলা পায়খানা হতে পারে।
গ্রীষ্মকালের আমের মৌসুমে মৌসুমী ফল হিসাবে আম আমাদের অবশ্যই খাওয়া উচিত কেননা আম আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির ও ভিটামিনের যোগান দিয়ে থাকে তবে তা খেতে হবে পরিমাণ মতো।
বাংলাদেশের সেরা আমের জাত।
আম হচ্ছে ফলের রাজা। গ্রীষ্মকালীন মধু মাসে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায় তার মধ্যে সবচাইতে সুস্বাদু রসালো ফল হচ্ছে আম আর এজন্যই একে আমের রাজা বলা হয়। বাংলাদেশের বহু জাতের আম পাওয়া যায় তার মধ্যে সেরা কয়েকটি জাতের আমের নাম ওবৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলো।
ক্ষীরসা পাত আম
বাজারের যত রকমের আম পাওয়া যায় তার মধ্যে সবচেয়ে সুস্বাদু আম হচ্ছে ক্ষীরসা পাত। ক্ষীরসা পাতকে আমের রাজা বলা যেতে পারে। সুস্বাদু হওয়ার কারণে এই আম জিআই পন্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। খুবই মিষ্টি ক্ষীরসাপাতি আম মধু মাসের শুরুর দিকেই পাওয়া যায়। আটির আম পাকার পরপরই এই আম পেকে যায়।
আরো পড়ুনঃ কালোজিরা ফুলের মধু চেনার উপায়
ক্ষীরসা পাত আম দুই ধরনের হয়ে থাকে বোম্বাই ক্ষীরসা আর গুটি ক্ষীরসা। বোম্বাই ক্ষীরসা আকারে বড় সাইজের হয় কিন্তু গুটি ক্ষীরসা একটু ছোট সাইজের হয়ে থাকে। এই আম দেখতে অনেকটা গোলাকার ,অনেকেই হিমসাগর বলে বিক্রি করেন। এই আমে হালকা দাগ থাকে পাতি আম বাজারে পাওয়া যায় মে মাসের শেষে অথবা জুনের প্রথম দিকে।
গোপালভোগ
খুব সুমিষ্ট এক ধরনের আমের জাত। গোপালভোগের গায়ে সাধারণত হলুদ দাগ থাকে এর নিচের দিকে সামান্য সরু হয় এবং পাকার পরে এটি হলুদ হয়ে যায়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়া যায় গোপাল ভোগ আম।
ল্যাংড়া
ক্ষীরসা পাত আম পাকার কিছুদিন পর থেকে বাজারে ল্যাংড়া আম পাওয়া যায়। এই আম দেখতে কিছুটা গোলাকার ডিম্বাকৃতির ,নরম ও মসৃণ হয়ে থাকে। এর নাক দেখা যায় নিচের দিকে এবং এর চামড়া খুবই পাতলা। পাকলে এই আম হলুদ হয়ে যায়। এই আম খেতে ও মিষ্টি হয়।
রুপালি বা আম রুপালি
আমরুপালি আম আমের একটা জাত। ১৯৭১ সালে এই হাইব্রিড জাতটি উদ্ভাবন করেছে ভারতীয় কৃষিবিজ্ঞানী ডক্টর পিযুষ কান্তি মজুমদার। তিনি দশেরী এবং নিলম জাতের দুটি আমের সংকরায়নের মাধ্যমে আমের এই জাতটি উদ্ভাবন করেন।
তাই বলা যায় এটি একটি সংকর জাতের আম। এই জাতের আম দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি বড় এবং অপরটি ছোট হয়ে থাকে। এর নিচের দিকে খানিকটা সূচালো এবং উপরের দিকে গোলাকৃতির হয় । এই আম বেশি মিষ্টি এবং স্বাদে অতুলনীয়।
হিমসাগর
উৎকৃষ্ট স্বাদের সুগন্ধযুক্ত জাতের আম হচ্ছে হিমসাগর। হিমসাগর আম জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পারতে শুরু করে এবং জুন মাস পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যায়। এ আমের ঠোঁট নেই নরম বুকের দিকটা গোলাকার এবং উপর থেকে সামান্য লম্বাটে আকৃতির আকার নিয়ে শীর্ষ দেশ গোলাকৃতির হয়ে থাকে। পরিপক্ক হিমসাগর আমের রং হাল্কা সবুজ পাকার পরেও সবুজ থেকে যায়।
হাড়িভাঙ্গা
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বিখ্যাত ও সুস্বাদু আম হাড়িভাঙ্গা। উপরিভাগ তুলনামূলক বেশি মোটা ও চওড়া এবং নিচের অংশ অপেক্ষাকৃত হালকা চিকন। আশবিহীন হাড়িভাঙ্গা এই আম সাদা ও গন্ধে অতুলনীয়। এই আম তুলনামূলকভাবে আকারে বড় সাইজের হয়ে থাকে।
আস্বিনা ও ফজলী
আস্বিনা আর ফজলি আম দেখতে একই রকমের হয়ে থাকে। তবে আস্বিনা আম একটু বেশি সবুজ এবং কিছুটা হলুদ হয়। পেট মোটা হয় এবং ফজলি দেখতে লম্বা ধরনের হয়ে থাকে।
বারি আম-২ বা লক্ষণ ভোগ
বারি আম-২ বা লক্ষণ ভোগ চেনার সহজ উপায় হলো নাক আছে মাঝামাঝি স্থানে। মিষ্টি কম এই আম খেতে অনেকটা পাকা পেঁপের মত মনে হয়। পাকলে হলুদ রং হয়। সাধারণত জুন মাসের শুরুর দিকে এই আম পাওয়া যায়।
সুবর্ণরেখা
এই আমটির আকার মাঝারি ও ডিম্বাকৃতির। সাধারণত এটি আগাম জাতের আম। সুবর্ণরেখা আমের বোটাটার পাশে লাল রং থাকে সুস্বাদু ও রসালো এই আমটির নাম এ দেশের সুবর্ণরেখা বা সুন্দরী হলেও দক্ষিণ ভারতে একে চিন্না আম বলে।
লকনা আম
লকনা আম লক্ষণভোগ আম নামেই বেশি পরিচিত। এর রং ও গন্ধ অসাধারণ খোসা কিছুটা মোটা হলেও আটি পাতলা। এই আম অগ্রিম প্রজাতির আম হওয়ায় আমের মৌসুমের শুরুতেই পাওয়া যায়। এই আমটি আকারে বড় সাইজের হয় এক একটি আমের ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমটি অত্যন্ত সুগন্ধযুক্ত এবং খেতে মিষ্টি হয় রাজশাহীর চারঘাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাগুলোতে এই আম বেশি পাওয়া যায়।
মল্লিকা আম
মল্লিকা নাবি জাতের আম। ফলটির ত্বক মসৃণ পোক্ত অবস্থায় হালকা সবুজ ,পাকলে গাঢ় হলুদ রং ধারণ করে। এটি দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় গড়ন লম্বাটে এবং চ্যাপ্টা। ওজন ৩০০ থেকে ৩৭৫ গ্রামের মধ্যে হয়ে থাকে। নাকবাঁকা এবং স্পষ্ট ,খোসা পাতলা শ্বাস শক্ত।
শ্বাসের রঙ কমলাভ, আমটি সুগন্ধযুক্ত সুস্বাদু এবং বেশ মিষ্টি। কেটে খাওয়ার উপযোগী আটি পাতলা এবং কোন আঁশ নেই । বাজারে আমটির চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক কম । রাজশাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ ,নওগাঁর পোরশা এবং সাপাহার অঞ্চলে এই আমের চাষ করা হয়।
রানী পছন্দ
রানী পছন্দ দেখতে অনেকটা গোপাল ভোগের মতই । এর গায়ে হলুদ দাগ আছে। কিন্তু আকারে ছোট ফলে গোপালভোগের সঙ্গে রানী পছন্দ মেশালে আলাদা করা কষ্টকর।
কাটিমন আম
কাটিমন আম মূলত থাইল্যান্ড থেকে আনা একটি প্রজাতি। একে সুইট কাটিমন ও বলা হয়। সাদে এই আম বেশ মিষ্টি হয়। এছাড়া আশ না থাকার কারণে এর চাহিদা বেশি। বাংলাদেশের কাটিমন আমকে অমৃত নামেও ডাকা হয়। বর্তমানে সারা দেশে এই আমের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হলে ও সবচেয়ে বেশি চাষ হয় চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায়।
আরো পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
ফেব্রুয়ারি মে ও নভেম্বর মাসে কাটিমন আম গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ, এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই আগস্ট মাসে আম পাকে। তবে সেপ্টেম্বর অক্টোবরে এই আমের ফলন বেশি পাওয়া যায়।
শেষ কথাঃ
বাংলাদেশ আম চাষে একটি স্বয়ংসম্পন্ন দেশ। প্রতিবছর স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে আম রপ্তানি করা হয়ে থাকে বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে আম রপ্তানি করা হয়।বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের তিন জেলায় সবচেয়ে বেশি আম উৎপন্ন হয়। আম একটি মৌসুমী ফল তাই অন্যান্য সময় এই ফল পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি আম সংরক্ষণাগার তৈরি করা গেলে সারা বছর এই সুস্বাদু আমের স্বাদ পাওয়া যেত।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url