মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করার নিয়ম-২০২৪

রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে গেলে সরকারকে নির্দিষ্ট সময় পরপর ট্যাক্স দিতে হয়। মোটরসাইকেলের ট্যাক্স টোকিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে জরুরী ভিত্তিতে এই ট্যাক্স টোকেনের টাকা জমা দিয়ে ট্যাক্স টোকেন এর মেয়াদ বৃদ্ধি করে নিতে হয় তা না হলে রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাতে গেলে আইনি জটিলতার মধ্যে পরতে হয়। আপনার মোটরসাইকেলের ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করার নিয়ম কি, ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করতে কত টাকা খরচ হয়, মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার নিয়ম আপনার সুবিধার জন্য আলোচনা করা হলো।
মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করার নিয়ম-২০২৪
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেল পড়ে আপনি নিজেই আপনার মোটরসাইকেলটি বিআরটিএ থেকে কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন সেই সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই জন্য আপনাকে কোন দালাল ধরতে হবে না।

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজনীয়তা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী প্রত্যেক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন বিহীন কোন গাড়ি রাস্তায় চলাচল করা আইনত দন্দনীয় অপরাধ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ১৬ ধারায় বলা হয়েছে, “ কোন ব্যক্তি বা মোটরযান মালিক রেজিস্ট্রেশন সনদ ব্যতীত সড়ক মহাসড়ক বা পাবলিক প্লেসে মোটরযান চালাইতে বা চালাবার কোন অনুমতি প্রদান করতে পারবেন না ”।
তাই প্রিয় পাঠক আপনাদের বলব আইনগত যে কোন ঝামেলা এড়ানোর জন্য আপনি আপনার মোটরসাইকেল অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করে নেবেন।

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি কাগজ লাগে?

  • মালিক ও আমদানিকারক অথবা ডিলার কর্তৃক যথাযথভাবে পূরন ও স্বাক্ষর করা নির্ধারিত আবেদন পত্র।
  • বিল অফ এন্ট্রি, ইন ভয়েস, বিল অফ লেডিং ও এলসিএ কপি।
  • আমদানি সংক্রান্ত কাগজপত্র।
  • মোটরসাইকেলের ভ্যাট পরিশোধের সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারি।
  • লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি।
  • ডিলার বা শোরুম কর্তৃক পরিশোধিত মোটরসাইকেলের ভ্যাট চালানের কপি।
  • সেল সার্টিফিকেট অথবা বিক্রয় প্রমাণ পত্র।
  • আয়কর প্রদানের প্রমাণ পত্র। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দানের রশিদ।
  • কাস্টম কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ছাড়পত্র।
  • ব্যক্তি মালিকানাধীন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র পাসপোর্ট, টেলিফোন বিল, বিদ্যুৎ বিল, ইত্যাদির যেকোনো একটি সত্যায়িত ফটোকপি এবং মালিক প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি।
  • মটর যান পরিদর্শক কর্তৃক গাড়িটির পরিদর্শন প্রতিবেদন।

উপরে উল্লেখিত যতগুলো প্রয়োজনীয় কাগজ সবগুলোই আপনি যে শোরুম থেকে মোটরসাইকেলটি ক্রয় করবেন সেই শোরুম থেকেই সরবরাহ করবে। এই নিয়ে কোন দুশ্চিন্তার কারণ নেই। আপনি আপনার শখের মোটরসাইকেল যেদিন কিনবেন সেদিন থেকে প্রায় ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এই কাগজগুলো শোরুম আপনাকে সরবরাহ করবে।

ক্ষেত্রবিশেষে সর্বোচ্চ ৩ মাস সময় লাগতে পারে এর বেশি নয়। একজন গ্রাহক বা একজন মোটরসাইকেলের মালিক সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসের নির্ধারিত ফর্মে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ তার মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করবেন।
এরপর বিআরটিএ অফিস থেকে তার আবেদন ও সংযুক্ত কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে সঠিক পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে প্রয়োজনীয় রেজিস্ট্রেশন ফি জমা করতে একটি অ্যাসেসমেন্ট প্রদান করা হবে এবং ফি জমা প্রদানের পর গাড়িটি পরিদর্শনের জন্য বিআরটিএ অফিসে নিয়ে আসতে হবে। 

গাড়িটি পরিদর্শনের পর মালিকানা ও মোটরসাইকেল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেমে এন্ট্রি করার পর সহকারি পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) রেজিস্ট্রেশন এর অনুমোদন প্রদান করবে এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার উল্লেখ করে একটি প্রাপ্তি স্বীকার পত্র, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও ট্যাক্স টোকেন প্রিন্ট করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর নিয়ে গ্রাহককে প্রদান করা হবে। 

ঐ একই দিনে গ্রাহকের বায়োমেট্রিক অর্থাৎ ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ প্রদান করতে হয় এরপর গ্রাহককে তার মোবাইলের মেসেজের মাধ্যমে ডিজিটাল নাম্বার প্লেট ও স্মার্ট কার্ড দেওয়ার জন্য অবগত করা হয়।
বর্তমানে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড গ্রাহকের স্থায়ী ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এটি বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের যুগ উপযোগী একটি সিদ্ধান্ত। এর ফলে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স  স্মার্ট কার্ড পাওয়ার জন্য আপনাকে আর বিআরটিএ অফিসে যেতে হবে না বাড়িতে বসে থেকেই আপনি আপনার রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্ট কার্ড পেয়ে যাবেন।

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৪

আপনি একটি নতুন বাইক কেনার পর প্রথমে আপনার মাথায় আসে কিভাবে এই বাইকের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তো প্রিয় পাঠক আজকে আমি এই নতুন বাইকের রেজিস্ট্রেশন ফি কত এই বিষয়ে নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করব-

১০০ সিসি পর্যন্ত দুই (২) বছর মেয়াদি রেজিস্ট্রেশন ফি ১০,৪৪১ টাকা এবং দশ ( ১০) বছর মেয়াদী রেজিস্ট্রেশন ফি ১৯৬৪১ টাকা।

১০১ সিসি থেকে ১৬৫ সিসি পর্যন্ত দুই (২) বছর মেয়াদী রেজিস্ট্রেশন ফি ১১৭৬৪ টাকা এবং দশ (১০) বছর মেয়াদী রেজিস্ট্রেশন ফি ২০৯৬৪ টাকা।

উপরে উল্লেখিত রেজিস্ট্রেশন ফি মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল নাম্বার প্লেট, স্মার্ট কার্ড, ট্যাক্স টোকেন সহ অন্যান্য খরচ।

অনলাইনে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধের ধাপসমূহ:

প্রিয় পাঠক bsp.brta.gov.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করুন এবং নিবন্ধন অপশনে যান আপনার এনআইডি নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।
  • এবার একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন এবং মোবাইলে আসা ওটিপি OTP দিয়ে একাউন্ট ভেরিফাই করে নিন।
  • এবার লগইন করুন বিভিন্ন সেবার ফি> মোটরযান নিবন্ধন সংক্রান্ত ফি> অপসনে যান।
  • আপনার মোটরসাইকেলের সিসির ধরন অনুযায়ী সিলেট করুন, ইঞ্জিন নাম্বার, চাইছিস নাম্বারের ঘরে চাইছিস নাম্বার লিখুন। মোটরসাইকেলের সিসি লিখুন, আসন সংখ্যা, গাড়ির ওজন লিখুন। গাড়ির শোরুম থেকে দেয়া কাগজে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
  • ভাড়ায় ভাড়ায় চালিত ও মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের মালিকানার পরিবর্তন ঘরে নো সিলেক্ট করুন।
  • রোড ট্যাক্স কিস্তির ঘরে ফাস্ট ইনস্টলমেন্ট অনলি সিলেক্ট করবেন।
  • এবার গাড়ির উৎপাদনের বছর লিখুন এটি শোরুম থেকে আপনাকে যে কাগজ দেয়া হয়েছে সেই কাগজেই উল্লেখ থাকবে।
  • পরের অংশে যার নামে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করা হবে তার পিতার নাম, ঠিকানা ও মালিকানার ধরন এই ঘরগুলো পূরণ করতে হবে। সবকিছু আবার চেক করে সামনে এগিয়ে যান বাটনে ক্লিক করুন।
  • আপনার উপরের দেওয়া তথ্য গুলো ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করে নিন। কোন ভুল থাকলে সংশোধন করে নিন। কত টাকা জমা দিতে হবে তার পরিমাণ ভ্যাট ও মোট টাকার পরিমান দেখানো হবে।
  • সবকিছু ঠিক থাকলে ফ্রি জমা দিন বাটনে ক্লিক করুন অবশ্যই মোটরসাইকেলের চ্যাসিস নাম্বারটি চেক করে নিন, কারণ এই চ্যাসিস নাম্বারের অধীনে আপনার টাকাটি জমা হবে।
  • পেমেন্ট করার জন্য বিকাশ, রকেট, কার্ড সিলেট করুন।
  • সকল ভাবে পেমেন্ট সম্পন্ন হলে ইউর পেমেন্ট ইজ সাকসেসফুল( your payment is successful) দেখতে পাবেন। এরপর আপনার পেমেন্ট রিসিটটি প্রিন্ট করে নিন।
রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধের পর অনলাইনে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের আবেদন সাবমিট করতে হবে।

মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম।

আমাদের দেশের সরকারি সেবার প্রায় প্রত্যেকটা সেক্টরে ডিজিটালের ছোঁয়া লেগেছে। এতে করে সরকারি বিভিন্ন সেবায় আগের মত আর ভোগান্তির শিকার হতে হয় না। দালালদের দৌরাত্ম্য অনেক কমে গেছে। আগে একটা সময় মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় কাজ করার জন্য বিআরটিএ অফিসে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়তো।

কিন্তু বর্তমানে আপনি চাইলেই ঘরে বসে আপনার মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন চেক করতে পারবেন। আপনার মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করার পর ডিজিটাল নাম্বার প্লেট এসেছে কিনা সেটা জানতে আপনাকে আগে বিআরটি অফিসে যেতে হতো। কিন্তু এখন আপনি চাইলেই ঘরে বসে আপনার মোটরসাইকেলের ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। 
ডিজিটাল নাম্বার প্লেটের অবস্থান জানতে আপনাকে যা করতে হবে তাহলো আপনার হাতে থাকা মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে NP তারপর মেসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে ২৬ ৯৬৯ এই নাম্বারে। 

এছাড়াও আপনার মোটরসাইকেলের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট অর্থাৎ স্মার্ট কার্ড রেডি হয়েছে কিনা সেটাও আপনি এখন ঘরে বসে অনলাইনে জেনে নিতে আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে আপনাকে টাইপ করতে হবে NPDRC এটা লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে ২৬৯৬৯ নাম্বারে।

মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করার নিয়ম।

আপনারা হয়তো জানেন মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন এর মেয়াদ দুই (২) বছর অথবা দশ (১০) বছর হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হল এই দুই (২) বছর বা দশ (১০) বছর মেয়াদ পার হবার পর আমাদের করণীয় কি? এই বিষয়ে অনেকের মধ্যে নানান ধরনের প্রশ্ন রয়েছে আজকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

দুই বছর মেয়াদী টেক্স টোকেনঃ

নতুন বাইক রেজিস্ট্রেশনের সময় বিআরটিএ অফিস থেকেই প্রথমে আপনাকে ট্যাক্স টোকেন দিয়ে থাকে কিন্তু পরবর্তীতে যখন এই ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তখন বিআরটিএ অফিস থেকে এই ট্যাক্স টোকেন আপনাকে আর দেবে না। তখন আপনাকে যেতে হবে বিআরটিএ ফি গ্রহণের কাজে নিয়োজিত ব্যাংকে বা অনলাইনে ফি প্রদান সাপেক্ষে ব্যাংক হইতে ট্যাক্স টোকেন নবায়ন করা যায়। 

এখানে বলে রাখা ভালো যে যারা বিকাশের মাধ্যমে ফ্রি প্রদান করবে নবায়নকৃত ট্যাক্স টোকেন সেইসব গ্রাহকের প্রদত্ত ঠিকানায় কুরিয়ারের মাধ্যমে প্রেরণ করা হবে।আপনি চাইলে ২ বছর, ৪ বছর ৬ বছর ও ৮ বছর মেয়াদে ট্যাক্স টোকেন করতে পারবেন।

দশ বছর মেয়াদী টেক্স টোকেনঃ

আপনাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা ১০ বছর মেয়াদে ট্যাক্স টোকেন করে থাকে। যারা ১০ বছর মেয়াদী ট্যাক্স টোকেন করে থাকে তাদের ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ যখন উত্তীর্ণ হয়ে যায় তখন তাদের নতুন করে আর ট্যাক্স টোকেন করতে হয় না। বিআরটিএ অফিসে গিয়ে গাড়ি চালানোর একটি অনুমতি পত্র নিতে হয়। এই অনুমতি পত্র দিয়ে বাংলাদেশের যে কোন রাস্তায় গাড়ি চালানো যায় এতে কোন আইনের ব্যত্যয় হয় না।

এবার আপনাদের বলবো ট্যাক্স টোকেন করতে কি কি কাগজ লাগে? ট্যাক্স টোকেন করতে কাগজ লাগে না বললেই চলে শুধুমাত্র একটি কাগজ লাগবে সেটা হল পূর্বে আপনার যে ট্যাক্স টোকেন সার্টিফিকেটটি ছিল সেটার মূল কপি। এই মূল কপিটি ব্যাংকে আপনাকে জমা দিতে হবে।

মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি ২০২৪

আপনারা যারা মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করার সময় ১০ বছর মেয়াদে ট্যাক্স টোকেন সহ রেজিস্ট্রেশন করেন তাদের পরবর্তীতে আর নতুন করে ট্যাক্স টোকেনের ফি জমা দেওয়ার কোন ঝামেলা থাকে না। দুই বছর মেয়াদী ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তীতে কত টাকা জমা দিয়ে নতুন করে আবার ট্যাক্স টোকেন করা যায় সেই বিষয়টি নিয়ে এখন আলোচনা করব। 

পূর্বে দুই বছর মেয়াদী ট্যাক্স টোকেন এর ফি পরিমাণ ছিল ২৩০০ টাকা বর্তমানে এই ট্যাক্স টোকেন ফি এর পরিমাণ বাড়িয়ে ৩৪৫০ টাকা করা হয়েছে। আপনার নিকটস্থ এনআরবিসি ব্যাংকের শাখায় মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন এর মেয়াদ নবায়ন ফি জমা দিতে পারবেন। 

অন্য কোন ব্যাংকের শাখায় মোটরসাইকেল ট্যাক্স টোকেন নবায়ন ফি জমা দেয়া যায় না। তাই হাতে সময় নিয়ে বের হবেন কেননা ব্যাংকে এ সংক্রান্ত কাজের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

লেখকের মন্তব্য:

প্রিয় পাঠকগণ আমি আশা করি উপরের পোস্টটি পড়ে আপনারা মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় নিয়ম-কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা পেয়েছেন। মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন সহ সকল যানবাহন রেজিস্ট্রেশন করে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই। আমার এই পোস্টটি কেমন হয়েছে আপনি ইচ্ছা করলে কমেন্টের মাধ্যমে তা জানাতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।

comment url