ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো
গরমকালে শরীরের ত্বকের উন্নতম একটি সমস্যা ঘামাচি। এই বিষয়টি নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনারা যারা ঘামাচির সমস্যা নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি হতে চলেছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করেছি ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো। ঘামাচির পাউডার কোনটা ভালো এইটা জানার পাশাপাশি আপনারা আরো জানতে পারবেন ঘামাচি কেন হয়? শরীরের কোন কোন জায়গায় ঘামাচি হয়। ঘামাচি হলে করণীয় কি? ঘামাচি মারার সাবান। ঘামাচির ঔষধ। ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায় সহ অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে। আশা করি আপনারা অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়বেন।
ঘামাচি কেন হয়?
গরমকালে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার দেখা দেয় এই সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম সমস্যা হল ঘামাচির সমস্যা। ঘামাচি এক ধরনের চর্মরোগ যা মূলত গরমকালে ত্বকের বিভিন্ন অংশে দেখা যায়। ঘামাচি যে কোন বয়সের মানুষের হতে পারে তবে শিশুদের ক্ষেত্রে ঘামাচি পরিমাণ বেশি দেখা যায়। গরমকালে ত্বকের উপরের অংশে ঘামাচি হয়ে থাকে।
এই ঘামাচি মানবদেহের তেমন একটা ক্ষতি করতে পারে না, তবে এটি অস্বস্তিদায়ক। অনেক সময় ঘামাচির পরিমাণ বেড়ে গিয়ে তা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। ত্বকের ঘামাচি সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে প্রথমে আপনাকে জানতে হবে ঘামাচি কেন হয়?
ঘামাচি একপ্রকার চর্মরোগ যা সাধারনত উষ্ণ আবহাওয়া মানব শরীরের ত্বকের উপরের অংশে দেখা যায়। মানুষের ত্বকের ঘর্মগ্রন্থির সাথে এক ধরনের জীবাণু মিশে থাকে যার নাম স্টেফ এপিডারমাইডিস। গরমের সময় স্বাভাবিকভাবেই ঘর্মগ্রন্থি থেকে ঘাম বের হয়ে আসে কোন কারনে ঘাম বের হয়ে আসার এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে সেখানে ঘামাচি দেখা যায় বা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ মাথা ব্যাথা কি? মাথার যন্ত্রণা কমানোর উপায়
এছাড়া গরম কালে শরীর থেকে অত্যাধিক ঘাম বের হওয়া, আটোসাট পোশাক পরা, জ্বর আসা ইত্যাদির কারণে শরীরে ঘামাচি দেখা দিতে পারে। আবার কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে শরীরে ঘামাচি হয়ে থাকে।
শরীরের যেসব জায়গায় ঘামাচি বেশি দেখা যায়।
প্রাপ্তবয়স্ক বা বড়দের ক্ষেত্রে সাধারণত বুকে, পিঠে ঘামাচি দেখা যায়। ছাড়া কনুই, ঘাড়, কাঁধ, কুঁচকিতে ঘামাচি হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে শরীরের ত্বকের যে কোন অংশে ঘামাতে দেখা যায় কেননা শিশুদের ত্বক অত্যাধিক নরম প্রকৃতির হয়ে থাকে আর ঘামাচি সাধারণত ত্বকের নরম অংশ হয়ে থাকে।
শরীরের অত্যধিক পরিমাণ ঘামাচি দেখা দিলে তা অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি করে। যেমন- বমি বমি ভাব হয়, মাথা ঘুরে, মাথা ব্যথা করতে পারে, রক্তচাপ দেখা দেয়, এমন কি হিট স্ট্রোকও হতে পারে।
ঘামাচি হলে করনীয়।
ঘামাচি হলে করণীয় কি? এটি নির্দিষ্ট করে বলা খুবই কঠিন। শরীরে ঘামাচির জন্য নির্দিষ্ট কোন ঔষধ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। নিয়মিত শরীরের যত্ন নিলে ঘামাচি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আলোচনার এই অংশে আমি ঘামাচি হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে আপনাদের জানাবো।
আলোচনার এই অংশটি গুরুত্বসহকারে পড়লে ঘামাচি হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। তাই আর দেরি না করে এই সম্পর্কে কিছু আলোচনা শুরু করা যাক।
- ঘামাচি হলে আপনাকে প্রথমে যা করতে হবে তা হল শরীরকে যথাসম্ভব শীতল জায়গায় রাখতে হবে।
- নিয়মিত অন্তত দুবেলা গোসল করতে হবে।
- বাজারে বিভিন্ন ধরনের যে পাউডার পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন যদিও এর কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
- গোসলের সময় বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিসেপটিক সাবান ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার পাশের বাজারে সহজেই পাবেন।
- প্রচন্ড গরমে শরীরকে শীতল রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের শরবত ও পানীয় পান করতে পারেন। যেমন- লেবুর শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি।
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।
- গোসলের সময় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অ্যান্টিসেপটিক লোশন ব্যবহার করতে পারেন যা ঘামাচি দূর করতে সাহায্য করবে।
- গরমকালে সবসময় নরম ও ঢিলেঢালা পোশাক পড়া উচিত কোনভাবেই আটোসাটো পোশাক পড়া ঠিক নয়।
- গরম কালে শরীর যেন বেশি না ঘামে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
প্রিয় পাঠক, আশা করি আলোচনার এই অংশটি আপনাদের সবচেয়ে উপকারে আসবে।
ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো।
গরমকালে গরমের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পায় ঘামাচির সমস্যা। শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কোন বয়সের মানুষ এই সময় ঘামাচির দ্বারা আক্রান্ত হয়। ঘামাচির সমস্যা দূর করার জন্য বাজার থেকে আমরা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঘামাচি মারার পাউডার কিনে ব্যবহার করে থাকি। এখন আমি ঘামাচি দূর করার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাউডারের নাম আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
বাজারে ঘামাচি নাশক যেসব ব্রান্ডের পাউডার পাওয়া যায় এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পাউডার হলো- মিল্লাত ঘামাচি পাউডার, তিব্বত ঘামাচি পাউডার,আইসকুল পাউডার,রিভাইভ পাউডার, কিউট পাউডার, ডার্মিকুল পাউডার, জনসন বেবি পাউডার, মাদার কেয়ার বেবি পাউডার, মেরিল বেবি পাউডার।
পাউডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। পাউডার ব্যবহারের ফলে ঘামাচি থেকে কিছুটা আরাম পাওয়া যায় কিন্তু সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। গরমের তীব্রতা কমার সাথে সাথে আপনার শরীরে ঘামাচি ও আস্তে আস্তে কমে যেতে শুরু করে। বিভিন্ন ধরনের ঘামাচি পাউডার ব্যবহারের ফলে আপনার শরীরের ঘামাচি একেবারে দূর হয়ে যাবে এরকম নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয়।
আরো পড়ুনঃ খুসখুসে কাশি দূর করার উপায়
প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে এবং সকালে দিনে ২ বেলা ঘামাচি পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ঘামাচি পাউডার ব্যবহারের পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিষ্কার করতে হবে। বেশি পরিমাণের পাউডার ব্যবহারের ফলে এটি আপনার শরীরের অন্যান্য চর্ম রোগের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের বা ব্র্যান্ডের পাউডার পাওয়া যায় নিম্নমানের পাউডার ব্যবহার না করাই উত্তম।
ঘামাচি মারার সাবান।
গরমকালে প্রচন্ড গরমে যখন চারিদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা ঠিক সেই সময় আমাদের শরীরে দেখা যায় ঘামাচি, এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। এই ঘামাচি রোধ এর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের সাবান ব্যবহারে অভ্যস্ত। বাজারে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিসেপটিক সাবান পাওয়া যায় যেগুলো ব্যবহার করলে ঘামাচি প্রকোপ কিছুটা কমে আসে। বাজারে যেসব ঘামাচি মারার অ্যান্টিসেপটিক সাবান পাওয়া যায় সেগুলো হলো-
- নিম সাবান
- ডেটল সাবান
- স্যাভলন সাবান
- লাইফবয় সাবান
প্রতিদিন গোসলের সময় এই সাবান গুলো ব্যবহারের অভ্যাস গড়ে তুলুন বিশেষ করে গরম কালে। তবে অন্যান্য সময় এই সাবান ব্যবহার করা যায় যেহেতু এই সাবানগুলো এক ধরনের অ্যান্টিসেপটিক উপাদান রয়েছে। তাই এগুলো ব্যবহারের ফলে ঘামাচির দূর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘামাচির ঔষধ।
ঘামাচি কমানোর নির্দিষ্ট কোন ঔষধ বাজারে তেমন একটা পাওয়া যায় না। যেহেতু এটি মানুষের শরীরের মারাত্মক কোন ক্ষতির কারণ নয় তাই এর কোন ওষুধ ও আবিষ্কৃত হয়নি। শরীরের অতিরিক্ত ঘামাচি পরিমাণ দেখা গেলে বিভিন্ন ধরনের পাউডার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া ক্যালামিন লোশন ব্যবহার করতে পারেন তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন চোখে ও মুখে এই লোশন না যায়।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার সম্পর্কে
ঘামাচির পরিমাণ যখন শরীরে বেশি পরিমাণে বেড়ে যায় তখন শরীরে এক ধরনের চুলকানির সৃষ্টি হয় এই ক্ষেত্রে অনেকেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। যদি অতিরিক্ত চুলকানি থাকে তাহলে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নির্দেশনায় মেডিসিন নিতে হবে। যে কোন প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা বিপদজনক হতে পারে।
বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায়।
বড়দের তুলনায় ছোটদের বিশেষ করে শিশুদের ঘামাচি বেশি হয়ে থাকে এর কারণ হলো শিশুদের ত্বক অত্যন্ত নরম। শিশুদের ঘামাচি দূর করার উপায় হল-
- সবসময় শিশুদের শরীর ও পরিধেয় কাপড় পরিষ্কার রাখতে হবে।
- যথাসম্ভব হালকা ও নরম জাতীয় কাপড় পরিধান করাতে হবে।
- শিশুরা যেহেতু ঘন ঘন প্রস্রাব করে তাই কোন অবস্থাতেই ভেজা কাপড় পরিয়ে রাখা যাবে না।
- অ্যান্টিসেপটিক সাবান, ডেটল এগুলো পানির সঙ্গে মিশিয়ে গোসল করানো যেতে পারে।
- এছাড়া বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাচ্চাদের ঘামাচি দূর করার পাউডার পাওয়া যায়। যেমন- জনসন বেবি পাউডার, মাদার কেয়ার বেবি পাউডার, মেরিল বেবি পাউডার, ডার্মিকুল বেবি পাউডার।
- শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্নবান হতে হয় বিধায় ন্যূনতম সন্দেহের কারণ থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই পাউডার গুলো ব্যবহার করা উচিত।
ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায়।
গরমকালে অত্যাধি উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে শরীরের ঘর্মগ্রন্থী গুলোর ঘাম বের হয়ে আসার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে সেই স্থানে ঘামাচি দেখা যায়। আলোচনার এই অংশে আমি আপনাদের জানাবো ঘামাচি দূর করার বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে খুব সহজেই শরীরের ঘামাচির যন্ত্রণাদায়ক ও অসস্তিদায়ক অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
- ঘামাচিতে আক্রান্ত স্থানে বরফের শেঁক দিলে ঘামাচি দ্রুত মরে যায়। প্রতিদিন অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট বরফের শেঁক দিতে হবে। তবে যাদের ঠান্ডা জড়িত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
- অ্যালোভেরা এবং হলুদের মিশ্রণ ঘামাচিতে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন এরপর ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এটি ব্যবহার করলে খুব দ্রুত ঘামাচি দূর হয়ে যাবে।
- লেবুর রসে রয়েছে শক্তিশালী আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ঘামাচি দূর করতে বেশ কার্যকরী। ঘামাচিতে উপকার পেতে দিনে অন্তত ৩থেকে ৪ গ্লাস লেবুর রস মিশ্রিত পানি পান করুন।
- নিমপাতা একটি ঔষধি গুনসম্পন্ন ভেষজ উদ্ভিদ। ঘামাচি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী। গোলাপজল মিশ্রিত নিম পাতার রস ঘামাচির উপর লাগালে ঘামাচি মরে যায়।
- প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশের ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার হয়ে আসছে। চর্ম রোগের এটি একটি কার্যকরী উপাদান। এই মাটি গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে এক ধরনের পেস্ট করে নিন এরপর ঘামাচির উপর লাগিয়ে রাখুন।
- আপনারা সবাই বেকিং সোডার নাম শুনেছেন। এই সোডা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বেকিং সোডা পানিতে মিশিয়ে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর আক্রান্ত স্থানটি মুছে দিন এতে করে আপনার ঘামাচি ভালো হয়ে যাবে।
- বৃষ্টির পানিতে গোসল করলে ঘামাচি দূর হয়ে যায়। মুষলধারে যখন বৃষ্টি হয় তখন যদি বৃষ্টির পানিতে আপনি গোসল করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার ঘামাচি দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঘামাচি মূলত গরমকালে আমাদের শরীরের ত্বকের উপরের অংশে দেখা যায়। অত্যাধিক গরমের ফলে শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে আসার চেষ্টা করে। এই চেষ্টা যখন বাধাগ্রস্ত হয় তখনই সেখানে ঘামাচির উৎপত্তি হয়। তাই শরীরকে যত সম্ভব শীতল রাখতে হবে, গরমের সময় পরিষ্কার কাপড় বিশেষ করে নরম কাপড় পরিধান করতে হবে, বেশি গরম যাতে না লাগে সেই জন্য যথাসম্ভব শীতল স্থানে অবস্থান করুন।
শেষ কথা
গরমকালে শরীরের প্রতি বিশেষ যত্নবান হলে ঘামাচির মত সমস্যার সহজেই মোকাবেলা করা সম্ভব। ঘামাচি যাতে শরীরে না হয় সেই জন্য বিশেষ যত্নবান হতে হবে। শরীরের প্রতি যত্নবান হলে ঘামাচি শরীরে আক্রমণ করতে পারে না তবে শরীরে একবার ঘামাচি হয়ে গেলে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই। এটি একটি সিজিওনাল ত্বকের সমস্যা যা শুধুমাত্র গরমকালে হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের পাউডার, অ্যান্টিসেপটিক সাবান, লোশন এগুলো ব্যবহারের ফলে সহজেই ঘামাচি দূর করা সম্ভব। আশা করি আজকের এই আলোচনাটি আপনাদের অত্যন্ত ভালো লেগেছে। আল্লাহ হাফেজ।
সাগর অনলাইন সিও নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।
comment url